বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় -কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়
আর্থ্রাইটিস মূলত গিরার প্রদাহ। সহজ করে বলতে প্রদাহজনিত ব্যথার কারণে সাধারনত বাত রোগ।বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়।এটি অস্থির সন্ধির একটি গুরুত্ব ও সমস্যা। এই রোগ দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধির তীব্র ব্যথা হয় দেখা দেয় ফুলে ওঠা ও জড়তার মতো সমস্যা। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।
অনেকেই ভাবেন বয়স বাড়লে এই ঝুকিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু যে কোন বয়সের এই সমস্যা হতে পারে। অনেক খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনফ্ল্যামেটরি বা ব্যাথা উপদ্রপকারী।তাই বাতের ব্যথার থাকলে কিছু খাবার এডিয়ে চলতে হবে। আবার কিছু খাবার খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।
সূচিপএ
- বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
- বাতের ব্যথার লক্ষন কি কি
- বাতের ব্যথার ব্যায়াম
- কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
- বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ
- বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
- রস বাতের লক্ষন
- গেটে বাতের লক্ষন
- রস বাতের ওষুধ
- শেষ কথা
বাতের ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়
বাতের ব্যথা খুব একটি সাধারন সমস্যা। বিশেষ করে শীতকাল এই সমস্যা অনেক বেড়ে যায় বাতের ব্যথায় অনেকে কর্মক্ষমহীন হয়ে পড়ে।বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়। কয়েকটি বিষয় মেনে চললে বেশিও অস্থির সন্ধির এই যন্ত্রণাদায় ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।শীতের দিনে তাপমাত্রা কম থাকার বাতের ব্যথা সমস্যা অনেকেই পড়ে যায়। যারা এই রোগের আগে ভুগছেন শীতের দিনে তাদের শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায় ।
বাতের ব্যথা আক্ষরিক ব্যাখ্যা হলো একবার একাধিক জয়েন্টে প্রদাহ, ফোলাভাব এবং কোমলতা যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম করার ক্ষমতা বেশি সীমিত করে তোলে।বয়স্করা এ রোগে ভীষণ ক্লান্ত হলেও সাম্প্রতিক 25 থেকে 40 বছর বয়স হচ্ছে । এজন্য ঠান্ডার দিনগুলোতে কয়েকটি বিষয় মেনে চললে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য যা করতে হবে তা হলো কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
আমাদের দেশের সব আবহাওয়ার জন্য হাইড্রেশন অনেক জরুরী শরীরকে হাইটেক রাখার জন্য সবার আগে যে বিষয়টি করতে তাহলে পয়াপ্ত পরিমানে পানি খাওয়া।এতে করে বাতের ব্যথার সমস্যা যেমন দূর থাকে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে । পানি ছাড়া আমাদের শরীরের হাইটেক রাখার জন্য স্যুপ,জুস ইত্যাদির মধ্যে তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। কিন্তু যে কোন বয়সের এই সমস্যা হতে পারে।
প্রয়োজনে ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খেলে জয়েন্টের ব্যাথার থেকে অনেক ভালো থাকা যায়।হাঁটতে কষ্ট হবে। গোড়ালি ফুলে যাবে।অনেক সময় পিঠে ব্যথা করবে ।চোখ লাল হতে পারে এজন্য খাবার তালিকা ওমেগা থ্রি,ফ্যাটি আসিড, ভিটামিন ডি, যেমন সালমান সয়াবিন আখরোট ইত্যাদি খাবার সঠিক পুষ্টি গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাঁটতে কষ্ট হবে। গোড়ালি ফুলে যাবে।অনেক সময় পিঠে ব্যথা করবে ।চোখ লাল হতে পারে।
মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে দু হাতের তালু মেঝের উপর রাখুন।এ বার বা পা আস্তে আস্তে করে তুলুন। মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি করে তুললে ভালো।পাচ সেকেন্ড পা তুলে রাখুন।তারপর ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন।এই পদ্ধতিতে ডান পা ওঠান এবং উপরে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়।শুরুর দিকে দুই পা চারবার করে। এই পরে ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে আট থেকে দশবার পর্যন্ত করাতে পারেন লেগ রেজ সেট।
পুস আপস এমন একটি ব্যায়াম যা শরীরে মাংসপেশি মজবুত করতে সাহায্য করে। প্রথমে মাটির দিকে শুয়ে পড়ুন। এইবার হাত এবং পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহ সমান্তরাল ভাবে তুলে রাখুন। কুনুই ভাজ করে একবার মাটির কাছাকাছি আবার কোন সোজা করে মাটি থেকে দূরে নিয়ে যান। দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়ে করা যেতে পারে এই পুস আপাস ব্যায়ম।
বাতের ব্যথার লক্ষন কি কি
বাতের ব্যথার লক্ষন কি কি কারনে হয চলুন জেনে নিই।বাত ব্যাথা বলতে আমরা বুঝে গিটে জয়েন্টে ব্যথা ফুলে যাওয়া বাঁকা হয়ে যাওয়া কাজ করতে সমস্যা হওয়া।জয়েন্টের আশপাশে মাংসপেশীতে ব্যথা এবং টেন্ডু লিগামেন্ট ব্যথা। বাত ব্যাথা কে মেডিকেল ভাষায় বলে রিউমাটিলজি। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।এই রিউমাটিলজি অন্তর্গত একটি বিষয় হলো বাত ব্যাথা।এছাড়া আরো কিছু রোগ আছে যেগুলোকে বলে সিস্টেমিক আটোইমিউন ডিজিজ।
যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরের কাজ করে তা বলতে আমরা বুঝি গিটে জয়েন্টে ব্যথা ভুলে যাওয়া,বাকা হয়ে যাওয়া,কাজ করতে সমস্যা হয়।জয়েন্টের আশ পাশের মাংসপেশিতে সাথে ব্যথা এবং টোন্ডো বা লিগামেন্টে ব্যথা। আর সিস্টেমিক আটোইমিউন ডিজিজ বলতে বোঝায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।আমাদের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। এইসব রোগের ব্যাপ্তি গুলো ব্যাপক।এসব আমাদের গেটে ব্যথা হতে পারে চোখ ত্বক ও কিডনি আক্রান্ত হতে পারে।
বাত ব্যথা হওয়ার কারন
কয়েকটি কারণে রোগটি হতে পারে। তার মধ্যে একটি হল জেনেটিক। কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে।যেমন কারো বাবা-মা ও রক্ত সম্পর্কের মাঝে যদি এই রোগের ইতিহাস থাকে তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম এ রোগে আক্রান হতে পারে।পরিবেশের কারনে রকম হতে পারে। যেমন কিছুদিন আগে আমাদের দেশের চিকনগুনিয়ার পর অনেকের বাত ব্যথা হয়েছে। আরেকটি হলো জীবন অভ্যাসের পরিবর্তন যেমন কম কায়িক শ্রম করে থাকে।
এতে স্থুলতার বৃদ্ধি পায় ফলে হাঁটুর গিটে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। সেখান থেকেও বাত ব্যথা হতে পারে।আবার অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে বাত ব্যথা হতে পারে। যেমন খেলোয়াড়েরা বা শ্রমিকের মাংসপেশি বেশি ব্যবহার হয়। সে ক্ষেত্রেও বাত ব্যথা হতে পারে।বয়স জনিত কারনে বয়স্কদের অনেকের বিশেষ করে মহিলাদের ম্যানোপোজের পরে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এ ছাড়া বাত ব্যথার আরও অনেক কারণ রয়েছে।
বাত ব্যথা বোঝার উপায়
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়।বেশি পরিশ্রম করার পর যেমন দৌড়াদৌড়ি করার পর যখন ব্যথা অনুভব হয়।এছাড়া ঘুম থেকে ওঠার পর বেশিক্ষণ জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। কিন্তু কাজ করার পর কমে যায়। হাতের গিটগুলোতে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া, মহিলাদের ক্ষেত্রে হাঁটুতে ব্যাথা পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা।বসা থেকে ওঠতে কষ্ট হয়। কষ্ট হয় এবং সিড়ি উঠতে কষ্ট হলে বুঝবেন আপনি এর একটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
বাচ্চাদের যদি গিটে ব্যথা হয় বা গিট ফুলে যায় অথবা বাচ্চা যদি হাঁটতে না পারে তখন সবাই মনে করে বাচ্চাটির বাত জ্বর হয়ছে। যেটি আসলে একটু ভুল ধারণা। বাচাদের অনেক রকমের বাত ব্যথা হয়ে থাকে। বাদ জ্বরে বৈশিষ্ট্য ও প্রবাহ দুই ধরনের প্রাপ্ত হয় যেমন বাত জ্বরে বাচ্চার জয়েন্ট ফুলবে না । শুধু জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হবে।বাত ব্যথা একটা জয়েন্টে থেকে আরেক জয়েন্ট মাইগ্রেট করে। আর প্রদাহজনিত বাত ব্যথায় জয়েনগুলো ফুলে যাবে।
বাত ব্যথাকে দমিয়ে রাখা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব। অনেক উন্নত ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে সে ক্ষেত্রে রিউমাটোলিজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক।কিডনি রোগ বা ডায়াবেটিক হলে যেমন সারা জীবন ওষুধ খেতে হয়। তবে সেটি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।তখন ব্যথার ওষুধ কম খেতে হবে। কারণ ব্যথার ওষুধ শরীর অনেক ক্ষতি। ওষুধ হচ্ছে বাত চিকিৎসার প্রধান ওষুধ।কিন্তু এর বাইরে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যেমন সুষম খাবার খাওয়া সাথে শরীলের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ।
সুবিধামতো সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবে এই ব্যায়ম গুলো অবশ্যই বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে। এছাড়াও খাদ্য তালিকা পরিবর্তন হতে হবে যেমন শকরা জাতীয় খাবার কম খাওয়া। শাকসবজি ফলমূল নিয়মিত খাওয়া।এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি গ্রহন করা।হাড়ের ক্ষয় থেকেও এই ব্যথার সৃষ্টি হয়। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়। এ ধরনের ব্যথাকে বলে এছাড়া ইনজেকশন যক্ষা ক্যান্সার এমন কি পিওথলি ও অগ্ন্যাশয়ে অসুখ থেকে কোমর ব্যাথা হতে পারে।
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
জীবন যাপনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি দেহের ওজন ঝরাতে পারলে বাতের ব্যথার আক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করেন আমেরিকার ' সেন্টার ফর ডিজি জ. কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন'।ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশির গঠন এবং অস্থির সন্ধির বৃদ্ধি করা ও জরুরী। বয়স কম হলেও আজকাল অনেকেই পেয়ে বসে বাতের ব্যথা। অফিসে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা শরীর চর্চা না করা।
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি ভিটামিন ডি এর অভাবে এই ব্যাথার ক্রমশ বেড়েই চলেছে।এছাড়াও ওজন বাড়লে হাঁটু কোমর ব্যথাও বাড়ে।হাঁটতে কষ্ট হবে। গোড়ালি ফুলে যাবে।অনেক সময় পিঠে ব্যথা করবে ।চোখ লাল হতে পারে। তাই জীবন-যাপনের খানিক পরিবর্তন আনা জরুরি।যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিট কন্ট্রোল এন্ড প্রভিশন সুস্থ থাকলে কয়েকটি ব্যায়েম এর কথা বলেছে যে গুলো নিয়ম মেনে করলে বাতের ব্যথা কমবে।
সমস্থিতি বা তড়াসন
এই ব্যায়ামে দুই পা কাছাকাছি এনে দাঁড়াতে হবে। দুই হাতের আঙ্গুল পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ করে উপর দিকে তুলে দিতে হবে। এই অবস্থায় ধীরে ধীরে গোড়ালির মেঝে থেকে তুলতে হবে। সম্পূর্ণ ক্লিয়ার শরীর হালকা রাখতে হবে। তারপর প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন। এবার হাত ও পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে মাটি থেকে দেহে সমান্তরালে ভাবে তুলে ধরুন। কুনই ভাজ করে একবার মাঠের কাছে আবার কুনই সোজা করে মাটি থেকে দূরে নিয়ে যান।
শুরুতে অসুবিধা হলেও দেওয়ালের সোজাসুজি দাঁড়িয়ে করা যেতে পারে এই ব্যায়াম। হাড়ের ক্ষয় থেকেও এই ব্যথার সৃষ্টি হয়। বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়। এ ধরনের ব্যথাকে বলে এছাড়া ইনজেকশন যক্ষা ক্যান্সার এমন কি পিওথলি ও অগ্ন্যাশয়ে অসুখ থেকে কোমর ব্যাথা হতে পারে। পড়ন্ত বয়সে কিংবা একটু বেশি বয়সে হলে বিভিন্ন কারণে হাঁটু ব্যথা হতে পারে।
মাটিতে টানটান হয়ে শুয়ে দু হাতের তালু নিজের উপর রাখুন। এবার বাম পা আস্তে আস্তে উপরে তুলুন। ৪৫ ডিগ্রি কোণে তুললে ভালো। ৫ সেকেন্ড এভাবে পা তুলে রাখুন ও তারপর ধীরে ধীরে নামিয়ে নিন।একই পদ্ধতিতে ডান পা উঠান ও উপরে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। শুরুর দিকে দু পা চারবার করে এই লে ব্যায়াম করতে পারেন। পরে আস্তে আস্তে ৮-১০ বার পর্যন্ত পাঠাতে পারেন লেজ রেজের সেট।
এই ব্যায়াম দাঁড়িয়ে করতে হবে। হাত দুটি সামনের দিকে তুলে রাখুন চাইলে মুঠো করে রাখতে পারেন। এবার অল্প বাসার চেষ্টা করুন তবে পুরোপুরি নয়।অর্ধেক বাসার ভঙ্গি পর্যন্ত রেখে উঠে পড়ুুন।এভাবে অন্তন ১০টি সেট করতে হবে।এই হাফ স্কোয়াট করতে সাধারণত ব্যথা হওয়া উচিত নয়।তবে কারো ব্যথা হলে তাও প্রাথমিক। নিয়মিত অভ্যাস করলে স্কোয়াড বা হাফ স্কোয়াড ব্যাথা হবে না ।
এক্ষেত্রে ব্যায়াম সমস্থিতি থেকে শুরু করতে হবে। এ অবস্থায় থাকা কালীন যোকোনো একটি পা পিছন দিকে সোজা করে দিতে হবে। এর ফলে শরীর সামনের দিকে ঝুকে পড়বে। ধীরে ধীরে সম্পন্ন দেহ ও পিছনে তোলা পা মাটির সঙ্গে অনুভূমিকা হয়ে যাবে।দেহের সম্পন্ন ভার এক্ষেত্রে একটি পায়ের ওপর থাকে।নিয়মিত পদ্মাসন করলে বাত ব্যথার থেকে উপশম পাওয়া যায়।
এ ব্যায়মে ডান পায়ের উপর দাঁড়িয়ে বাম পা ভাঁজ করে ডান পায়ে পায়ের হাঁটু ছুতে হবে।এই অবস্থা দুই হাত উপর দিকে তুলে জোর হাত করে দাড়াতে হবে।সম্পন্ন ব্যায়মটি করার সময় শ্বাস ধীরে ধীরে গ্রহণ ও ত্যাগ করতে হবে।
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথায় থেকে উপশম পাওয়া জন্য কি খাবেন
- বিভিন্ন মসলা আদা দারুচিনি ও রসুনের প্রদাহনাশক রয়েছে। ফলে আদা রসুন নিয়মিত খেলে করতে পারে বাতের ব্যথা।
- ব্রকলিও প্রদাহনাশক গুণে সমৃদ্ধ।ব্রোকলি সালফোরাফেনের মতো একাধিক প্রদাহণাশক উপাদান রয়েছে।যা বাতে ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- আখরোট ওমেগা থ্রি ৩ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আথারাইটিসের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- পালং শাকের প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।বিশেষত ক্যাম্পফেরেল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বাতের ব্যথা কমাতে খুবই উপকারী।
- দুধ দুগ্ধজাত খাদ্য ও ছোট মাছ খাবেন। এতে ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ হবে।লাল চাল লাল আটায় বা ভুট্রায় আছে ভিটামিন বি ১২।যা বাতের রোগের জন্য খুবই উপকার।
কি খাবেন না
- অতিরিক্ত চিনি খাওয়া বাতের ব্যথার বৃদ্ধি করতে পারে। বিশেষ করে ক্যান্ডি ঠান্ডা পানিও কিংবা আইসক্রিম যে অতিরিক্ত মিষ্টি থাকে তা বাতের ব্যথার সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
- গুটেন সমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে বাতে সমস্যা।গম বালির মত দানা শয্য থাকে এক গ্লুটেন নামক এক বিশেষ প্রোটিন।যা বাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসকের।
- প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রেড় মিট প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে বাডতে পারে বাতের ব্যথা। এ ধরনের মাংসে ইন্টারলিউকিন,সি-রিয়্যাক্টিভ,প্রোটিন ও হোমোসিস্টইনের মতো উপাদান থাকে যা প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে।গলুটেন সমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে বাতের সমস্যা।
- অতিরিক্ত মধ্যপানে বাতের সমস্যা বাড়িতে পারে। অ্যালকোহল ও অস্টিওআথারাইটিসের ঝুকে বাড়িয়ে দেয়।
- বাতের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলতে হবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কারণ সোডিয়াম বাইরে দিতে পারে বাতের ব্যথা।
- টমেটো লেবু আমড়া জাতীয় ফল শিকড় জাতীয় খাবার খাবেন না।এগুলো বাত ব্যথার কারণ হতে পারে।
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ
সাধারণত বয়স্করা গিটের বাতের ব্যাথা সমস্যার বেশি ভোগন।তবে যে কোনো বয়সী সমস্যা হতে পারে। এই ব্যথাকে অবহেলা না করে এখন থেকেই সতর্ক হওয়া ভীষণ জরুরি।অনেকেই ভাবেন বয়স বাড়লে এই ঝুকিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু যে কোন বয়সের এই সমস্যা হতে পারে। অনেক খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনফ্ল্যামেটরি বা ব্যাথা উপদ্রপকারী।তাই বাতের ব্যথার থাকলে কিছু খাবার এডিয়ে চলতে হবে। আবার কিছু খাবার খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।
- অত্যাধিক মাএায় টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারের নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখুন।ভাজাভুজি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরত্ব বানিয়ে চুলন।
- খাবারের দেশে ঘি ব্যবহার করুন।অলিভ অয়েল রান্না করে খেতে পাবেন। সাদা তিল গেটে বাতের ব্যথা দূর করতে দারুন উপকারি।রান্নায় তিল ব্যবহার করতে পারেন তিল খাবারে স্বাদ এর পাশাপাশি ব্যথা কমতে সাহায্য করে।
- অলিভ অয়েলের সাথে লবন মিশিয়ে ব্যথার জায়গা মালিশ করতে পারেন। অলিভ অয়েল অ্যান্ড অক্সিডেন্ট ভরপুর। লবণে প্রচুর মাত্রা ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম কপার জিঙ্ক থাকে।এই দুই উপাদান সহজে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। সরিষার তেল এবং কস্টার অয়েল ব্যথা কমাতে দাঁরুন উপকারী।
- কুসুম গরম পানিতে মিশে তার মধ্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাটু ঢুকিয়ে রাখুন।হট ওয়াটার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।ব্যথা কমাতে দিনে দুইবার থেকে তিনবার এই টোটকা মেনে চলুন।
- দুই কাপ দুধের সঙ্গে এক চামচ বাদাম আখরোটের গুড়ো ও সামান্য মাত্রায় হলুদের ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।বেশ কিছুক্ষন ফুটিয়ে নিন মিশ্রণের অধেক হয়ে গেলে ঠান্ডা করে খেয়ে ফেলুন। নিয়মিত এই দুধ খাদ্য তালিকায় রাখলে ব্যথায় আরাম পাবেন। আদা খেলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটা কমে। এক্ষেত্রে আদা দেওয়া চা খেলেও উপকার পাবেন।
বাতের ব্যথায় ঘরোয়া প্রতিকার
ঘৃতকুমারী:ঘৃতকুমারী বিরোধী নিরাময় বৈশিষ্ট্য আছে। এটি রোদে পোড়া চিকিৎসার জন্য একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। জয়েন্টের ব্যথা তাই আপনাকে সাহায্য করতে পারে ঘৃত কুমারী।অ্যালোভেরার কোনো নেতিবাচক গ্যাস্টোইনটেস্টাইনাল প্রভাব নেই।এটা কিছু ননস্টেরওরাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধের তুলনায় এটিকে ভালো কাজ করে।আপনি অ্যালোভেরা বডি পাউডার জেল এবং পাতার আকার পেতে পারেন।
জেলটি সরাসরি ত্বকে লাগানো নিরাপদ।এ অধ্যয়গুলি পরামর্শ দেয় যে মুখ দিয়ে ঘৃতকুমারি গ্রহন অস্টিওআথারাইটিস ব্যথা উপশম করতে পারে।এই পদ্ধতিটি সবার জন্য নিরাপদ নয় এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিযা থাকতে পারে । এটি ডায়াবেটিসের ওষুধের পাশাপাশি কম গ্লুকোজের মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। এলোভেরা ব্যবহার করার আগে আপনার কোন সমস্যা নেই তা নিশ্চিত করে ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করে এটা ব্যবহার করা উচিত।
- জয়েন্টর ব্যথা উপশম করে
- ফোলা কমানো
- গতিশীলতা বাড়ান
আদা একটি ভেষজ বেশিরভাগ ভারতীয় উপমহাদেশের রান্নাঘরে ব্যবহৃত হয়। আদার ব্যতিক্রমী অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি জয়েন্টের ব্যাথা এবং ফোলা ভাব কমায়। এটি রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে তোলে যা প্রভাবিত এলাকায় নিরাময়ের সহায়তা করে। আপনার জয়েন্টের আঁধার পেস্ট লাগান। আধার অপরিহায্য তেল ব্যবহার করতে পারেন। গবেষণা দেখা গেছে যে যৌগগুলি আদার স্বাদ দেয় তাতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট রয়েছে।
রস বাতের লক্ষন
রস বাতের উপসর্গ বা লক্ষণ
- হাত ব্যবহারে অক্ষমতা
- হাটতে অক্ষমতা
- অস্বাচ্ছন্দ্য এবং গ্লানি বোধ
- ওজন কমে যাওয়
- পেশির ব্যথা ও দূবলতা
- পরিমিত ঘুম না হওয়া
- শরীরের যেকোনো অংশ ফুলে ওঠা বা ফুলা ভাব হওয়া
- বিভিন্ন জয়েন্টে বেতন ভোগ করা
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাত খাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়
রস বাতের চিকিৎসা
প্রতিরোধঃপ্রতিরোধ বাতের সমস্যা থেকে উপশমের উত্তম উপায়। রোগ দেখা দিলে ওষুধের মধ্যমে প্রতিকার পাওয়া যায় তবে যখন অ্যালকোহল এবং যেসব খাবার গ্রহণ করলে ইউরিক এসিড মুজুদ হয়ে যায় যেসব থেকে দূরে থাকা অবশ্য কর্তব্য। এছাড়া রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে নিয়মিত ব্যায়ম করতে হবে সুষম খাবার ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে।
গেটে বাতের লক্ষন
গেটে বাতের লক্ষণ হচ্ছে ভয়াবহ ব্যথা হয়।রোগে আক্রান্ত স্থানের হাতে দেয় না। অন্যান্য জয়ন্ত ফুলে যেতে পারে এবং হাড় ও তরুণাস্থি ক্ষয় হতে থাকে।মনোসোডিয়াম ইউরেট মনোহাইড্রেট নামে এক ধরনের ক্রিস্টাল জয়েন্টে জমা জয়েন্ট ফুলে যায়।আমাদের শরীরে রক্তের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড নামে এক প্রকার উপাদান থাকে। এই ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন জয়েন্টে প্রদাহ হয়। এই প্রদাহ গেটেবাত বলা হয়।
ছেলেদের এই অসুখ বেশি হয়। যারা আর্থিক ভাবে সচ্চল তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি । অনেকেই ভাবেন বয়স বাড়লে এই ঝুকিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু যে কোন বয়সের এই সমস্যা হতে পারে। অনেক খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনফ্ল্যামেটরি বা ব্যাথা উপদ্রপকারী।তাই বাতের ব্যথার থাকলে কিছু খাবার এডিয়ে চলতে হবে। আবার কিছু খাবার খেতে হবে সুস্থ থাকার জন্য।
বিভিন্ন কারনে এই সমস্যা দেখা দেয়।এসবের মধ্যে আছে
- দেহের অতিরিক্ত ওজন
- প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ
- মদ্যপান
- কিডনির অসুখ
- জেনেটিক বা পারিবারিক
- পলিসাইথিয়া বা লোহিত রক্তকণিকা বেড়ে যাওয়া
- বিভিন্ন ওষুধের ব্যবহার
- হিমলাইটিক অ্যানিমিয়া ইত্যাদি
চিকিৎসা ও প্রতিকার
কেন হয়
গেটে বাত হলে হাত ও পায়ের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। যাতে হাত বা পায়ে কোনো আঘাত না লাগে। কারণ হাত বা পায়ে আঘাত লাগলে এই রোগের তীব্রতা বেড়ে যায় ।
সরাচল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উওর
উওরঃকারফেন্টানিল,একটি সিন্থেটিক ওপিওড,ফেন্টানাইলের ১০০ - গুন শক্তিশালী সংস্করণ।এতে হেরোইনের ৫০০০ গুন এবং মারফিনের ১০,০০০ গুন বেশি।মাদক দ্রব্যে কার্ফেন্টানিলের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে,এবং এই পদাথটি প্রায় অত্যধিক মাএায় এবং মৃত্যু ঘটায়।
উওরঃ এক্ষেত্রে NSAI যেমন ন্যাপ্রক্সেন,আইবুপ্রফেন,ইনডোমেথিসিন খুবই কার্যকর।আক্রান্ত জয়েন্টে বরফ লাাগলে কিছুটা উপশম পাওয়া যায়। কোলচিসিন একটি কার্যকারী ঔষুধ তবে এটি বমি ও ডায়রিয়া করতে পারে।কার্টিকোস্টেরয়েড় জাতীয় ঔষুধ রোগের জন্য তীব্রতা কমাতে খুবই ফলপ্রসূ।
উওরঃওজন বেশি থাকলে কমাতে হবে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ মাংস কবুতর খাসি,হাস, মুরগি, ডিম, শিমের বিচি কলিজা ইত্যাদি খাওয়া যত সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। যেসব রোগের কারনে গেটের ব্যাথা হয় যেসব রোগ যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে। কিছু ওষুধ দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url