চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার-রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার

    উচ্চ রক্ত চাপ কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়

চুলকানিতে  নিম পাতা ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৪০০০ বছর  থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে তথা সারা বিশ্বে নিম পাতার ব্যবহার করে আসছে। নিম ও মধু রুপচার্চায় অন্যান ভুমিকা রাখে। প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। নিম পাতা ব্যবহার এর ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও দারুন কার্যকারী।

রুপচর্চায় নিম পাতা ও মধু এর ভুমিকা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ এই দুইটি  উপাদান শরীলে বা ত্বকে  এমন  কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না। তাই রুপচার্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার অন্যান্য। মধু ও তুলসী কাশির জন্য অন্যতম আমাদের মহাওষুধ হিসাবে কাজ করে।

পেজ সূচিপএ ঃ রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার 

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আগে থেকে জানেন বা প্রাচীনকালে নিম পাতার মধ্যে ঔষধি গুণ থাকা নিম পাতা দিয়ে অনেক রোগ নিরাময় করা হতো। যাদের চুলকানি বা চর্মরোগ থাকে তাহলে নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন। চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা অনেক বেশি কার্যকরী কারণ নিম পাতায় আছে হাজারো শুধুই গুনাগুণ যার চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং চর্মরোগকে দূর করতে সাহায্য করে। 

আপনার যদি চর্ম রোগের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত নিম পাতার রস পান করবেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার আক্রান্ত স্থানে নিম পাতার পেস্ট লাগিয়ে রাখবেন এতে আপনি খুব দ্রুত চর্ম রোগ থেকে রেহায় পাবেন। জাতীয় বতমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় 80% মানুষের চর্ম রোগে আক্রান্ত। চর্মরোগ হওয়া দুটি কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালি।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধুলাবালির জন্য শরীরের চর্মরোগ বাসা বাধে এই জন্য সব সময় নিজেকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। আপনার বাচ্চাদের পরিষ্কার রাখার ফলে এতে চর্ম রোগের বাসা হতে পারবে না।চর্মরোগ  একটি ছোড়াছে রোগ অন্যজনের কাছে থেকে অন্য জনের হতে পারে। প্রত্যেকটি চর্মরোগ যে সাধারণ এমনটা কিন্তু নয় অনেক চর্মরোগ জীবনের ঝুঁকে অব্দি রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার-নিমপাতার গুনাগুন ও উপকারিতা

তাই এখন থেকে সতর্কমূল এবং প্রতিরোধ করার চেষ্টা করুন। নিম পাতা সাহায্যে আপনি অনায়াসে চর্মরোগ দূর করতে পারবেন। নিম পাতা ব্যবহার করে আপনি দ্রুত চর্মরোগ চুলকানি এলার্জি ব্রণ  এসব সমস্যা থেকে দূর করতে পারবেন। নিমপাতা কয়েকটি নিম পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে চিঠি পাঠায় পিছে পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে 30 মিনিট লাগিয়ে রাখবেন। 

সপ্তাহে তিন থেকে চারবার নিমপাতার পেস্ট আক্রান্ত স্থানে তাহলে আপনি এক মাসের মধ্যে চর্ম রোগ থেকে এইভাবে। সাথে সাথে রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিম পাতার রস অথবা শরবত খেয়ে নেবেন, তাহলে আপনার শরীরের ভিতরে থাকা এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়,শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

 ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার

ত্বকের যত্বে নিম পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। ত্বক ভালো রাখতে হলে নিম পাতা কতটা উপকারী তা বেশি ভাবেই জানা।সব ভালো রাখতে এর ব্যবহার ও বহু পুরনো। নিম পাতা আপনার ত্বককে ভালো রাখতেন নানা ধরনের জীবনকে দূর করে সে সঙ্গে ত্বকে ফিরিয়ে দেয় হারানো উজ্জ্বলতা। চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার । তবে ত্বক নিম পাতা ব্যবহার করলেই হবে না জানতে হবে এর সঠিক উপায় 

নিম পাতা ব্যবহার করলে যে সব উপকার মিলবে 

  • নিম পাতা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল। তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। 
  • নিম পাতা ব্যবহার ত্বক উজ্জ্বল হয় 
  • ত্বকের দাগ ছোপ কমাতে সাহায্য করে নিম পাতা 
  • নিম পাতা বলি রেখা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে 

নিম পাতার ক্লিনজার 

আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নির্ধারকের অনেকগুলো সমস্যা দূর করে। ব্রণ ব্ল্যাকহেডেসের মতো  ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। সেই সঙ্গে পরিষ্কার করে ত্বকে অতিরিক্ত তেল। লোমকূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই উপকারের নিম পাতা। নিম পাতার  ক্লিনজার তৈরির জন্য কয়েকটি নিম পাতা নিন। এর পর এটি পরিষ্কার করিযে ফুটিয়ে নিন।

তার ভেতরে নিম পাতা দিয়ে এটা আরেকবার ফোটিয়ে নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত পানি সবুজ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত  ফটাতে হবে। এরপর পানি থেকে ঠান্ডা করে নিতে হবে । রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার।এই মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার ও শুকানো বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটা ক্লিনজার হিসাবে ব্যবহার করুন।পরিষ্কার তলার সাহায্যে মুখেও গলা লাগিয়ে নেবেন আপনার ত্বকে নানান ভাবে করতে হবে। 

নিমপাতার ফেসপ্যাক 

ত্বকের সাধারণ সমস্যা হোক কিংবা বড় কোন ক্ষত সবকিছু তো একইভাবে কার্যকর নিম পাতা।চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার, নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। ত্বকে ইনফেকশন  কিংবা জ্বালাপোড়া অনুভব করলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারবেন। আবার রুক্ষ ত্বক মাসে ময়েশ্চারাইজার  করতে সাহায্য করে  নিম পাতা। নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরির জন্য প্রথমে করে পাতা শুকানো করে গড়া করে নিন।

এরপর দুই টেবিল চামচ নিমপাতা গুড়া ও 2 টেবিল চামচ চন্দন মিশিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে মিশন সামান্য পানি  এক টেবিল চামচ গোলাপ জল। সবকিছু দিয়ে একটি মিশ্রন ভালো হবে তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাক হিসাবে মুখে ব্যবহার করুন। নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে মুখের দ্রুত উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এই ফেসপ্যাক তেরি অন্তত 20 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করলে মুখের উজ্জ্বলতা দ্রুত ফিরে আসবে। 

রুপচর্চায় মধুর পুষ্টিগুন

খাবারে পাশাপাশি রুপচর্চায় বহুদিন থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে মধু।রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার  তবে অনেকেরই জানা নেই মধু সঠিক নিয়ম। ত্বকের আদ্রতা  ধরে রাখতে, বলি রেখা তেরা হাত থেকে ত্বকের সুরক্ষা করতে মধুর জুড়ি নেই। পাশাপাশি আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর নানান উপাদান। কোন ধরনের প্রক্রিয়াজাত করণ ছাড়া বিশুদ্ধ মধু বেশ  উপকারী। 

ত্বকের নমনীয়তায়

মধুর এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। এটি বাতাস থেকে জলীয় কণা ত্বকের ভেতরে থেকে টেনে নেয় যা গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘ সময় তোকে নমনীয়তা ধরে রাখতে উপকারি। নিয়মিত এক টেবিল চামচ পরিমাণ মতো পরিষ্কার অর্শ কত লাগে ১৫-২০ মিনিট পরে মুখে ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল মৃসণ।

কোমল ভাবে ত্বক পরিষ্কার

মধুর এন্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে পরিষ্কার স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও মৃসণ। অন্যদিকে বেটিং সোডাও ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনের সাহায্য করে। এক টেবিল চামচ বেডিং সোডার সঙ্গে দুই চামচ মধু মিশিয়ে পানিতে মুখ ধুয়ে  বা মুখে বা শরীলে বৃওাকারে হালকা ভাবে মালিশ করে মিশ্রণটি কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে  ফেললে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হবে।

ত্বকের কালো দাগ দূর করতে

বিভিন্ন কারণে ত্বকের দাগ হতে পারে যা তোকে সুন্দর্য নষ্ট করে। মধু দাগ উঠে ত্বক করে উজ্জ্বল এর ভিতরে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি ও  অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের কালো দাগ সম্পূর্ণ গঠনে এবং টিস্যু পণ গঠনে সাহায্য করে । এছাড়া ও নারকেল বা জলপাই ত্বকের মরা কোষ  সতেজ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন হলকা রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বক সুস্থ রাখতে ও সাহায্য করে ও কোষ গঠনে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন ঃমাশরুমের এর উপকারিতা ও অপকারিতা

 এক টেবিল চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারকেল বা জলপাই তেল মিশিয়ে নিতে হবে।  ত্বকের যেখানে কালো বা ক্ষত চিহ্ন আছে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১২ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। এরপর গরম তোয়েলে মুখে ধরে রাখতে হবে  ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। দৈনিক এটি  ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন। 

ব্রণ দূর করতে

কিশোরী থেকে শুরু করে মোটামুটি সবাই মুখের ব্রন নিয়ে চিন্তায় থাকেন। তবে আজকে আমরা জানবো মধুর দিয়ে ব্রন ভালো করার উপায়। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের লালভাব ও জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বক ব্রণ থেকে দূর করে।আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তাহলে মুখের ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

চুলের যত্বে মধুর উপকারিতা

প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানে ভরপুর। ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্য এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ মধু চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে। চুলের গ্রস্থিকোষ শক্তিশালী করতেও মধু কাজ করে। ফলে মাথায় চুল ওঠে যাওয়া রোধ হওয়ার পাশাপাশি দীঘ চুলের অধিকারী হওয়া যায়।

চুলের বৃদ্ধি বাডায়

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃন্ধ মধুর নিয়মিত ব্যবহারের চুল লম্বা হয়। নতুন চুল কাটাতে সাহায্য করে মধু। মধুর হুমেকটেন্ট উপাদান চুল ভেঙ্গে যাওয়া রোধে সাহায্য করে,রুক্ষতা দূরে করে চুল সুস্থ ও মজবুত করে। চুলের গ্রস্থিকোষ শক্তিশালী করে। চুলের গ্রস্থিকোষ শক্তিশালী করতেও মধু কাজ করে। ফলে মাথায় চুল ওঠে যাওয়া রোধ হওয়ার পাশাপাশি দীঘ চুলের অধিকারী হওয়া যায়।

মধুর কয়েকটি হেয়ার প্যাক

  • মধুর সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মেসেজ করুন।২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহ দুইবার ব্যবহার করবেন এই প্যাকটি।
  • দুই ভাগ মধু ও ৫ বা আপেল সিডার ভিনেগার একসঙ্গে মিশে চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘন্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন এই প্যাকটি।
  • পাকা কলা ছিলে অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে  চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান।৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন।১ ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু ব্যবহার। 

চুলকে উজ্জল করে

চুলকে প্রাকৃতিক উপায়ে  উজ্জ্বল করার সবচেয়ে সহজ ভালো উপায় হল মধু। আর টেবিল চামচ কাঁচা মধুর সাথে  ছয় টেবিল চামচ পানি ও দার চিনি গুড়া মিশে এক ঘন্টা চুলে লাগিয়ে রাখুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই বা তিনবার ব্যবহার করলে চুল অনেক উজ্জ্বল হয়।

চুল ঘন করতে মধুর ব্যবহার

মধু খুবই আঠালো পদার্থ  সেজন্য অল্প পরিমাণে মধু নিয়ে তা মাথায় ভালো করে মেসেজ করুন। এরপর চুল আটকে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। খেয়াল রাখতে হবে যেন চুলের গোড়ায় মধু পোছায়।সবশেষ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মধু ভিটামিন,খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে যা আপনার চুলের গোড়া শক্তিশালী করে ও পাশাপাশি চুল ঘন ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

এলার্জিতে নিম পাতা

এলাজির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। এলাজির কারনে যখন-তখন আমরা অস্বস্তিতে ভোগি।এলাজি শুধুমাত্র চুলকানি নয়, হাশি কাশি,কিংবা হাপানি ও এলাজির মধ্যে পড়ে। এর সমস্যা কতটা ভয়ংকর তা একমাএ যার এলাজি আছে সেই জানে। এলাজির কারণে অনেকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ রাখেন প্রিয় খাবারগুলো। যেমন গরুর মাংস হাঁসের ডিম ইলিশ চিংড়ি পুঠি বয়োল গরুর মাংস হাঁসের মাংস ইত্যাদি।



এলার্জির কারণে অনেকের ত্বক চুলকাতে থাকে এবং সঙ্গে সঙ্গে চাকা হয়ে লাল হয়ে যায় এর থেকে পানি পড়ে এবং চোখ লাল হয়ে ওঠে। চর্মরোগ হাঁপানি ও নাক দিয়ে পানি পড়া বা হাতের সমস্যা হয় এলার্জির কারণে। এর থেকে মুক্তি পেতে অনেকে নিয়মিত ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে ওষুধ ছাড়াও এলার্জি দূর করা সম্ভব। নিম পাতার মিশ্রণে এক মাসের মধ্যে সহজ উপায় এলার্জিকে কি চিরবিদায় করা যায়।

নিমপাতার মিশ্রন প্রস্তুত প্রনালী

  • এক কেজি নিম পাতা ভালো করে শুকিয়ে নিন ।
  • শুকানো নিম পাতা পাঠায় গুড়া করে পরিষ্কার একটি কাঁচের পাত্রে করে রাখুন ।
  • এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিমপাতা গুড়া এবং একটা চামচ ভুসি আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে এটা খেতে হবে। 
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে ভরা পেটে  রাতে ঘুমানোর আগে মিশ্রণটি খাবেন। 
  • এই মিশ্রণটি কমপক্ষে ২১ দিন খেতে হবে,এর কার্যকারিতা শুরু হতে  এক মাস সময় লাগতে পারে। 

নিম পাতার মিশ্রণ এক মাস খাওয়ার পর আপনার এলার্জি কমে যাবে আমি পছন্দের খাবার গুলো যেমন হাঁসের ডিম বেগুন গরুর মাংস ইচ্ছে  মতো খেতে পারবেন।  নিম গাছ হলো বহু উপকারী বিশিষ্ট একটি গাছ। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট এলার্জি নিষ্কাশন করতে বিভক্ত করাতে ব্যবহার করা।কিছু পাতা রাতের জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে সেগুলো বেটে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এবং চুলকানি হওয়ার জায়গায় ব্যবহার করুন। 

এলাজি হওয়ার কিছু নিদিষ্ট লক্ষণ

  • আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে না কেন যেতে পারে 
  • বায়ু দূষণ 
  • চামড়ার উপর ট্যাটু প্রভাব 
  • শরীরে অনুপযুক্ত খাবার খাওয়া 
  • কোন ড্রাগ বা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া 
  • শুষ্ক ত্বকের কারণে এলার্জি 
  • পোকামাকড় কামড়ালে 
  • এলাজির লক্ষণ
  • ত্বক রং পরিবর্তন হওয়া যেমন লাল দাগ হওয়া 
  • চুলকানি হওয়া 
  • বনের মত ফুসকুড়ি হওয়া 
  • জ্বালাপোড়া করা 

ত্বক সুস্থ রাখতে মধু

মধুতে রয়েছে এমন সব উপাদান যা শুষ্ক ও তৈলাক্ত দুই ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং লৌহ। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সাইড সমৃদ্ধ ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধক এবং রয়েছে কার্যকর নিয়াস যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। 

যে ধরনের মধু উপকারী

মধুর সবচেয়ে ভালো দিক হলো ধরনের মধুই উপকারী। যে মধুর রঙ যত পারো তাতে অ্যান্ট অক্সিডেন্টের পরিমাণ তত বেশি। তাই অপ্রক্রিয়াজাত খাটি মধু ব্যবহার পরামর্শ করা হয়। নানান রকম মধু যেমন ফুল ও ভৌগলিক ভিন্নিতার তার জন্য হরেক রকমের মধ্যে পাওয়া যায়। তাই সবসময়ই প্রাকৃতিক মধু গ্রহণ করা ভালো।

দৈনিক ত্বক পরিষ্কারক হিসাবে মধু

মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায়্য করে। এটা লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং বিরক্তকর ব্ল্যাকহেডস থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি সারাদিন ত্বকের আদ্র ঠিক থাকে। মুখে কসুম গরম পানি দিয়ে  ভিজিয়ে আধ চা চামুচ মধু মুখে দিয়ে ভালো করে মালিশ করুন। ১মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

ব্রণের জন্য উপকারী

ত্বকের ব্রণ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর প্রদাহ রোধী  উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং প্রতিদিন প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ত্বকের  কড়া দাগ ও ব্রেকআউট দূর করতে এমনকি ত্বকের খারাপ অবস্থা একজিমা বা সিরোসিস উপশমে ও মধু সহায়তা করে। মধুর আরামদায়ক ক্ষমতা দ্রুত ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে নিতে পারে । 

বয়সের ছাপ দূর করতে

মধুর প্রোবায়োটিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পুষ্টি উপাদান এবং নিয়াস একসঙ্গে কাজ করে ত্বকে মসৃণ, টানটানো সুন্দর একটা সাহায্য করে। মধু ত্বকের তৈলাক্ত না করেই ত্বকে আদ্রতা ধরে রাখে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। মধু সম্পন্ন হবে বলিরেখা কমাতে না পারলেও এই দৃশ্যতা কমাতে সহায়তা করে। 

রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা

মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রন দূর করতে সাহায়্য করে।মধুতে অনেকের রূপচর্চা করে থাকেন। কেউ দয়ের সাথে মধু মিশিয়ে মাখেন। কেউ অন্য কিছু সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করেন। কেউ স্নান এর আগে মাখেন কেউ রাতে ঘুমানোর আগে মাখেন। কেন এত জনপ্রিয় মধু। মধু দিয়ে রুপচর্চা করার চল তৈরি হলো কি ভাবে। 

  • মধুতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ব্রণের দাগ কমায়।
  • ত্বক নরম ও মসৃণ রাখে মধু
  • ত্বকের হাইড্রেট রাখতে সাহায়্য করে।
  • বলিরেখা ও রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সক্ষম।
  • ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অতুলনীয় কাজ করে মধু।
  • ত্বক পরিষ্কার ও জীবন মুক্ত রাখতে পারে মধু।  এতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। আরো আছে বহু ধরনের এন্টি এক্সিডেন্ট। সব মিলে ত্বক থেকে জীবানু দূর করে  আবার ত্বকের আদ্রতা ঠিক রাখে।
  • মধুতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ও এন্টি অক্সিজেন তবে পুষ্টি জোগায়।টক মিশ্রণ ও টানটানো থাকে। দাগ ছোপ কম পড়ে। ফলে ত্বকে বাধক্য আসে দেরিতে। 
  • ত্বক যত্নে রাখার জন্য নিয়মিত কোষ তুলে ফেলা দরকার।মধু এ কাজ করতে বেশি সক্ষম। তাই মুখে কিছুক্ষণ মধু মেখে রাখলে তারপরে ধুয়ে ফেললে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে তাড়াতাড়ি । 

যেভাবে ত্বকে ব্যবহার করবেন

১। টেবিল চামচ টক দয়ের সাথে আধা চা চামচ মধু মিশে ত্বকে মেসেজ করুন।কয়েক মিনিট মেসেজ করে অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন ত্বকে রুক্ষতা দূর হবে। 

২।ত্বকে সরাসরি লাগার মধু।শুকিয়ে গেলে টানটান হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। 

৩।সমপরিমাণ মধু ও গ্লিসারিন মিশ্রিত ত্বকে ঘষে ঘষে লাগান।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪।দুই টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ আলভেজার জেল ও চা চামচ দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে বানিয়ে নিন ফেস প্যাক।মিশ্রন টি ত্বকে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৫।মধুর সাথে চন্দনের গুড়া ও পাকা পেপে মেশান। এই প্যাকটি ফেসপ্যাক নিয়মিত ত্বকে লাগালে রোদে পোড়া দূর করা যায়।

নিম পাতা ও মধুর উপকারিতা 

নিম পাতা বহু কাল আগ থেকে আমাদের ওষুধি গুন ও রুপচর্চার কাজে লেগে আসছে। নিম গাছ বহু গুনে গুনাকার। নিম ও মধুর একসাথে অনেক কাজে আছে।অনেক টাকা খরচ করে আমরা অনেক বড় বড় রোগ থেকে মক্তি পাই।তবে হাতের কাছে নিম গাছ আর মধু সেবনের ফলে আমাদের অনেক বড় বড় রোগ থেকে উপশম মিলবে। চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার-রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার।

 মধু এমন একটি উপাদান যেখানে আপনার শরীলের য়াবতীয় সকল উপাদান রয়েছে। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর অ্যান্টক্সিডেন্ট ইনফ্লামেটরি এবং এন্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যের কারণে শীতে ঠান্ডা কাশি এবং গলা ব্যথা সমস্যা দেখা দিলে মধু অনেক কাযকরী। মধু ডাইরিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।অনিদ্রা,হাপানি,ফুসফুসের সমস্যা, অরুচি,বমিভাব,বুক জালা রোধ করে।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্রথমে নিম পাতা ২০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার এই নিম পাতা ও মধু একসঙ্গে মিশে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগে পনেরো মিনিট অপেক্ষা করেন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ব্যবহারে ৫ টি নিয়ম

১।নিম পাতা ত্বকে এন্টাসিপটিক হিসেবে কাজ করে। নিম পাতা ও মধু একসঙ্গে মিশে মুখে লাগালে ব্রণের জীবাণু ধ্বংস হয় এবং ব্রণের দাগ দূর হয়। 

২।ত্বকের পানি শূন্যতা দূর করে এবং ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রেখে ত্বকের নরম ও মসৃণ রাখে।

৩।এই উপাদান দুটি ত্বকের ময়লা জীবাণু দূর করে এবং ত্বকের ব্ল্যাকহেডস সমস্যা সমাধান করে। 

৪।এই প্যাক ব্যবহৃত ত্বকের অতিরিক্ত তেল দিলে ভাব দূর হয় ।

৫।ত্বকে রাশ ও চুলকানি জাতীয় সমস্যা দূর করতে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। 

রুপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার করবেন যেভাবে

রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার করতে চাইলে আপনি এই দুটো উপাদান একসাথে বা আলাদাভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। একসাথে ব্যবহার করতে হলে আপনি নিমপাতা গুড়ো ও মধুর একই পরিমাণে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি আপনার মুখে লাগে ১৫ মিনিট রাখুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই পেস্টটি আপনার ত্বকের ময়লা জীবাণু দূর করবে,ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে,ত্বকে ব্রণ ও দাগ দূর করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল  রাখে। 

আপনি মধু দুধ একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। এই মিশ্রণটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাজাই রাখবে এবং ত্বক করবে কোমল। আপনি মধুদের সাথে হলুদ মিশে লাগাতে পারবেন ত্বকে। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং ত্বকের কালো দাগ ও ঝাই দূর করবে। আপনি মধুর সাথে লেবুর রস আপনার ত্বকে লাগাতে পারবেন। এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাবে এবং ত্বকের পিএইচ মান ভালো রাখে।

নিমপাতা বা অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে ত্বকে লাগালে পারবেন। আপনি নিমপাতার রস তুলসী রস একসাথে মিশিয়ে লাগাতে পারবেন। এই মিশ্রনটি আপনার ত্বকের ব্রণ একজিমা ও অন্যান্য সমস্যা দূর করবে। আপনি নিম পাতার রস ও চা পাতার রস একসাথে মিশে ত্বকে লাগাতে পারবেন। এই মিশ্রনটি আপনার ত্বকের কোলেজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করবে  এবং ত্বকের এলাস্টিটি বাড়াবে।আপনি নিম পাতার রস ও তরমুজের রস একসাথে লাগাতে পারেন ।

ত্বকের ফুসফুস কালো দাগ দূর  ফুলকুচি ও অন্যান্য দাগ দূর করবে। এই প্রকারে আপনি রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার করে আপনার ত্বকের যত্ন ও সৌন্দর জন্য অনেক উপকার পাবেন। নিম পাতার মধ্যে যেমন অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে তেমনি নিম ফুলের মাঝে আছে এই উপাদান। গরমের দিনের জ্বালাপোড়া ভাব চুলকানি এসব অনেক বেশি বারে। নিম ফুলের  আন্টিমাইক্রোবিয়াল থাকে অনেক বেশি। ফলে শরীলে ঠান্ডা থাকে আর চুলকানির হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।

ওজন কমাতে নিম পাতা

আপনার যদি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি  করে শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। একমুঠো নিম ফল চূণ্য করে নিয়ে একসাথে এক চামচ মধু এবং আধা চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশাণ। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রনটি পান করুন। নিম পাতা আমাদের শরীলের জন্য খুবই উপকারী এ কথা সবারই জানা। শুধু শরীর নয়, ত্বক আর চুল ভালো রাখতে নিম পাতা বেশি উপকারী।

 তবে অনেকে নিম পাতার কথা শুনলে নাক সিটকানি দেন। এর কারণ হলো নিমের এত স্বাদ তিতো তবে নিমের স্বাদ যতই তিতো হোক না কেন এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। এটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুন থাকে। কিডনি লিভার সমস্যা হোক কিংবা তাদের সবকিছুতেই উপকারী নিম। নিম পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং এই প্রাকৃতিক ভেষজ গ্রহনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে ওজন ধীরে যেরকম শুরু করে।

 কিভাবে তৈরি করবেন নিমের বিশেষ পানীয় জেনে নিন।

  • এজন্য প্রথমে দুই তিন গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। এরপর কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে দিন। পানি ফটুতে শুরু করলে আদাও গোলমরিচ মিশিয়ে দিন। পানি অর্ধেক হয়ে গেলে এটি ছেকে নিন।তারপর স্বাদ অনুযায়ী মধু ও লেবুর রস মিশান। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল জাদুকরী পানীয়।
  • প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ওই পানি পান করতে পারেন। তবে এটি গ্রহনের অন্তত এক ঘণ্টা কিছু খাবেন না। আর ভুলেও এটি বেশি তৈরি করে পরে খাওয়ার জন্য রাখবেন না। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তৈরি করে তবে পান করুন। টানা ১৫ দিন এটি পান করলে দেখবেন ওজন কমতে শুরু করবে। 
  • করোনা কালে সবার এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে হবে। এই পানিও খেলে আপনার ইমিউন সিস্টেম উন্নতি ঘটবে। এর ফলে শরীলে নানা রোগের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
  • নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। প্রতিদিন এই নিমের তৈরি পানিও পান করলে হজম প্রক্রিয়া উন্নতি হয়। নিম অনেক ক্ষণ পযন্ত পেট ভরা রাখতে পারে।ফলে বারবার ক্ষধুার অনুভূতি ও কমে আসে।
  • নিম পাতা শরীর কে ডিটক্সিফাই করে। এর ফলে শরীলের অভ্যন্তরে জমে থাকা বিষাক্ত ও রাসায়নিক পদাথ শরীলে থেকে বের করে দেয়।চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার প্রতিদিন এই পানীয় পান করলে শরীরে মিটাবলিজম রেট  বেড়ে যায়। অন্য দিকে এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যালরি বান করতেও ভূমিকা  রাখে।
  • এ পানি পান করার পাশাপাশি সঠিক শরীর চর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। তাহলে ওজন বশে থাকবে। তবে কারো যদি নিম পাতায়  এনার্জি থাকে কিংবা শরীলে বড় কোন রোগের ভোগেন তাহলে এই পানীয় গ্রহণ করার আগে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে গ্রহন করবেন।

শেষ কথা

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকারী। নিম পাতা ও মধু আমাদের শরীলের উপকার বলে শেষ করা যাবে না। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ। মধুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,অ্যান্টিসেপ্টিক এবং ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায়্য করে। এটা লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং বিরক্তকর ব্ল্যাকহেডস থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি সারাদিন ত্বকের আদ্র ঠিক থাকে। এটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি গুন থাকে। 

কিডনি লিভার সমস্যা হোক কিংবা তাদের সবকিছুতেই উপকারী নিম। নিম পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।  এবং এই প্রাকৃতিক ভেষজ গ্রহনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তবে কারো যদি নিম পাতায়  এনার্জি থাকে কিংবা শরীলে বড় কোন রোগের ভোগেন তাহলে নিম পাতা অ মধুর তেরি উপরে প্যাক গুলো ব্যবহার করার আগে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে গ্রহন করবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url