গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা-কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

        কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা

কচু শাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এটি অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া এতে লাল শাক ও পুই শাকের চেয়ে খাদ্যশক্তির চর্বি শর্করা খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম ও লৌহ বেশি থাকে। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক।



কচু শাক অত্যন্ত সহজলভ্য একটি সবজি। কচু পাতা খুবই বিশেষ কচু শাক এবং কচুর শেকড় উভয় পুষ্টি ধারন করে এবং বিভিন্ন খাবারের ব্যবহার করা যেতে পারে। কচু দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি সুপ্রিয় একটি সবুজ শাখ বা সবজি। কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক।

পেজ সূচিপএ:গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। মা ও শিশুর সুস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় শরীরে পরিবর্তন হরমোনাল স্তনের স্বাভাবিক অবস্থা এবং মা ও শিশুর প্রতিরক্ষা প্রণালী সঠিকভাবে কাজ করতে হয়। এই অবস্থায় একটি বিশেষ খাদ্য অভ্যন্তরে আনা গুরুত্বপূর্ণ। এই দিক বিবেচনা করে কচু শাক গর্ভবাস্থায় একটি সুষম খাদ্য ও ভিটামিন - নিমারেল এর উপকারিতা পূর্ণ সম্পদ।

এছাড়া এতে লাল শাক ও পোশাকের চেয়ে খাদ্যশক্তির চর্বি শর্করা খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম ও লৌহ বেশি থাকে। কচু শাক একটি পুষ্টিকর সবজি দৈনিক স্বাস্থ্যের জন্য অতন্ত গুনাকারী। কচু শাকের খাওয়া আমাদের কে বিভিন্ন ভিটামিন সরবরাহ করে শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধির চোখের স্বাস্থ্য উন্নত এবং শক্তির বৃদ্ধি করে। কচুতে ভিটামিন এ সি কে এবং পটাশিয়াম অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। কচুশাক একটু পুষ্টি করে সবজি ।

আরও পড়ুনঃ কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

যা ভিটামিন খনিজ ফরলেট আইরন এবং এসিড প্রদান করে। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। এটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মৌলিক পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে। 

  • কচু শাক ভিটামিন এর খুব ভালো উৎস।রাতকানা রোগ সহ ভিটামিনের অভাবে হওয়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কচু শাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ভিটামিন এ থাকে যার চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
  • গর্ভাবস্থায় বেশি করে কচু খেলে ভ্রনের চোখের গঠন বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া বাচ্চা প্রসবের পরেও বাচ্চা দৃষ্টিশক্তিতে কচু শাকের অনেক বেশি সহায়ক। 
  • কচু শাকের প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকে তাই রক্তশূন্যতা ভোগা প্রতিটি রোগীর কচু শাকের ভুমিকা অনেক। 
  • গর্ভাবস্থায় বিশেষভাবে মহিলাদের কষ্টকনিষ্ঠ দেখা যায় কচু শাকের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আস থাকে যা খাবার হজমে সাহায্য করে।  
  • জন্মের পর থেকে অন্তত ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর প্রধান খাদ্য হলো মাতৃত্ব দুধ।কিন্তু অনেক সময় মাতৃ স্তনের শিশুর আহারে  এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমান দুধের ঘটতি দেখা যায় । এক্ষেত্রে পর ৩ থেকে ৪ দিন কচু শাক খেলে মাতৃ স্তনের  দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। 
  • গর্ভবস্থায় শরীরে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন হয়। দারিদ্র পরিবারের মহিলারা প্রোটিন মিল্ক ভিটামিন ক্যাপসুল পরিবর্তনের কচু শাক খেতে পারবেন।

কচু খাওয়ার উপকারিতা

কচু শাক একটি পুষ্টিকর সবজি দৈনিক স্বাস্থ্যের জন্য অতন্ত গুনাকারী। কচু শাকের খাওয়া আমাদের কে বিভিন্ন ভিটামিন সরবরাহ করে শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধির চোখের স্বাস্থ্য উন্নত এবং শক্তির বৃদ্ধি করে। কচুতে ভিটামিন এ সি কে এবং পটাশিয়াম অধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। যা খাবার হজমরের সাহায্য করে কষ্টকানিষ্ঠ দূর করে। ভিটামিন সি থাকে রোগ সংক্রমণ যা আমাদের রোগ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

পুষ্টিকর উপাদানগুলি:কচু শাকে প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন এ ও সি পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ও আয়রন পাওয়া যায় । গর্ভবতী মায়ের পুষ্টিকর উপাদান গুলির প্রয়োজন অত্যন্ত বেশি থাকে।যা কচু শাক সরবরাহ করতে সাহায্য করে। 

ফোলেট সরবরাহ:কচু শাক গর্ভবতী মায়ের জন্য ফোলেট সরবরাহ করে। ফলে গর্ভবতীর গর্ভনালী এবং শিশুর নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ যা স্পিনাচ বন্ধনপাত যা কচু শাকের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি নিরামিষ্ট শিশুর মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কার্ডের অন্যতম বিকাশে সহায়তা করে।

আয়রন সরবরাহ করে:কচু শাক গর্ভাবস্থায় আয়রনের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়তা করে। আয়রন অনেকটাই কৃতদাতা হিসেবে কাজ করে। যেটি রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন করে এবং মা ও শিশুর উন্নত স্বাস্থ্যকর উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয়। কচু শাক আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে গ্রহণ করা যায়। 

ক্যালসিয়াম উপাদান সরবরহ:কচু শাকে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম রয়েছে। গর্ভাবস্থায় মা হলে  ক্যালসিয়াম বাঁচানোর জন্য প্রয়োজন হয় , যা শিশুর অস্তিত্ব হার এবং দাঁতের উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে। কচু শাক একটি ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস। 

গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার এটা মা ও শিশু স্বাস্থ্যকে সুস্থ ও উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রতিটি খাবার সিদ্ধান্ত ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে এবং মাতৃস্বাস্থ্য সম্পকিত সমস্যা বিষয়ের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। কচুর লতি যা হাড় শক্ত করে ও চুল পড়া রোধ করে। কচুর লতিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আশের পরিমাণ খুব বেশি। যা খাবার হজমরের সাহায্য করে কষ্টকানিষ্ঠ দূর করে।ভিটামিন সি থাকে রোগ সংক্রমণ যা আমাদের রোগ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। নিয়মিত কচু লতি খেলে শরীরে জলীয়ড ভাব বজায় রাখে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন ভিটামিন বি রয়েছে। যা মস্তিতে পুষ্টিতে সাহায্য করে। 



পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি সবজি হল কচুর লতি। এই সবজির সঙ্গে আমরা খুব বেশি সবাই পরিচিত। কচুর লতি খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুবই কমই আছে। খাদ্য তালিকা অনেকেরই প্রিয় এই সুস্বাদু রসালো সবজি। কচুর লতি আমাদের দেশের বাজারগুলোতে কম বেশি সারা বছরই পাওয়া যায়।গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। বছরজুড়ে সবজি পাওয়া গেল বষা র্মৌসুমের সেই এটি বেশি পাওয়া যায়। এই সহজ প্রাপ্ত সবজি কচুর লতিতে আছে।

 প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত তরকারি এবং খুবই উপকারী। কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সাহায্য করে। মহিলাদের গর্ভাবস্থায়,খেলোয়ার, বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি দেওয়া হয় এমন রোগীদের সুস্থতার জন্য কচুর লতি খুবই উপকারী। এছাড়া পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে আশ থাকার ফলে খাবার  হজমের জন্য সাহায্য করে আর দীর্ঘমেয়াদী কষ্টকানিষ্ঠ দূর করে। 

কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা বিভিন্ন রকমের সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে। এটি কোলেস্টেরল বা চবি কমাতে সাহায্য করে।থাকা ভিটামিন বি হাত-পা মাথার উপরি ভাগ গরম হয়ে যায় তা থেকে রক্ষা করে। এবং হাত-পায়ে ঝিঝি ধরা বা অবশ ভাব গুলো দূর করে। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের জন্য ভিটামিন বি খুবই জরুরি।যা নিয়মিত কচুর লতি খেলে এ সমস্যা থেকে উপকার পাওয়া যায়।

কচুর লতিতে  আয়োডিনের একটি ভালো উৎস। আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের খাবার খাচ্ছি।খাবার হজমে পর দেহ থেকে ঠিক ভাবে বজ্য বের হতে সাহায্য করে আয়োডিন। কচু লতি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে নিয়মিত বর্জ্য বের হওয়ার কারণে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কচুর লতি আরও একটি উপকারি দিক হলো যারা নিয়মিত এই সবজি খান তাদের শরীরে রক্তের চিনির মাত্রা বেড়ে যায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগিরা নিরয়মিত খেতে পারেন।

আরও পড়ুনঃচুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার

পুষ্টিকর ভরপুর সুস্বাদ কচুর লতি।পুষ্টিবিদের মতে কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে এ ক্যালসিয়াম পয়াপ্ত পরিমাণে রয়েছে যা দেহের হাড় শক্ত করে ও চুলের ভঙ্গরতা রোধ করতে সক্ষম। এছাড়া এতে রক্তশূন্যতা ও গর্ভাবস্থায় চিকিৎসায় এর সহজে আযরন বা লৌহ পাওয়ার জন্য কচু শাকের পরামর্শ করে থাকেন।

কচুর লতি আরো যে কারণে খাবেন 

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা।গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। কচুর ডাটায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। সে কারণে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কচু ডাটা বা কচুর লতি রাখা যেতে পারে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ফলেট থাই ওমিন রয়েছে। কচুর রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। কোলন ক্যান্সার ও বেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।শিশুদের কচু শাক বেশি করে তেল দিয়ে খাওয়ানো ভালো। 

এতে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে। কচুতে অক্সলেন্ট রয়েছে।কচু বা ওল খেলে গলা চুলকায়।আসলে কচু ও ওল পাতাই ক্যালসিয়াম অক্সিলেন্ট নামক একটি যৌগ থাকে। এই যৌগ রাফাইড নামে পরিচিত। তাই রান্নার পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে  গলা খানিটা চুলকায়। তাই কচু তরকারি খাওয়ার সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন ।  

যারা খাবেন না কচুর লতি 

কচুর লতি আমাদের পরিচিত একটি সবজি।পুষ্টি বিজ্ঞানীর মতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।তবে যে কোনো খাবারের ভালো খারাপ দুটো দিক রয়েছে। কচুর লতি শরীরের জন্য যেমন ভালো তেমনি কারো কারো জন্য খারাপ হতে পারে। 

১।কচুতে অক্সলেন্ট রয়েছে।রান্নার পরেও কোন কোন ক্ষেত্রে গলা খানিকটা চুলকায়। এই কচুর লতির তরকারি খাওয়ার সময় কিছু লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

২।অনেক ক্ষেত্রে কচু খেলে শরীরে এলার্জি ও হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা কচু বা কচুর লতি খাবেন না। 

৩।এছাড়াও যারা হৃদরোগ ডায়াবেটিকস ও উচ্চ মাএায় কোলেস্টেরল সমস্যা আক্রান্ত উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা কচুর লতি সাথে চিংড়ি ও শুটকি বর্জন করুন। 

কচু শাকের পুষ্টি উপাদান

কত সালের মূল উপাদান হল আয়রন। যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিক রাখে। সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসাক প্রচুর পরিমাণে  শাক সবজি খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন।তেমনি একটু উপকারী শাক হচ্ছে কচু শাক।শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর। তাইতো এর চাহিদা অনেক। কচু শাকের পুষ্টিগন বেশি থাকায় যে চাহিদা ব্যাপক। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা । শহরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে কচু শাকের জনপ্রিয়তা বেশি। 

কত সালে হয়েছে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম ও স্টকের ঝুকি কমায়। আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তারেরা কচু শাক খাওয়ার স্বাক্ষর পরামর্শ করে থাকেন। এছাড়াও কচু শাকে আইরন সমৃন্ধ হওয়া এর কদর বেশি। এই শাখা ভিটামিন এ এর খুব ভালো উৎস। রাত কানা রোগ সহ ভিটামিন এ এর অভাবে হওয়া সব রোগ প্রতিরোধের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

কচুশাকের পুষ্টিগুন

কচু শাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকাই সব ধরনের মানুষ এটা খেতে পারেন।এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ ও উপাদান সমূহ। এছাড়া এতে রক্তশূন্যতা ও গর্ভাবস্থায় চিকিৎসায় এর সহজে আযরন বা লৌহ পাওয়ার জন্য কচু শাকের পরামর্শ করে থাকেন।তাইতো এর চাহিদা অনেক। কচু শাকের পুষ্টিগন বেশি থাকায় যে চাহিদা ব্যাপক। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। নিচে কচু শাকের পুষ্টি উপাদান আলোচনা করা হলো-

প্রতি 100 গ্রাম কচু শাকে থাকে,শর্করা-৬.৮ গ্রাম,প্রোটিন-৩.৯গ্রাম,লৌই-১০ মিলিগ্রাম,ভিটামিন বি১(থায়ামিন)-০.২২ মিলি গ্রাম,ভিটামিন বি২ (রাইবোফ্লেবিন)-০.২৬ মিলিগ্রাম,ভিটামিন সি-১২ মিলিগ্রাম,স্নেহ বা চবি-১.৫ গ্রাম,ক্যালসিয়াম-২২৭ মিলিগ্রাম,খাদ্যশক্তি-৫৬ কিলোক্যালরি।

কচু শাকের উপকারিতা

 কচু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কচুতে থাকা এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কচুতে ক্যালরি পরিমাণ কম থাকায় এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে ফলে কচু খেলে পেট ভরে যায়, খাবারে পরিমাণ কমে যায়,যা ওজন কমাতে সাহায্য।কচু শাকের উপকারিতা জেনে নিন? 

>>এই সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস। আমাদের দাঁত ও হার্টের গঠনে কচু শাকের তুলনা হয় না। এছাড়া ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূন্য।নিয়মিত কচু শাক খেলে দাঁতও হাড় ভালো থাকবে। 

>>কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে এই আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতা ভোগা থেকে রক্ষা করে। তাই রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীর জন্য কচু শাখ খাওয়া অবশ্যই দরকার। 

>>কচু শাকের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা খাবার খেয়ে অতি সহজে হজম করতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিতে সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। 

>>কচু শাক প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে  যা আমাদের রাত কানা রোগ থেকে রক্ষা করে।চোখে ছানি পড়া চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ রাতকানা রোগ সরাতে কচু শাক তুলনা হয় না।

>>কচু শাখে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারী। কচু শাক আমাদের কাছে সহজ লক্ষ্য তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী নারীরা ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের কচু শাক খেতে পারেন । 

সচরাচল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উওর

১. প্রশ্ন: কচু খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? 

উওর: মিষ্টি আলু ও ওলের মত কচু ও মাটির নিচের ফসল।এসব সবজিতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি হয়। এটি ইন্সুরেন্টের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং রক্তের শকরা মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সমীত পরিমাণে কচু খাওয়া উচিত। 

২.প্রশ্ন:কচু খেলে কি ওজন বেড়ে যাই?

উওর:না। কারণ কচু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কচুতে থাকা এন্ট্রি অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কচুতে ক্যালরি পরিমাণ কম থাকায় এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে ফলে কচু খেলে পেট ভরে যায়, খাবারে পরিমাণ কমে যায়,যা ওজন কমাতে সাহায্য।

৩.প্রশ্ন:কচু খেলে গলা চুলকায় কেন?

উওর:কচু বা ওল খেলে গলা চুলকায় কেন? আসলে কচু ও ওল পাতাই ক্যালসিয়াম অক্সিলেন্ট নামক একটি যৌগ থাকে। এই যৌগ রাফাইড নামে পরিচিত। রাফাইডের গঠন সূচলো,তারকা,আকৃতির বা গোলাকার হয়।এসব আকৃতির রাফাইড গলায় আটকে যায়।যার ফলে কচু বা ওল জাতীয় সবজি খেলে আমাদের গলা চুকলায়।

৪.প্রশ্ন:কচু খেলে গলা চুলকালে তেতুল খাওয়া হয় কেন?

উওর:তাই কচু খাওয়ার আগে বা তার গায়ে  লেবু বা তেতুল এর রস লাগিয়ে নিতে পারে পারেন।  এগুলোতে যথাক্রমে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড থাকে। সেগুলো রাফাইড গলিয়ে  দেয়।ফলে গলার অস্বস্তি আশ্বষ্কা তো থাকেন না কিডনির স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে।

কচু শাক খেলে কি এলাজি হয়

সাধারণত ভাবে এলার্জিযুক্ত খাবার করার কোন নির্দিষ্ট উপায় নেই। তবে সাধারণত আমরা কিছু খাবার জানি যেগুলি মানবদেহে এলার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং কিছু খাবারে সকলের জন্য এলার্জি সৃষ্টি করে না। তবে কারো কারো এলার্জি প্রতিক্রিয়া করতে পারে। মানব শরীরের উপর নির্ভর করে। এখানে এমন কিছু খাবারে নাম দেয়া হলো যারা এলার্জি সৃষ্টির প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
  • কচু শাক মাংস বেগুন ইত্যাদি।
  • কচুর পাতা খাওয়ার একটি প্রধান সতর্কতা। কাচা খাওয়ার সময় এর বিষাক্ততা। 
  •   এই পাতায় উচ্চ অক্সিল্যান্ড উপাদান থাকে যা ই গাছের পাওয়া যায় এমন একটি প্রাকৃতিক যৌগ।
  • কিছু লোকের কিডনিতে পাথর হওয়া ঝুকি থাকলে অক্সিলেন্ট খাবারের এড়ানো প্রয়োজন হতে পারে কারণ অক্সিলেন্ট তাদের পাথর গঠনে অবদান রাখতে পারে। 
  • যদিও অনেক খাবারের অক্সিডেন্ট থাকে যেমন পালং শাক মটরশুঁটি সয়া পণ্য এবং বিট তবে এর পরিমাণ খুবই কম যে কোন বিষাক্ততা প্রভাব নেই।
কচুর কচি পাতায় পুরনো পাতার চেয়ে বেশি অক্সালেন্ট থাকে যদিও কাঁচা অবস্থায় উভয়ই বিষাক্ততা । 
যাদের অ্যালার্জি সমস্যা আছে তাদের কচুশাক পরিহার করা উত্তম কারন কচু শাকে এমন কিছু উপাদান থাকে যা এলার্জির মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। 

গর্ভবস্থায় কি কি শাখ খাওয়া যাবে না

গর্ভধারণের পর থেকে নিজের এবং গর্ভের সন্তান স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এ বিশেষ যত্নের অন্যতম প্রধান অংশ হলো খাদ্যাভ্যাস। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসের খাদ্য তালিকায় ফলিক এসিড আইরন ক্যালসিয়াম ওমেগা ৩ ফ্ল্যাটি আসিড প্রোটিন সমুদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এসব পুষ্টি উপাদান আপনার ভ্রনের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে ।

এবং বিভিন্ন জন্মগত ক্রটি রোধে সহায়তা করে। অবস্থায় প্রথম ১৩ সপ্তাহে ফলিক এসিড  বা ফোলেট সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।ফলিক এসিড হল এক ধরনের ভিটামিন বি।প্রথম কয়েক সপ্তাহে ভ্রুনের জন্মগত ক্রটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং  সঠিক পরিমাণে ফলিক এসিড এই আশঙ্কা  ৭০ শতাংশ কমিয়ে দেয়।তাই এই সময় অবশ্যই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ফলিক এসিড গ্রহণ করতে হবে। 

ফলিক এসিড সমৃন্ধ খাবার আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা রাখতে হবে।শহরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে কচু শাকের জনপ্রিয়তা বেশি। যেমন আখরোট, পেস্তা বাদাম,ডিম, ছোলা, মুগ, ব্রকলি, সূয়মুখী বীজ চিয়া সিড, কমলালেব ইত্যাদি । 

আয়রন

আমাদের দেশের মেয়েদের শরীরে আয়রন  ঘাটতি খুব বেশি দেখা যায়। আয়রনের ঘাটতি হলে গর্বের শিশুর শরীরে অক্সিজেন কম পোছায়। ফলে শিশুর গঠন ও বৃদ্ধি বিঘন্ন হয়। সময়ের আগে শিশু জন্ম নেওয়ার মতো জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক ডিম মুরগির মাংস ছোলা খেজুর কলা ইত্যাদি তালিকায় রাখতে হবে। ভিটামিন সি শরীরের আয়রন শোষণ বৃদ্ধি করে তাই আয়রনযুক্ত খাবার খাওয়ার সঙ্গে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাবেন যেমন কলমা লেবু, আমলকী,আঙ্গুর আপেল ইত্যাদি খেতে হবে। 

জিংক
শরীরের কোষ গঠনের জন্য জিংক জরুরি। একজন গর্ভবতী মায়ের প্রতিদিন ১১ মিলিগ্রামের জিংকের প্রয়োজন। তাই এ সময় সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ডাক্তার  জিং ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেবেন। এছাড়া আপনার খাদ্য তালিকার জিংক সমৃন্ধ খাবার যেমন ডাল,ছোলা ডিম আমন্ড কাজু চিনা বাদাম অংশ দুধ ইত্যাদি রাখতে হবে। 

ক্যালসিয়াম

গর্ভাবস্থায় শিশুর হাড় ও দাত গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ।মায়ের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে মায়ের হাড় থেকে গর্ভে শিশুর ক্যালসিয়াম সরবরাহ করবে।ফলে মায়ের শরীরে ক্যালশিয়াম ঘাটতি জানিত সমস্যা দেখা দিবে।তাই এই সময় অবশ্যই মায়ের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার রাখতে হবে। দই পানির বুকলি বাঁধাকপি কাটাযুক্ত মাছ কুফ পালং শাক ডুমুর ডিম তিল তিশি আমন্ড ইত্যাদি।

আশ জাতীয় খাবার

কোষ্ঠকাঠিন্য এ সময় খুবই কমন ব্যাপার। তাই এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন বাদামি ভাত,সোনা মুখ সবুজ মটর বকলি শাকসবজি ইত্যাদি খাবেন।এছাড়াও গর্ভবাস্থায় পর্যন্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। 

কী খাবেন না

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে কি খাবেন কি খাবেন না সেটা জানাও জরুরি।চলুন জেনে নেওযা গভাবস্থায কি কি খাওযা যাবে না ? 

  • গর্ভাবস্থায় এ সময় অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা-কফি কম খেতে হবে জাতীয় খাবার গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় । 
  • সামুদ্রিক মাছ কম খেয়ে মিঠাপানি মাছ খাবেন কারণ সামুদ্রিক মাছের পরদের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্রনের মস্তিষ্ক বিকাশের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
  • আদা সিদ্ধ ডিম বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ডিম ও মাংস সালমোনাল ব্যাকটেরিয়া,লিস্টেরিয়া,থাকতে পারে যা গর্ভাবস্থায় প্রাথমিক দিকে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। 
  • তাই প্রানিজ প্রোটিন ভালোভাবে রান্না করে খাবেন ডিমের পোচ আধা সিন্ধ মাছ মাংস একদম খাবেন না। আনারস কাঁচা পেঁপে খাওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে  । 

কচু খেলে কি প্রেসার বাড়ে

কচুর পাতার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবে কাজ করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন সপ্তাহে দুই তিন দিন কচু সবজি খেলেও সমস্যা কমে যেতে পারে এবং এক মাসের মধ্যে। রক্তচাপ বা হাই প্রেসার নিরব খাতক রোগ বলা হয়। কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্ত চাপে ভোগেন। যেকোনো বয়সের মানুষরা হাই প্রেসার থাকতে পারে। 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী খাবেন

  • প্রতিদিনের খাবার তালিকা প্রচুর শাকসবজি যেমন পালং শাক ফুলকপির শসা লাউ মোটামুটি কলমি শাক বাঁধাকপি টমেটো কুমড়া বেগুন থাকতে হবে। শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। 
  • পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খেলে উঁচু রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। কলা ডাবের পানি টমেটো ইত্যাদি পটাশিয়াম থাকে। 
  • এক কাপ দুধ খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন। 
  • তোলাক্ত মাছ পরিহার করতে হবে অন্য ছোট মাছ খেতে হবে।
  • এছাড়াও ফলমূল যেমন আমলকি নাশপাতি পেঁপে পেয়ারা বেদনা এগুলোর মধ্যে যে কোন একটি নিয়মিত গ্রহন করতে হবে। 
  • প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়ম করতে হবে এবং খাদ্যভাস ঠিক রাখতে হবে।

কী খাবেন না

  • প্রথমত খাবারে লবনের পরিমাণ কমাতে হবে। কাঁচা লবণ একেবারে খাওয়া যাবেনা না।রান্না করা খাবারের লবনের পরিমান কমাতে হবে। 
  • চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে যেমন গরুর মাংস খাসির মাংস মাখন পেস্টি কোক ইত্যাদি। অতিরিক্ত কোলেস্টের যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। 
  • প্যাকেট জাত খাবার বাদ দিতে হবে। 
  • খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে 
  • ধূমপান মদ্যপাণ ত্যাগ করতে হবে। 

কচুর লতি খেলে কি হয়

কচুর লতি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। যা  হাড় শক্ত ও চুল পড়া রোধ করে। কচুর লতিতে ডায়াটারি ফাইবার বা আশের পরিমাণ খুব বেশি। যা খাবারের হজম সাহায্য করে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করে।কচুর লতিতে ভিটামিন  সি আছে যা সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে। বাঙালীর বাড়িতে অনেক কিছু রান্নার মধ্যে কচুর লতি অন্যতম। তবে সব বাড়িতে এটা রান্না হয় না তার অবশ্য একটা কারণ আছে সে আর সেটা হল অনেকের কচুর লতি খেলে চুলকানি হয়।




কচুর লতিতে  অক্সালেন্ট কারণে গলার সমস্যা হয়। তাই রান্নার সময় লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই সমস্যা একেবারে কেটে যায়। চলুন জেনে নেওযা যাক কচু শাক খেলে কি হয? 
  • কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হার শক্ত করে চুল পড়া রোধ করে। 
  • কচুর লতিতে ডায়াটরি ফাইবার বা আশের পরিমাণ খুব বেশি যা খাবার হজমের সাহায্য করে। কষ্টকানিষ্ঠ দূর করে কচু লতিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা রোগ সংক্রম থেকে আমাদের দূরে রাখে। 
  • কচুর লতি খেলে শরীরের জলীয় ভাব পাওয়া যায়।এতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন বা ভিটামিন বি রয়েছে। যা মস্তিকের পুষ্টি  সাহায্য করে। 
  • আজকাল অনেকেই কোলেস্টরের সমস্যায় ভুগছেন। কচুর লতি তরকারি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল  মাত্রা কমে। কচুর লতি খেলো অ্যাসিডিটি ও গ্যাসটিক সমস্যা দূর করে।

সচরাচল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উওর

১।প্রশ্নঃ কচু খেলে গলা চুলকালে তেঁতুল খায় কেন?

উওরঃগলা চুলকানো আটকাতে কচু শাক খাওয়ার আগে লেবু না তেতুলের রস মাখিয়ে নিন।কারন,এগুলোতে যথাক্রমে সাইট্রিক এবং ট্রাটারিক এসিড থাকে।যার ফলে রাফাইড মাএা বাড়িয়ে দেয় এবং গলা চুলকাতে লাগে।

২।প্রশ্নঃ কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা কি কি?

উওরঃকচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা রোগ প্রতিরোধে এটি অত্যন্ত উপকারী।রক্তশূন্যতা এবং গর্ভাবস্থায় চিকিৎসা করা সহজ আয়রন ভালো পাওয়ার জন্য বেশি করে কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

৩।প্রশ্নঃকচুর মুখি খেলে কি হয়?

উওরঃকচুর মুখিতে একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যেমন এ সি ও বি ভিটামিন থাকে। ভিটামিন সি এর চাহিদা ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস কচুর মুখি।এনাজি ছাড়াও এনাজি ধরে রাখতে ও ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

৪।প্রশ্নঃ সবজি বেশি খেলে কি ওজন বাড়ে?

উওরঃএটা সত্য যে ফল এবং শাকসবজি অন্যান্য অনেক খাবারের তুলনায় কম ক্যালোরি,কিন্তু তারা কিছু ক্যালোরি ধারণ করে।আপনি সাধারণত যা খান তা এছাড়াও আপনি যদি ফল এবং শাক সবজি খাওয়া শুরু করেন তবে আপনি ক্যালোরি যোগ করছেন এবং ওজন বাড়াতে পারে

কচু শাকের অপকারিতা

যেকোনো খাবার বা সবজির একটা নিদিষ্ট সাইট ইফেক্টে রয়েছে।তেমনি কচু শাক বা কচুর লতিতে ও আমাদের শরীলের কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা। তবে সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো কচু শাক অন্য সবজির মতো বেশি আমাদের শরীলে সাইট ইফেক্টে ফেলে না।কচুর শাকের অপকারিতা সমান্য পরিমাণে রয়েছে কচু শাক খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। কারণ এতে অক্সিডেন্ট নামক উপাদান রয়েছে। এজন্য কচু শাক রান্নার করার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করা উচিত। 

শেষ কথা

সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসাকরা প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।তেমনি একটু উপকারী শাক হচ্ছ কচু শাক। কচু শাকের  উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর তাইতো এর চাহিদা অনেক। শহরে অঞ্চলের তুলনায় গ্রাম অঞ্চল জনপ্রিয়  শাক কচু শাক।কচু শাকে রয়েছে উচ্চ মাএায় পটাসিয়াম তাই হৃদরোগের ও স্টোক ঝুকি কমায়। গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা বেশ অনেক। আমাদের শরীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন পরিমাণ কমে গেলে ।

 এছাড়া এতে লাল শাক ও পুই শাকের চেয়ে খাদ্যশক্তির চর্বি শর্করা খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম ও লৌহ বেশি থাকে।ডাক্তার কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন।এই কচু শাকে ভিটামিন এ পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন বি ও সি । এইসব ভিটামিন এর ভালো উৎস রাতকানা রোগ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এই কচু শাক অনেক খানি দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url