ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়- প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
গায়ের রং উজ্জ্বল হোক এই প্রত্যাশা সবারই।অনেকে তো এক ধাপ এগিয়ে। নিজেকে ফর্সা করার জন্য আমরা নানান ধরনের জিনিস ব্যবহার করে থাকি। বাজার থেকে বিভিন্ন রং ফর্সা কারি ক্রিম কিনে এনে ব্যবহার করেন। এতে সাময়িকভাবে ফর্সা হলেও ত্বকে দীর্ঘ স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়। তাই এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় বেঁচে নাই শ্রেয়।ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে।
অনেকেই আছেন যাদের মুখে তুলনায় হাত-পা কম ফর্সা হয়ে থাকে। মুখের সামনে হাত
নিয়ে এলে তখন দেখলে বেমানান লাগে।মুখের যত্নে আমরা যতটা যত্নশীল, হাত পায়ের
ক্ষেত্রে তার বিপরীত । যে কারণে মুখ দেখতে ফর্সা লাগলেও হাত পা থাকে কালচে।এর
প্রধান কারন হলো হাত পা বেশি উন্মুক্ত থাকে।
সূচিপএ
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
কে না চায় পুতুলের মত লম্বা চুল ফর্সা গায়ের রং আর উজ্জ্বল তাদের অধিকারী হতে। আমরা সুন্দর বা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য অনেক ধরনের কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। এগুলো আমাদের কমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। এটা জেনেও সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেকে অনেক ধরনের কেমিক্যাল পন্য ব্যবহার করি।তবে আমরা একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার না করার ঘরোয়া পদ্ধতি বা প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে সুন্দর হওয়া যায়।
আরো পডুনঃরূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার
জন্মগতভাবে আমরা একেক জন একেক ধরনের গায়ের রং নিয়ে জন্মগ্রহণ করি। কেউ বা
ফর্সা কেউ বা শ্যামলা।গায়ের রং একটু খারাপ হলে তা আমি আমরা মন খারাপ করে থাকি।
অনেকেই উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকে তাদের মধ্যে । তাই আমরা গায়ের রং
ফসা করার জন্য অনেক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি। তবে এসব কেমিক্যাল
আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা পাশাপাশি অনেক ধরনের ক্ষতি করে থাকে। চলুন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফসা করা যায়,জেনে আসি
- এক টেবিল চামচ গুডো দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
- এই প্যাকটি আপনার মুখের সাইন ভাব আনে এবং রোদে পোড়া ভাব দূর করে।
- বেসন লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে,গলায় লাগিয়ে 15 মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটা লাগান আপনার গায়ের রং অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
- ঝকঝকে ত্বক জন্য চন্দন গুডোর আবদান অনস্বীকার্য। চন্দ্রন গুডোর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে মেসেজ করুন অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে।
- আপনার যদি টমেটোতে এলার্জি না থাকে তাহলে কয়েক ফোটা লেবুর রসের সাথে টমেটো মুখে লাগান গলা ব্যবহার করুন।১৫ মিনিট পর পরিষ্কার করে নিন।
- আমরা নিত্যদিনের খাবারে শশা ব্যবহার করে থাকি। এই শসার রস আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। শসা রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন।
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়
সুন্দর ত্বক কে না চায়। সবাই সুন্দর ত্বকের পূজারী।আমরা সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য বাজার থেকে নানা ধরনের কসমেটিক ব্যবহার করে থাকি।ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়।এতে আমাদের মুখের সাম্প্রতিক কাজে দেয় পাশাপাশি আমাদের অনেক ক্ষতি করে।সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে কিছু টিপস জানা থাকলে আপনি ঘরে বসেই নিজের ত্বকে সুন্দর করতে পারবেন।প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার নানা উপায় রয়েছে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড প্রাকৃতিক তেলে আছে,ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। নিয়মিত নাশপাতি, বাদাম ও মুসুরশুটি খেলে আপনার ত্বক প্রাকৃতিক ভাবে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে অনেকখানি। সুস্বাস্থ্য পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্না করার সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসাবে কাঁচা সবজি ও ত্বকের জন্য উপকারী।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কয়েকটা টিপস
পানি
সুন্দর ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পযাপ্ত পানি খেলে ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো থাকে।ত্বকে পানির পরিমাণ কমে গেলে আমাদের মুখে ব্রণ কালো দাগ মেছতা ইত্যাদি ধরনের রেশ বের হতে পারে। তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন অন্তত দেশ থেকে দু লিটার পানি পান করা উচিত।
টমেটো
ত্বকে যত্নে টমেটো ব্যবহারে কোন বিকল্প নেই। এটা তো আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি । যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুন সহায়ক।টমেটোতে ' লাইসোটিক' নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের বিভিন্ন দাগ বলিরেখা ও শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বকে মসৃন করে। এটি সানস্ক্রিন হিসেবে দারুণ কাজ করে।
গাজর
নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক হবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজর ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে । তাছাড়া গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যার শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ পরিণত করে।ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
ঘরোয়া উপায়ে এক সপ্তাহে ফর্সা ত্বক
পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নাই যে সুন্দর ত্বক চায় না। সবাই সুন্দর এবং সুন্দর ত্বক নিয়ে পৃথিবীতে জন্ম দিতে চাই। তবে সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় আমাদের সবার ত্বক এক রকম হয়ে উঠে না। আমরা অনেক সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় উঠে না। সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা বাজার থেকে নানা ধরনের প্রোডাক্ট বা কসমেটিক ব্যবহার করে থাকে। এই বাজার থেকে সস্তা কসমেটিক আমাদের তবে উজ্জ্বলতা দিলেও পরে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে থাকে।
আরো পডুনঃপালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
এসব প্রোডাক্ট এর জন্য আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে থাকে আমাদের ত্বকের ও
উজ্জ্বলতা। এসব সস্তা প্রোডাক্ট এর জন্য মুখে ব্রণ, মেছতা, কালো দাগ দেখা যায়।
তবে ঘরোয়া কিছু জিনিস জানা থাকলে এসব সস্তা বা ক্যামিকেল প্রোডাষ্ট ব্যবহার না
করে।ঘরোয়া উপায়ে নিজের ত্বকে উজ্জ্বলতা করতে পারেন।তবেই ঠিকভাবে যত্ন নিলে
মাত্র এক সপ্তাহে পাওয়া যাবা সম্ভব। আর এই জন্য এক সপ্তাহ সময়
যথেষ্ট।
চলুন জেনে আসি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে উজ্জ্বল ত্বক ফিরিয়ে আনা যায়
লেবুর ব্যবহার
লেবু আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। কারণ লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা মুখের ধূলিকণা বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুখের গর্ত ভালো করে দেয়। এজন্য আপনাকে একটু লেবু নিতে হবে।এরপরে লোবুটি কেটে রস বের করে নিন।দুই চাচা লেবুর রস নিয়ে পানি মিশ্রন করুন।এই মিশ্রণটি ত্বকের যেখানে দাগ আছে সেখানে ব্যবহার করুন।এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর পর 25 মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চলুন জেনে আসি ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে উজ্জ্বল ত্বক ফিরিয়ে আনা যায়
লেবুর ব্যবহার
লেবু আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার করে। কারণ লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড যা মুখের ধূলিকণা বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুখের গর্ত ভালো করে দেয়। এজন্য আপনাকে একটু লেবু নিতে হবে।এরপরে লোবুটি কেটে রস বের করে নিন।দুই চাচা লেবুর রস নিয়ে পানি মিশ্রন করুন।এই মিশ্রণটি ত্বকের যেখানে দাগ আছে সেখানে ব্যবহার করুন।এই মিশ্রণটি মুখে লাগানোর পর 25 মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই মিশ্রণটি ত্বকের জন্য উপযোগী কি না তা ব্যবহার করার জন্য গলায় বা কানের পিছনে লাগিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে নিতে পারেন।যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা না যায় তাহলে ব্যবহার করবেন। লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা ত্বকের সব ধরনের দাগ, ছোপ পরিষ্কার করতে পারে। ফলে ত্বক স্বচ্ছ হয় এবং ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। আপনি লেবুর রসের সাথে চিনি মিশাতে পারেন। লেবুর রস ও চিনি আমার ত্বকের জন্য দারুন উপকার করবে।
এগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।লেবুর বিচিং উপাদান ত্বকের ভিতর থেকে দাগ মুক্ত করে। সেই সাথে ত্বকের পোড় ভাব সহজেই দূর করে।
হলুদের ব্যবহার
কাঁচা হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। আমাদের বাড়িতে কম বেশি কাঁচা হলুদ থাকে।কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার কেউ করেন না। কাঁচা হলুদ দিয়ে খুব সহজেই সৌন্দর্য ফিরে আনা যায়।প্রথমে এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বেটে বা গুডো করে নিন।তার সঙ্গে নিন ২ চা চামচ লেবুর রস। উপাদানটি সঠিক ভাবে মিশ্রণ করে নিন । মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে মেখে নিন। সূর্য তাপের কারণে ত্বকে যে স্থানের কালচে হয়ে গেছে সেখানে ব্যবহার করুন।
১০-১৫ মিনিট রাখার পর হালকা গরম পানিতে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন।এভাবে এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুইবার ভালোভাবে ব্যবহার করুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যে সুফল পেতে শুরু করবেন।হলুদের এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সব ধরনের জীবাণু থেকে দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ত্বককে দ্রুত ফর্সা করতে কাজ করে হলুদ। ত্বকের ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই কাঁচা হলুদ উপাদান।
লেবু দিয়ে রূপচর্চা
লেবু একটি অ্যাস্ট্রিনজান্ট সমৃদ্ধ সিট্রাস ফল যা ত্বক মসৃণ রাখে।গরম ও ঘামের কারণে হাওয়া তেলাক্ত ভাব কমায়। এর অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ত্বকের মৃতকোষ এবং ব্রেক আউট দূর করে।ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্যাকটির সাথে লেবু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।ডাবের পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন।এবং ১৫ মিনিট পর পরিষ্কার করে ফেলুন।গরমকালে এক গ্লাস লেবুর শরবত যেমন দেয় প্রশান্তি। খাবারের লেবুর রস বাড়াই স্বাদ।
আরো পডুনঃআম খাওযার উপকারিতা ও উপকারিতা
পাশাপাশি ভিটামিন সি এর ভালো উৎস থাকায় লেবু দিয়ে যেকোন রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে।আর এই লেবু খাবার বা শরীরের পাশাপাশি আমাদের ত্বকের
বিভিন্ন ধরনের কাজ করে।লেবু ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রস
মিশ্রিত প্যাক ত্বকে ব্যবহার করার পর দেখা যায় কারো কারো এলার্জি সমস্যা
ও প্রদাহ হতে পারে। এ ধরনের প্যাক ব্যবহার করতে চাইলে কিছু কিছু বিষয়ে সতর্কতা
আবশ্যক।
চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবু দিয়ে রূপচার্চা
মুখে ব্যবহার
লেবু প্রাকৃতিকভাবল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যা ত্বক ভালো রাখতে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই ভিটামিন ত্বকের ক্ষয় দূর করে এবং অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে। লেবু একটি অ্যাস্ট্রিনজান্ট সমৃদ্ধ সিট্রাস ফল যা ত্বক মসৃণ রাখে।গরম ও ঘামের কারণে হাওয়া তেলাক্ত ভাব কমায়।
তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় কালছে ও মলিন দেখায়। ব্রণ হওয়ার প্রবণতা ও থাকে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য এই প্যাক।
চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবু দিয়ে রূপচার্চা
মুখে ব্যবহার
লেবু প্রাকৃতিকভাবল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যা ত্বক ভালো রাখতে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই ভিটামিন ত্বকের ক্ষয় দূর করে এবং অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে। লেবু একটি অ্যাস্ট্রিনজান্ট সমৃদ্ধ সিট্রাস ফল যা ত্বক মসৃণ রাখে।গরম ও ঘামের কারণে হাওয়া তেলাক্ত ভাব কমায়।
তৈলাক্ত ত্বক অনেক সময় কালছে ও মলিন দেখায়। ব্রণ হওয়ার প্রবণতা ও থাকে। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের জন্য এই প্যাক।
লেবুর খোসার সবুজ অংশটা কুচি করে নিতে পারেন।কচি করা খোসা কেটে নিন।এক টেবিল চামচ লেবুর খোসার পেস্ট, তিন চারটি পুদিনা পাতা, ছয় সাত টি তুলসী পাতা ও দুই চা চামচ মুলতানি মাটি পেস্ট করুন। পুরো মুখে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে উজ্জ্বলতা পাবেন। স্বাভাবিক শুষ্ক ত্বকের জন্য এক চা চামচ লেবুর রস,এক টি ডিমলর কুসুম,এক চা চামচ মধু, ছয় সাত ফোটা জলপাই তেল ও ২ চা চামচ গমেরর ময়দা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
ঠোঁটে ব্যবহার
শীতকালের ঠোঁট নিয়ে সমস্যা করে নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গরম কালে ঠোট হতে পারে শুষ্ক ও মলিন। এই সমস্যা দূর করা যায় লেবুর সাহায্য। লেবুর রস ও বাদামি চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিয়ে ঠোঁট এক্সিফলিযেট করে নিন।চিনির দানা দানার অংশ সরাসরি এক্সফলিটরের কাজ করে। লেবু ও চিনি সংমিশ্রণ ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে। ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিন ব্যবহার করুন।
লেবুপানির উপকার
অতি সংবেদনশীল তোকে লেবুর রস ব্যবহার করলে চুলকানি হতে পারে। অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়। তাই এই ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার এই ভাবে ব্যবহার না করে লেবু ব্যবহার করতে একটু ভিন্নভাবে। লেবুর খোসার ভেতরে( সাদা অংশ সবুজ অংশ এবং লেবুর ভিতরে সাদা পর্দার মতো অংশ বাদ দিয়ে) পেস্ট করুন।একটি লেবু থেকে কম বেশি এক চা চামচ পরিমাণ পেস্ট পাওয়া যায়।
এক চা চামচ পরিমাণের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মুগ ডালের বেশন,কয়েক ফোটা গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল (ক্যাপসুলের ভেতরে থাকা তরল ওষুধ ) মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাক মুখে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। মুগ ডালের বেসন অতি সংবেদনশীল তাদের জন্য চমৎকার ক্লিনজার। এটি ত্বকের মৃত কোষ সরে যাবে, ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে,ত্বকের বিভিন্ন স্থানে রঙের অসামঞ্জস্য দূর হবে।
স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়
সুন্দর ত্বক বা সুন্দর চেহারা কে না চায়। নিজেকে সবসময় সুন্দরও আকর্ষণের রাখাটা যেন জীবনের একটা অংশ। টমেটো এক ধরনের লাইকোপেন নামক উপাদান পাওয়া, যা সব ধরনের ত্বকের দাগ সীমিত সরিয়ে দেয়। আমাদের দেশে অনেকে ত্বকের যত্নে অনেকেই নিয়মিত ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে থাকেন।ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়।আজকে আমাদের বিষয় হলো কিভাবে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় মাত্র সাত দিনে।চলুন জেনে নেওয়া যাক
দুধ ও কাচা হলুদ
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ বাটা মিশিয়ে পান করুন। এভাবে পান করতে না পারলে এ এর সাথে মধু মিশিয়ে নিন।নিয়মিত হলুদ মিশানো দুধ পান করলে আপনার রং হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা। সরাসরি হলুদ মাখলে অনেক সময় ত্বকে ফুসকুড়ি বা এলার্জি দিতে পারে। দুধে কাঁচা হলুদ বাটা না মিশাতে পারলে আরেক টা কাজ করুন।দেড় ইঞ্চি সাইজের এক টুকরো হলুদ নিন।
আরো পডুনঃওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
তারপর করে কেটে এক গ্লাস দুধের দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। দুধ
গাঢ হলুদ রং ধারণ করলে পান করুন। এভাবে করে পান করতে থাকুন।এই নিয়মগুলি মেনে
চললে অবশ্যই খুব সহজে কালো থেকে ফর্সা হওয়া যায়।
হলুদ ও অ্যালোভেরা জেল
আমাদের ত্বকে পুডে যাওয়া কালো দাগ,ছোপ দূর করতে হলুদ ও অ্যালোভেরার কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরিয়ায় থাকা অ্যামিনো এসিড,এনজাইম ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়।ত্বকের যেকোনো কালো দাগ, কেটে যাওয়ার দাগ, রুক্ষতা সব সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন অ্যালোভেরা জেল ও হলুদ মিশ্রণ ব্যবহার করে।
হলুদ ও অ্যালোভেরা জেল
আমাদের ত্বকে পুডে যাওয়া কালো দাগ,ছোপ দূর করতে হলুদ ও অ্যালোভেরার কোন তুলনা নেই। অ্যালোভেরিয়ায় থাকা অ্যামিনো এসিড,এনজাইম ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়।ত্বকের যেকোনো কালো দাগ, কেটে যাওয়ার দাগ, রুক্ষতা সব সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন অ্যালোভেরা জেল ও হলুদ মিশ্রণ ব্যবহার করে।
আপনার এই প্যাকটি বানানোর জন্য দুইটা টেবিল চামচ এলোভেরা জেল ও দুই টেবিল চামচ হলুদের পেস্ট নিবেন। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে আলতো হাতে মেখে নিন। ১৫ মিনিট ত্বকে রেখে দিন। তারপর পরিষ্কার করে নেবেন। সাথে সাথে আপনার বুঝতে পারবেন ত্বক কতটা মিশ্রণ ও ফর্সা হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ে গায়ের রং ফর্সা করার রয়েছে সহজ উপায়।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার অপকারিতা
রূপচার সব ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান অবশ্যই ভালো না। সাধারণত হাতের কাছে বা রান্নাঘরে যেসব উপাদান থাকে, রূপচর্চা অংশ হিসেবে উপকরণ ত্বকে ব্যবহার করেন অনেকে। যেমন কাঁচা হলুদ, বেসন, শসা, এলোভেরা এছাড়াও মূলতানি মাটি, চন্দন, চিনি এসব ব্যবহার করেন।কিন্তু প্রতিটি জিনিস ত্বকে ধরণ অনুযায়ী ব্যবহার করতে বলেন অনেক ডামাটোলোজিস্টরা।ত্বকের ফর্সা রঙ্গের জন্য অনেকেই হাহাকার করেন।পরিপারিশ্বিক অবস্থা জেরে ছোটবেলা থেকেই গায়ের রং ফর্সা করার মনোভাব থাকে অনেকের মধ্যেই।এজন্য ছোটবেলা থেকে ক্রিম মাখতে শুরু করে অনেক কিশোর কিশোরী।ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়। এগুলো ব্যবহার ফলে সম্পতিক ফর্সা হলেও কিছু দিন পর থেকে ত্বকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়,যেমন-ব্রণ,মেছতা,কালোদাগ,রোদে পোড়ার মতো ত্বক ইত্যাদি।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার অপকারিতা জেনে নিই
- প্রাকৃতিক উপকরণ সরাসরি তোকে ব্যবহার করলে অনেকের এলার্জিক রিয়াকশন হতে পারে।
- অনেকে ত্বকের যত্ন চিনিও কফি ব্যবহার করেন। চিনি ও কফি দানার মত মুখে সরাসরি মেসেজ করলে ত্বকে স্ক্র্যাচ পড়তে পারে। লাল হয়ে চামড়া উঠে যেতে পারে।
- অনেকে লেবু ও টমেটো ব্যবহার করেন রূপচর্চায়। তাদের ধারণা এতে সান টান কম হবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে । কিন্তু লেবু ও টমেটো এর মধ্যে সাইটেক অ্যাসিড ও ল্যাকটিক এসিড থাকে। যার কারণে ত্বকে লেবু ও টমেটো ব্যবহার করলে অনেকের ব্রান হয়ে যেতে পারে,জ্বালাপোড়া, চুলকানি হতে পারে।
- কাঁচা হলুদ, বেসন, চন্দন বিভিন্ন উপাদান মিশ্রণে বাজারে যেসব উপাদান পাওয়া যায় তা খুবই কার্যকরী নয়।
- মুলতানি মাটি ত্বক শুষ্ক করে। যার ত্বক শুষ্ক তিনি যদি না জেনে ব্যবহার করেন তাহলে তার ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যাবে।
- যেকোনো প্রাকৃতিক উপকরণ মুখে অনেক বেশি ঘোষাঘোষি করা যাবে না। অনপক ধরে রাখা যাবে না। একটার পর একটা ব্যবহার করা যাবে না পরপর। তাতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে যেতে পারে।
- ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।
- ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
- শাকসবজি ফলমূল ও সালাদ খেতে হবে।
- প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
- চিনি কম খেতে হবে ত্বক ভালো রাখতে।
- ব্যায়াম করতে হবে শরীর থেকে ঘাম ঝরে প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা হাটাহাটি করতে হবে।
শেষ কথা
সুন্দর ত্বকের পূজারী সবাই।সবাই সুন্দর ও ফর্সা হতে চাই। এই ফর্সা হওয়ার চক্করে অনেকে নিজের ত্বক নষ্ট করে ফেলছে। অনেকে ফর্সা হওয়ার জন্য বাজার থেকে সস্তা দামের অনেক কেমিক্যাল পণ্য নিয়ে আসেন। এগুলো সাম্প্রতিক ত্বক উজ্জ্বলতা করে। কিছুদিন পর এসব ক্যামিকেলের কারণে আমাদের ত্বকে অনেক ধরনের রেস বের হয়।প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। ত্বকে সুস্থতার জন্য বাড়তি খেয়াল রাখুন।পরিপারিশ্বিক অবস্থা জেরে ছোটবেলা থেকেই গায়ের রং ফর্সা করার মনোভাব থাকে অনেকের মধ্যেই।এজন্য ছোটবেলা থেকে ক্রিম মাখতে শুরু করে অনেক কিশোর কিশোরী।এই গরমে নিজের ত্বক ভালো রাখতে পানীয় তরল খাবার খেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ। আর যারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন। তারা অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ মেনে বা ত্বকের কোয়ালিটি দেখে এগুলো জিনিস ব্যবহার করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url