পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা-পালং শাকে কি এলার্জি আছে

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থেকে শুরু নানা ধরনের খনিজ থাকে এই থাকে। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই শাক। স্বাদে এমনকি পুষ্টিত অনন্য পালং শাক। পালং শাক একটি শীতকালীন সবজি যাতে রয়েছে শারীরিক সুস্থ ও সরল রাখার জন্য প্রচুর পুষ্টি উপাদান। 




বিভিন্ন অসুখে বিসুখে দূরে রাখতে খাবারের তালিকায় পালং শাকটি রাখা য়েতে পারে। পালং শাক খেতে যেমন মজা তেমনি কাজও দারুন। শাকটি খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতা। পালং শাকে এক্সিলেন্ট থাকে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এই শাকে থাকা ভিটামিন কে রক্ত পাতলাকারী ওষুধের ক্ষেত্রে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। 

 পেজ সূচিপএ: পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

 পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

 পালং শাক একটি শীতকালে সবজি। যাতে রয়েছে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য প্রচুর উপাদান। বিভিন্ন প্রকারঅসুখ-বিসুখে দূরে পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতাপালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা রাখতে খাবার তালিকা পালং শাক রাখা যেতে পারে। পালং শাকের বীজ কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায় এবং এর কচি পাতায় ফুসফুস কন্ঠনালী সমস্যা,শরীল জালাপোড়া সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।




 জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের জন্যই এই শাক বিশেষ উপকারী। পোড়া ঘায়ের ক্ষতস্থানে ব্রণে বা কালচে হয়ে গেলে টাটকা পালঙ্ক পাতার রসের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।পালং শাকের উপকারিতা পালং শাক একটি সুপার ফুড।সুপার ফুট বলার অনেক কারণ হয়েছে। এতে কালোরি পরিমাণ খবুই কম। এটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন উপায় আপনার স্বাস্থ্যের উপকার করে। পালং শাক খনিজ ভিটামিন যেমন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন ভিটামিন সি কে সমৃন্ধ। 
আপনার ডায়েটে নিয়মিত এই সুপার ফুট যোগ করলে ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। রক্ত হিমোগ্লোবিন মাত্রা বাড়াতে এটি একটি ভালো বিকল্প। যেহেতু পালং শাকের একটি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে, তাই এটি আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহায়তা করতে পারে। চলুন পালং শাকের কয়েকটা উপকারিতা সম্পকে জানা যাক?

 রক্তচাপ কামাতে:পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রা ম্যাগনেসিয়াম। এর ফলে নিয়মিত পালং শাক খেলে তা আমাদেয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
 দেহের ওজন কমাতে:যদি কম কালোরি যুক্ত খাবার বাছাই করতে চান পালং শাকের বেছে নিতে পারেন।কারণ প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালোরি যা আপনার শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
 কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে:যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তাদের ভালোভাবে জীবন যাপন করাটা অনেক কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়।অনেকে আবার কোষ্ঠকাঠিন্য এর ভয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে ভয় পান পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আশ থাকার ।পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা।ফলে এটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নির্ভয়ে পালং শাক খেতে পারেন। 
 ত্বকের ভালো রাখতে:পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আদ্রতা বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করো। এটা বিভিন্ন ধরণের ত্বকের সমস্যা যেমন বালি রেখা,ব্রণ,কালো ছাপ পড়া দূরীকরণের বেশ কার্যকর। এছাড়াও এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতীকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে। 
 দেহের ক্লান্তি ভাব দূর করতে:পালং শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য জরুরী। এছাড়াও পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের পুনরোজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এতে আমাদের শরীরের ক্রান্তিকভাবে দূর হয়। এছাড়াও এই সবজি আমাদের রক্তে চিনির মাএা নিয়ন্ত্রণ করে। 
 প্রবাহ জনিত সমস্যা রোধ করতে:পালং শাক রয়েছে নিওজেন্থিন উৎপাদন। যা প্রদাহ নিরাময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের জযেন্ট ব্যাথা সমস্যা আছে তারা অব্যশই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখতে পারেন এবং উপকৃত হবেন।  
ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে কাজ করে:পালং শাকের রয়েছে দশটার বেশি বিভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ংকর রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে এই পলিনিউট্রিযেন্টস গুলো দেহের ফ্রি রেডিকেলকে নিরক্ষেপ করে।ফলে দেহ থাকে ক্যান্সার আক্রমন থেকে মুক্ত। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি থাকা এক কথায় বঞ্চনীয়।পালং শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা।কারণ শাক সবজি ছাড়া সুষম খাবারের শতই পূর্ণ হয় না।আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখা।তাই সুষম খাদ্য উৎপাদন হিসাবে খাদ্য তালিকায় পালং শাক হতে পারে একটি আদর্শ সবজি।

 পালং শাকের অপকারিতা

শীত আসতেই  বাজারে উঠতে শুরু করে পালং শাক।পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন-এ ভিটামিন সি  এ থেকে শুরু করে নানা ধরনের খনিজ থাকে এই শাকে।স্বাস্থ্যর জন্য অনেক উপকারী এই শাক।স্বাদে এমনি কি পুষ্টিতে অন্যান্য পালং শাক।অতিরিক্ত পালং শাক খাওয়া কারো কারো জন্য বিপদজনক হতে পারে। শাকে প্রচুর পরিমাণ অক্সাইড থাকে।যা  অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এই শাকে থাকা ভিটামিন কে রক্ত পাতলা কারী ওষুধের ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
কিডনিতে পাথর জমাতে
পালং শাকে থাকে অক্সিডেন্ট যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। প্রস্রাবে অক্সিডেন্ট পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে এই পাথর গুলো তৈরি হয়।কিডনিতে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম অক্সিলেট পাথর। ১০০ গ্রাম পালং শাকে রয়েছে ৯৭০ মিলিগ্রাম অক্সিলেট থাকে।অক্সিলেট এর ঘনত্ব কিছুটা কমতে পারে। এই শাকের সঙ্গে ক্যালসিয়ামের ভিত্তিক খাবার মিশ্রিত করলে পাথর গঠন প্রতিরোধ করতে পারে। 
যদিও প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে পাশ্ব প্রতিক্রিয়াও ব্যাক্তি ভেদে হতে পারে। তবে কোন কিছুর অতিরিক্ত  খাওয়া উচিত না। বিশেষ করে আপনি যদি কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই পালং শাক খাওয়া উচিত।
রক্ত পাতলা কারী
পালং শাকে থাকে উচ্চমাত্রা ভিটামিন কে। যা রক্ত পাতলা কারী ওষুধের কার্যকারিতা কমায়। স্ট্রোক প্রতিরোধে রক্ত পাতলাকারী ওষুধ দেওয়া হয়।এমন রোগী ক্ষেত্রে পালং শাক খাওয়া কমাতে হবে। আধা কাপ রান্না করা পালং শাকল ৪৪০ মিলি গ্রাম ভিটামিন কে থাকে, এক কাপ কাচা পালং শাকে ১৪৫ মিলিগ্রাম পুষ্টি থাকে। রান্না করা পালং শাকে ভিটামিন কে এর মাত্রা বেশি থাকে শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 
কারোনারি হৃদরোগ,ক্যান্সার ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে ভিটামিন কে এর ভুমিকা আছে।
খনিজ শোষনে বাধা দেয়
কিছু গবেষণা দেখা গেছে অক্সিডেন্ট সমৃন্ধ খাবার খনিজ শোষনে বাধা দিতে পারে। অক্সলেট একটি  অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্ট।পালং শাকে এক্সিলেন্ট ক্যালসিয়াম মতো খনিজ পদার্থ  শোষনে বাধা সৃষ্টি করে।এতে অক্সিডেন্ট ও ক্যালসিয়াম উভয় থাকে।ফলে প্রচুর পরিমাণে পালং শাক খেলে ক্যালসিয়াম শোষণে ব্যবহৃত হতে পারে।ক্যালসিয়াম থাকে অক্সিডেন্টগুলো আয়রনের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে এবং স্ফটিক গঠন করে এর শোষনে বাধা দেয়।

পালং শাক থাইরয়েডের সমস্যা বাড়াতে পারে বলে মনে করা হয়।এতে থাকা গাইড্রোজেন নাম কিছু যৌগ এর সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে এ বিষয়ে গবেষনা এখনো মিশ্র।তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে পালং শাক রাখার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ]

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম 

সবুজ শাক সবজিতে  প্রচুর লুটেইন থাকে।তবে সবচেয়ে বেশি থাকে পালং শাকে। লুটেইন চর্বি জমে রক্তনালী বন্ধ হওয়া ঝুকি কামাই। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় । গবেষণাবিভিন্ন তাপমাত্রায় ভিজে, সিদ্ধ করে, এবং ভাপে পালং শাক রান্না করে দেখেছেন যে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। বেশি তাপে রান্না করলে অন্য অনেক পুষ্টি উপাদান এর মতো লুটেইন ও নষ্ট হয়ে যায়।বেশি তাপে  ফ্রাই প্যানে ভাজি করলে মাত্র ২ মিনিটে লুটেইন একবারে কমে যায়। 

ইদানিং ব্যস্ততার কারণে প্রতি বেলা  পালং শাক রান্না করে খাওয়া সম্ভব হয় না বলে মাইক্রোওভেন খাবার গরম করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছে প্রায় প্রতিটি ঘরে। গবেষনায় দেখা গেছে মাইক্রোওভেনে পালং শাক গরম করলে লুটেইন কমে যায়। তাই পালং শাক গরম না করে খেযে। তাই আমাদের কাচা পালং শাক খাওযা উচিত। কিছু নিদিষ্ট নিয়ম নিম্নরুপঃ
  • পালং সব ভালোভাবে রান্না করুন। এটি অ্যালাজেনগুলিকে বিকৃত করে এবং  তাদের হজম করার সহজ করতে সহায়তা করে।
  • কাঁচা পালং শাক খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এর মধ্যে রয়েছে সালাদ ও স্নুদি।
  • ক্রস- দূষন সম্পর্কে সচেতন হন। আপনি যদি এলার্জি নেই এমন কারো জন্য পালং শাক রান্না করছেন তবে আলাদা পাত্র এবং রান্নার পত্র ব্যবহার করতে ভুলবেন না  । 
  • পালং শাক রান্না করার সময় খুব সাবধানে রান্না করা উচিত।অনেক মানুষ এটি ভাজা উপভোগ করেন। 
  • পালং শাকে স্বাদ বাড়ানোর জন্য কিছু টক ও পাইছি চরকে অত্যন্ত উপযোগী বলা হয়।এটি ভাজা বা অন্য কোন  প্রকারে রান্না করা যায়। 
  • পালং শাক আপনি ভাজি বা ভতা হিসেবে রান্না করে খেতে পারে।

পালং শাকে কি এলার্জি আছে 

যখন খাবারে এলার্জির  কথা আসে তখন এমন কিছু খাবার আছে যা অন্য দের চেয়ে বেশি আলাদা। যাদের চেনা বাদামে রয়েছে অনেক এলার্জি থাকে তোমার জন্য এলার্জি সমস্যা হতে পারে না।এটি তো সবার জন্য এলাজি হতে পারে না। কিছু মানুষ আছে যাদের এলাজির সমস্যা হয়ে থাকে।যাদের পালনের এলার্জি সমস্যা আছে আমরা জানি যে পালং শাকের এলার্জি অন্যান্য খাবারের এলার্জির চেয়ে বেশি তীব্র হয়।

 কারণ পালং শাকের একটি প্রোটিন রয়েছে যা পরাগের মধ্যে পাওয়া যায় প্রোটিনের মত। এবং যাদের পরাহ থেকে এলার্জি হয় তাদের জন্য এটি তো সমস্যা হতে পারে। যখন এই প্রোটিন নাক গলা বা ফুসফুসের আস্তরণ আসে তখন এটি এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।নাক বন্ধ আসা, চোখ চুলকানি, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, এবং কিছু ক্ষেত্রে অ্যানাফিল্যাক্সিস হতে পারে।অ্যানাফিক্সিস একটি জীবন ক্ষতিগ্রস্ত সৃষ্টি করতে পারে।

 যখন কেউ একটি নির্দিষ্ট পদাথে এলার্জি হয়। তখন খাওয়ার ফলে এটি গলা ফুলে যেতে পারে শ্বাস নিতে কষ্ট,রক্তচাপ কমে যেতে পারে যা মারাত্মক হতে পারে।আপনি যদি মনে করেন যে আপনার পালং শাক খেলে এলাজি হতে পারে।তাহলে আপনাকে একজন ভালো ডাক্তার দেখানোর পর পালং শাক খাওয়া উচিতআপনার পালং শাক এলার্জি আছে কিনা তার একটি ত্বক পরীক্ষা এবং রক্ত পরীক্ষা করে এলার্জির সমস্যা আছে কিনা নিশ্চিত হতে পারবেন। 
পালং শাকে এলাজি আছল কিনা যত দূর জানা যায়।কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এটা হয় না।যাদের পালং শাকের রাজ্য আছে পালং শাক খাওয়ার পরে এলার্জির কোনো লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনার পালং এলার্জি আছে আশা করি এই নিবন্ধন পালং শাক সাহায্য করবে। মনে রাখবেন আপনি যদি মনে করেন যে আপনার পালং শাকের থেকে এলাজি হতে পারে তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা। 

আপনার এলার্জি কিভাবে পরিচালনা করেবেন সে সম্পর্কে তারা আপনাকে সর্বোত্তম দিতে চেষ্টা করবেন। 

 সরাচল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন উওর

প্রশ্ন:পালং শাক কাদের খাওয়া উচিত নয়? 
উত্তর: পালং শাকের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার কারণে এটি রক্ত পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে বিষক্রিয়া করে। অতএব আপনি যদি রক্ত পাতলা কারী এই ওষুধ সেবন করে থাকেন বা ডায়াবেটিসন বা কিডনিতে পাথর হওয়ার রোগী থাকে তাহলে পালং শাক এড়িয়ে চলা উচিত। 

প্রশ্ন:পালং শাক খেলে কি প্রেসার বাড়ে? 
উত্তর: ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। পালং শাক রয়েছে  পরিমাণে পটাশিয়াম। এই খনিজটি শরীরে প্রবেশ করার মাত্র সোডিয়াম বা লাবণের হারিয়ে যাওয়ার ভারসাম্য ফিরে আসে। ফলে সাময়িকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার।হ্রাস পাই

প্রশ্ন :পালং শাক বেশি খাওয়া কি ক্ষতিকর? 
উত্তর:আপনি যদি প্রতিদিন অত্যাধিক পরিমাণে পালং শাক খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীলে বিরুপ প্রভাব হতে পারে। সাধারণত এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর উচ্চ ফাইবার সামগ্রী কারণে গ্যাস,ফোলাভাব এবং ক্যাম্প পালং শাক খাওয়ার শরীরের পুষ্টির শোষণের ক্ষমতার হস্তক্ষেপ হতে পারে । 

প্রশ্ন পালং শাক বেশি খেলে কি এলার্জি হয়? 
উত্তর:যদিও পালং শাকে হিস্টামিন থাকে।যা সিউডোঅ্যালাজিক সৃষ্টি করতে পারে পালং শাকের এলার্জির হয় খাওয়ার বা শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে বিরল। এটি হজমের সময় প্রধান এলার্জি দ্রুত বিকৃতি কারণ হতে পারে।  

পালং শাকের জুসের উপকারিতা

সারা পৃথিবীর  বড় বড় চিকিৎসাকা পালং শাকের  কীর্তন করতে ব্যস্ত। তাদের কথা এ শাকে রয়েছে ভিটামিন খনিজ  অ্যান্টিঅক্সজেন্ট বা ফাইবারের ভান্ডার। তার এই শাকের ডয়েটে জায়গা করে দিলে অচিরেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে তাই তো বলাই বাহুল। তবে এ শাকের সমস্ত গুণ পেতে চাইলে মাঝে মাঝে এর জুস পান করতে পারেন। তাহলে স্বাস্থ্যের হাল এমনকি এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক রোগের ফাঁদ।

 সুতরাং সুস্থ সবল জীবন কাটাতে ইচ্ছে থাকলে দ্রুত সম্ভব পালং শাকের জুসের একাধিক চমকে দেওয়ার গুণমন সম্পর্কে জেনে নিন। নিয়মিত এই পানীয় গ্লাসে চুমুক দিন।আমি অবশ্যই বলতে পারি এটা আপনার সুস্থ সবল থাকার সহজ হবে। 
চোখের বন্ধু 
পালং শাকের জুসে রয়েছে  লিউটিন এবং জিয়াজেনেথিনের এর মত উপাদান। এমনকি এই শাক হলো ভিটামিন সি এর ভান্ডার।আর এসব উপাদান প্রধান কিন্তু চোখে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এমনকি এজ রিলেটেড ম্যাকুয়াল ডিজেনারেশন এবং ড্রাই আইজ প্রতিরোধ ও কাজে ও এদের জুড়ি মেলা ভার বলে জানাচ্ছে হেলথলাইন। তাই চক্ষু যুগলের হাল ফেরার ইচ্ছা থাকলে নিয়মিত পালং শাকের জুসের চুমুক দিতে ভুলবেন না। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে। 
ক্যান্সারের প্রতিরোধে সাহায্য করবে 
ক্যান্সারের মত একটি জটিল অসুখের ফাঁদে পড়লে রোগীর পাশাপাশি রোগীর পরিবারেও একাধিক ঝুঁকি পাওয়াতে হয়। তাই যেন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হবে এই পালং শাকের জুস আপনার সঙ্গে হতে পারে। বরং শাকের জুসে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুজুদ রয়েছে যা দেহের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি  আটকে দিতে পারে।  ক্যান্সার আটকাইতে পারে তাই করাল গ্লাসে এড়াতে চাইলে এই পানীয়ে শরণাপন্ন হতে পারেন। 
নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড প্রেসার 
পালং শাকে জুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট  যা কিনা রক্ত নালীকে প্রসারিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। রক্তনালী প্রসারিত হলে যে রক্তচাপ বিপদ সীমার নিচে চলে আসবে। তা তো সহজেই অনুমান করা যায়।শুধু  তাই নয় এ পানি হল পটাশিয়াম  ভান্ডার যা কিনা দেহে থেকে সোডিয়াম  বের করে দিতে পারে। আর এই কারণে ব্লাড প্রেসার বশে রাখা সম্ভব হয়। তাই উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা অবশ্যই এই পানিকে খাদ্য তালিকায় জায়গা করে দিন।তাহলে আপনি সুস্থ সবল জীবন কাটাতে পারবেন।  
কোষ্ঠকাঠিন্যের যম
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কি না মল নরম করার কাজে সিদ্ধ হস্ত। নিয়মিত এই শাকে জুস খেলে যে সহজেই পেট পরিষ্কার রাখা সম্ভব আলাদা করে বলার কোন প্রয়োজন নেই।এই ছাড়াও এ শাকে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা কিনা আশের
প্রকোপ কমাতে পারে। তাই তাই এ সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত পালং শাকের গ্লাসে চুমুক দিতে পারেন।তাতেই কিন্তু ব্যথা কমবে ফোলা কমবে।  

গর্ভবস্থায় পালং শাকের উপকারিতা 

গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য তালিকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।পালং শাক গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রোটিন ক্যালসিয়াম আয়রন এবং ভিটামিনের একটি চমৎকার উৎস । এটি অ্যামরান্থসিয়া পরিবারের একটি উদ্ভিদ এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে।পালং শাক কি গর্ভাবস্থায় জন্য ভালো? হ্যাঁ কিন্তু শুধুমাত্র পরিণত পরিমাণে। গর্ভবতী মহিলাদের খাদ্য তালিকায় যে অত্যাবশ্যক উপাদান গুলি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।


তার মধ্যে একটি হলো ফলিক অ্যাসিড। যা পালং শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পাওয়া যায়। ফলিক এসিড গ্রহনের মাধ্যমে জন্মগত বিকৃত এড়ানো যায়। এই শাকে আয়রন গর্ভাবস্থায় দরকারি আরেকটি প্রয়োজনে ভিটামিন। তবে খুব বেশি পালং শাক যাতে না খাওয়া হয় সেভাবে সতর্ক থাকতে হবে। গর্ভবতী মহিলাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকলে সীমিত পরিমাণে পালং শাক খাওয়া উচিত।

পালং শাকের পুষ্টিগুণ 

গর্ভাবস্থায় পালং শাক খাওয়া ভালো।পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আইরন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফলেট এবং কপার রয়েছে। উপরোক্ত এটি খাদ্য তালিকা গত ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড একটি ভালো উৎস। পালং শাকের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা মা ও শিশুর জন্য ভালো।
 ১০০ গ্রাম পালং শাকের নিম্নলিখিত পুষ্টি সরবরাহ করে 
  • ২৩ কে সি এল এল
  •  ৯৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
  •  ৭৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম
  •  পটাশিয়াম ৫৯৮ মিলিগ্রাম
  •  ২৮.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি 
  • ফোলেট ১৯৪ গ্রাম
  • ৪৯ মিলিগ্রাম ফসফরাস 
  • ৭৯ মিলিগ্রাম সোডিয়াম 

গর্ভাবস্থায় পালং শাকের উপকারিতা 

ফলিক এসিড এবং আয়রন -গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্তের পরিমাণ 30% থেকে 50% বৃদ্ধি পায়। যা শরীরের আয়রন এবং ফলিক এসিডের প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে তোলে। নিয়মিত পালং শাক খাওয়া শরীরের প্রয়োজন আয়রন সরবাহ করতে সহায়তা করে।
ক্যালসিয়াম -উচ্চ ক্যালসিয়ামের মাত্রা নিম্ন রক্তচাপের কারণ হতে পারে যেখানে কম ক্যালসিয়ামের মাত্রা গর্ভাবস্থায় সম্পর্কিত উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। পালংশাকে ক্যালসিয়ামের জৈব উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 
ভিটামিন- ভিটামিন একটা চমৎকার উৎস পালং শাক দ্বারা রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হতে পারে।গর্ভবতী মহিলারা ভিটামিন এর দৈনিক চাহিদা মিটানোর জন্য পালং শাকখেতে পারেন।এছাড়াও পালং শাকে ভিটামিন বি রয়েছে যা যা গভস্থ শিশুর সাযু তন্তে একান্তই বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়। 

গর্ভাবস্থায় পালং শাকের পার্শ্ব প্রতিক্রিযা 

  • পালং শাক সাধারণত গর্ভাবস্থায় জন্য ভালো। কিন্তু অত্যাধিক পালং শাক খাওয়া কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে  
  • কিডনির ক্যালসিয়ামের ফসফেট পাথর গর্ভবতী মহিলাদের বেশি হতে পারে বিশেষ করে দ্বিতীয়  এবং তৃতীয় মাসের। তার উপরে অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার বেশি খেলে মূত্রনালী সংগ্রহ হতে পারে তবে মাঝারি পরিমানে পালং শাক খেলে এ ঝুকি থাকেনা। 
  • সালমোনলোসিস এবং লিস্টরিওসিস গর্ভবতী মায়েদের প্রভাবিত করতে পারে। পালং শাক ব্যাকটেরিয়া দূষণের কারণে ডায়রিয়া হতে পারে তাই খাওয়ার আগে পাতা ভালো করে ধরে নেওয়া জরুরি।

শেষ কথা

কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থেকে শুরু নানা ধরনের খনিজ থাকে এই থাকে। স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এই শাক। স্বাদে এমনকি পুষ্টিত অনন্য পালং শাক। পালং শাক একটি শীতকালীন সবজি যাতে রয়েছে শারীরিক সুস্থ ও সরল রাখার জন্য প্রচুর পুষ্টি উপাদান। পালং শাকের বীজ কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায় এবং এর কচি পাতায় ফুসফুস কন্ঠনালী সমস্যা,শরীল জালাপোড়া সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

 জন্ডিসের আক্রান্ত রোগীদের জন্যই এই শাক বিশেষ উপকারী। পোড়া ঘায়ের ক্ষতস্থানে ব্রণে বা কালচে হয়ে গেলে টাটকা পালঙ্ক পাতার রসের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়।পালং শাক সাধারণত গর্ভাবস্থায় জন্য ভালো। কিন্তু অত্যাধিক পালং শাক খাওয়া কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে  কিডনির ক্যালসিয়ামের ফসফেট পাথর গর্ভবতী মহিলাদের বেশি হতে পারে বিশেষ করে দ্বিতীয়  এবং তৃতীয় মাসের। তার উপরে অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার বেশি খেলে মূত্রনালী সংগ্রহ হতে পারে তবে মাঝারি পরিমানে পালং শাক খেলে এ ঝুকি থাকেনা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url