ডার্ক চকলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চকলেট খাওযার উপকারিতা ও অপকারিতা

মুখরোচক এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই চকলেট খেতে পছন্দ করে। চকলেট আমাদের শরীলে অনেক উপকারী ভুমিকা রাখে। কিন্তু চকলেট খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর কিছু দিক ও রয়েছে। তবে অন্যান্য চকলেট ডাক্তার খেতে মানা করলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন।

আমাদের স্বাস্থ্য জন্য ডার্ক চকলেট কতটা উপকারী তা আমাদের জানা নাই।  এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী গুনাগুন থাকার কারণে,বিশেষজ্ঞ  থেকে চিকিৎসক থেকে এটি খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন। ডাক চকলেট ফ্ল্যাভনয়েড কারণে শরীরে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং রক্ত চাপ কমায়।ফলে কাডিপওভাসকুলার স্বাস্থের জন্য এটি বেশ কাযকর। ডাক চকলেট শরীলে ভালো কোলেস্টেরল রাড়াতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভুমিকা রাখে।

সূচিপএ:ডার্ক চকলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা

ডার্ক চকলেট নাকি মিল্ক চললেট

চকলেট আমাদের ছোট বড় সকলের পছন্দ।তবে সব ধরনের চকলেট কি স্বাস্থ্য কর। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ডার্ক মিল্ক বা দুধের চকলেটের মধ্যে তুলনা করতে গেলে বিভিন্ন উপাদানের পাথক্য দেখা য়ায়। এদের রয়েছে আলাদা উপকারিতা ও অপকারিতা।

আরো পড়ুনঃ কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ডার্ক চকলেটে মধ্যে কোকের পরিমাণ বেশি,এতে অ্যান্টি অক্সডেন্ট ও বেশি থাকে।তাই হৃদসংক্রান্ত রোগ  দূরে রাখতে উপকারী। অন্যদিকে দূধের তৈরি  চকলেট  খেতে সুস্বাদু।এতে থাকে চিনি ও চর্বি।

ডার্ক চকলেটের কয়েকটা উপকারিতা হল

হৃদ-স্বাস্থ্য ভালো থাকে: ডার্ক চকলেট রয়েছে ফ্লাভানয়েডস যা হৃদরোগের ঝুকি কমায়।২০১৭ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ডার্ক চকলেট  এবং কোকোয়া খাওয়ার খারাপ বা এল ডি এল, কোলেস্টেরলের মাএা কমাতে সাহায়্য করে। যা সাধারণত স্থুলকায় বা অধিক ওজনের ব্যক্তিদের মাঝে দেখা যায়।

মন ভালো রাখে: ডার্ক চকলেট  আছে 'এন্ডোফিন্স 'ও 'সেরেটোনিন,য়ের' মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। এবং এগুলো হরমোন সৃষ্টির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : ডার্ক চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট  দেহকো ফ্রি রেড়িকেল থেকে সুরক্ষিত রাখে,ক্ষতিকর কোষ সারিয়ে তোলে এবং অক্সিডেটিভ চাপ সম্পর্কিত রোগের ঝুকি কমায়। 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ডার্ক চকলেট শর্করার মাএা কম  এবং দীঘক্ষন পেট ভরা রাখতে পারে। তাই ওজন কমাতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।অতিরিক্ত ডার্ক চকলেট খাওয়া বিভিন্ন ধরনের পাশ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে,যেমন- মূএবর্ধন,অনিন্দ্রা,ত্বকে অ্যালাজি,হজমের সমস্যা  এবং মাথা ব্যাথা।

দুধের তৈরি চকলেট বা মিল্ক চকলেট কি স্বাস্থ্য কর

মিল্ক চকলেট বা দুধের তৈরি চকলেট হল- পূর্ন কোকোয়া, কোকোয়া বাটার,চিনি এবং দুধের সংমিশ্রণ। যারা কিছুটা  ক্রিমভিওিক মিষ্টি স্বাদ পছন্দ করেন মিল্ক চকলেট তাদের জন্য।


এটা এন্ডোর্ফিন্স এবং সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে মন ভালো থাকে মানসিক চাপ কমে। এছাড়াও মিল্ক চকলেট অল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। দুধের তৈরি চকলেট শর্করার মাএা ও চবি মাএা বেশি থাকার ডাক চকলেটের মতো সমান উপকারী নয়।তবে সুষম খাবারের পাশাপাশি পরিমিত গ্রহণে স্বাস্থের উপকার পাওয়া যায়।

ডার্ক চকলেট বনাম দুধের তৈরি চকলেট

দুই ধরনের চকলেটের স্বাদ ভিন্ন এবং এতে মিশ্রিত উপাদান ভিন্ন রকমের  তাই পার্থক্য ও রয়েছে ভিন্ন ধরনের।

কোকোয়া: দুই ধরনের  চকলেটই কোকোয়া পাওয়া।  এটা ফ্লাভানয়োডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ  যা  স্বাস্থের জন্য উপকারী। ডার্ক চকলেট কোকোয়ার মাএা বেশি এবং চিনির মাএা  দুধের তৈরি চকলেটের তুলনায় কিছুটা কম।

দুধ: মিল্ক চকলেট দুধ ও চিনির মিশ্রন থাকায় তা একটি ক্রিম ভিওিক স্বাদ দেয়।আর কোকোয়া মাএা থাকায় পুষ্টি মূল্য ডার্ক চকলেটের তুলনায় কিছু কম।

চিনি: পুষ্টি গুনের বিবেচনায় ডার্ক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাএা বেশি।চিনি ও চবি মাএায় দুধের তৈরি চকলেট তুলনায় কম।

কোন টা বেশি উপকারী

ডার্ক চকলেট ও মিল্ক চকলেট  তুলনায় ডার্ক চকলেট বেশি স্বাস্থ্য কর। কারণ এতে কোকোয়ার মাএা বেশি  যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু টা নিদিষ্ট স্বাস্থেকর উপাদান বেশি। যেমন,হৃদস্বাস্থ ভালো রাখতে সহায়তা করে। এতে মিল্ক চকলেটের তুলনায় শর্করার মাএা ও ক্যালোরির মাএা কম। তবে যে ধরনের চকলেট ই বাছাই করা হোক না কেন স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে গ্রহন করা উচিত।

ডার্ক চকলেটের স্বাস্থ্য গুন

চকলেট কার না কারো পছন্দ। ছোট বড় সকলেই চকলেট পছন্দ করেন। বেশির ভাগ সময় ছোটদের চকলেট খেতে বিধি-নিষেধ দেয়া হয়। কেউ কেউ ত বলে থাকেন যে চকলেট স্বাস্থ্য জন্য অনেক ক্ষতিকর।কিন্তু এটা সম্পন্ন সত্য কথা নয়। এটা আমাদের শরীলের অনেক উপকার করে।
ডার্ক চকলেটের পুষ্টিগুন
৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ কোকো সম্পন্ন ১০০ গ্রামের ডার্ক চকলেটের একটি বারে পাওয়া যায় ১১ গ্রাম ফাইবার,৬৭ শতাংশ আয়রন,৫৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম,৮৯ শতাংশ কপার ও  ৯৮ শতাংশ ম্যাংগানিজ। সঙ্গে পাবেন স্যাচুরেটেড এবং মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটও। এছাড়াও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ডার্ক চকলেটে।
জেনে নিন এই চকলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পকে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডার্ক চকলেট খেলে ধমনিতে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়।যার ফলে মস্তিক ধমনিতে বিশ্রাম নেওয়ার বার্তা পাঠায়।তাই রক্ত চলাচল আর সহজে হয় এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
হৃদরোগ ঝুকি কমায়:ডার্ক চকলেট দীঘদিন ধরে খেলে ধমনিতে কম কোলেস্টেরল জমে। এটি শরীলের ক্ষতিকরাক কোলেস্টেরল দূর করে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার ঝুকি কমায়:নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া শুরু করে শরীলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাএা এতটা বৃদ্ধি পাই যে শরীলের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের খোজ পাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। ফলে দেহের স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশস্কা যেমন কমে,তেমনি আরো সব জটিল রোগ ধারে আসতে পারে না

ডার্ক চকলেট কি ঘুম কমায়

ডার্ক চকলেট নিয়ে প্রচলিত সবচেয়ে কমন  বিষয় হলো এটি খেলে আমাদের শরীলের অনেক ধরনের ক্ষতি হয়। তবে এটি সম্পন্ন ভুল ধারনা। এটি আমাদের শরীলে অনেক উপকারে আসে। অনেক এর ধারনা ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাফেইন থাকে তাই এটি খেলে আমাদের ঘুম হয় না। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে ডার্ক চকলেটে ক্যাফেইন এর মাএা খবুই কম এবং ঘুম না আসার পিছনের এটার কোনো দায়ী করা যায় না।



সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম কফিবিনে ১৪০০ মিলি গ্রাম ক্যাফেইন থাকে যেখানে ডার্ক চকলেটে ১০০ গ্রামে ক্যাফেইন থাকে মাএ ৭০ গ্রাম।তাই কফিতে বিদ্যামান  ক্যাফেইন সাথে একে তুলনা করা একবারে ঠিক নয়।প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কাফেইন এর হেলদি লিমিট ৪০০ মিলি গ্রাম বলে ধরে নেওয়া হয়। অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন থাকার কারনে ডার্ক চকলেট সাময়িক ব্রেইন ফাংশন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

হেলথ বেনিফিটস

ডার্ক চকলেট নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক বিতর্ক আছে। কেউ বলে এটা খেলে আমাদের শরীলে অনেক ফ্যাট জমা হয়, আবার কেউ বলে এটা খেলে আমাদের দাত নষ্ট হয়ে যায়,আবার কেউ বলে এটা খেলে আমাদের ঘুম হয় না। তবে ডার্ক চকলেটে এসব কোনো গুন থাকে না। বিশেষ করে অ্যান্টি এক্সিডেন্ট উৎস হিসাবে ডার্ক চকলেট জুড়ি নাই। আমাদের হার্ট,ব্রেইন ফাংশন,স্বাভাবিক রক্ত চলাচল,ত্বকের সুস্থতা সবকিছুর ওপর এটি পজেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলে। 

  • ফ্ল্যাভানল আমাদের হার্টের ধমনীগুলোকে সচল রাখতে সাহায্যে রাখে।এবং ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • ফ্ল্যাভানল ব্যাড কোলেস্টেরল LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • চকলেট ফিনাইল ইথাইলামাইন নাকম উপাদান আছে, যা আমাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য নিয়মিত পরিমিত মাএায় ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।
  • পলিফেনল হার্টের রোগের ঝুকি কমায়,ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।
  • স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে,হজম ক্ষমতা ঠিক রাখে।
  • ডার্ক চকলেট খাওয়া শরীলের জন্য ভালো,কেননা এতে থাকা উপাদান মস্তিষ্ক কার্য়করিতা বাড়ায়।
  • বয়স্ক দের ডিমেনেশিয়া বা ভুলে যাওয়ার প্রবনতা কমাতেও সাহায্য করে।
  • নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে মনযোগ দিয়ে কাজ করার সক্ষমতা বাড়ে।
  • ডার্ক চকলেট খেলে বিষণতা দূর করতে দারুন কাজ করে।

বেশি পরিমাণে খেলে কি হয়

ডার্ক চকলেট আমাদের অনেক স্বাস্থ্য গুন উপাদান দিতে থাকে।হেলদি ও ফিট থাকার জন্য ডেইলি ৫০-৬০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।ডার্ক চকলেট উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন হওয়ায় বেশি পরিমাণ খেলে আমাদের শরীলের নানা রকম সমস্যা হতে পারে।

ক্যালরি সম্পন্ন হওয়ার ডার্ক চকলেটের মাধ্যমে ক্রস করে গেলে তা ওজন বাড়িয়ে স্বাস্থ্যর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই নিজের স্বাস্থ্য ও ডায়েটের কথা মথায় রেখে চকলেট খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। বেশি পরিমাণ খেলে ডিহাইড্রেশন,ইনসমনিয়া,মাইগ্রেন  হার্টরেট বেড়ে যায় এবং শরীলে নানা রকম সমস্যা হয়।

আরো পড়ুনঃমাশরুমের এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চকলেট প্রেমীরা জেনে খুশিই হচ্চেন যে,সমীত পরিমান ডার্ক চকলেট খাওয়া আপনার চকলেট ক্রেভিং মেটানোর জন্য পাশাপাশি শরীল ও মন সুস্থ থাকে। তবে বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত মিল্ক চকলেট থাকে দুধ ও চিনি। মিষ্টি স্বাদের বা ফ্লেবার দেওয়া কোকোয়ার বাটার চিনি আমাদের শরীলের অনেক ক্ষতিকর কর।

ডায়াবেটিস এর মাএা কমায়

মুখরোচক এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই চকলেট খেতে পছন্দ করে। চকলেট আমাদের শরীলে অনেক উপকারী ভুমিকা রাখে। কিন্তু চকলেট খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর কিছু দিক ও রয়েছে। তবে অন্যান্য চকলেট ডাক্তার খেতে মানা করলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন।

ডায়াবেটিস মুক্তি পেতে চকলেট

  • ডার্ক চকলেট  শরীলে রক্তে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে,ফলে ডায়াবেটিস মাএা কমায়।
  • চকলেট মধ্যে থাকে কোকো,যা মস্তিষ্কের কার্য়করিতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোকোতে থাকে ভরপুর মাএায় ফ্ল্যাভনয়েড,যা মস্তিকের রক্তের মাএা বাড়িয়ে দেয়।
  • ডার্ক চকলেট খেলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে।দীঘদিন স্মৃতি শক্তি অটুট রাখতে ও চকলেট অনেক উপকারী।
  • ডার্ক চকলেট হৃদরোগ কে সুস্থ রাখতেও  উপকারী।প্রতি দিন দু তিন টুকরো চকলেট খেলে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • চকলেটে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম পাথেকেওয়া যায়,যা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।
  • বার্ধকের প্রভাবে কমানো ক্ষেএে ও চকলেট বিষেশ গুন রয়েছে।এটি বেশ কার্য়কর।
  • ডার্ক চকলেট খেলে মিষ্টি,নোনতা,ফ্যান্টি জাতীয় খাওয়ার প্রবণতা কমে।রাতে ঘুমানো যাওয়ার আগে এক টুকরো ডাক চকলেট খেতে পাবেন তাহলে রাতে ভালো ঘুম হবে।

কেন ডার্ক চকলেট খাবেন

চকলেট আমাদের শরীলের নানান ধরনের উপকার করে। তবে অনেক মানুষ তা জানেন না। সবাই জানে ডার্ক চকলেট আমাদের শরীলে নানান রকম অসুখের সৃষ্টি করে। ক্ষতিকর এর পাশাপাশি এর অনেক স্বাস্থ্য গুন রয়েছে। সুস্থ থাকতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সেরা উপকারণ হলো ডার্ক চকলেট। তবে মিল্ক চকলেট নয় সুস্বাস্থ্যের পেতে ভরসা রাখুন ডার্ক চকলেট।

আসুন জেনে নিই ডার্ক চকলেট খেলে কোন রোগ সূমহ থেকে দূরে থাকা যায়

  • ডার্ক চকলেট এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীলের রক্তে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ  রাখে,যার কারণে আপনি ডায়াবেটিস মতো রোগের শিকার হওয়ার হাত থেকে বাচতে পারেন।
  • চকলেট মধ্যে থাকে কোকো যা মস্তিষ্কের কার্য়কারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।আসলে কোকোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড থাকে যা আমাদের মস্তিষ্কের রক্তে সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়।
  • যেসব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি চকলেট খান তারা স্ট্রেস থেকে মুক্তি পান,এবং তাদের সন্তান হাসিখুশি থাকে।
  • ডার্ক চকলেট হৃদযন্ত্রের সুস্থ সবল রাখতে সাহায়্য করে।প্রতিদিন দু - তিন টুকরো চকলেট খেলে হৃদযন্ত্রের  জন্য ভালো।
  • বার্ধক্য প্রভাব কমাতে ডার্ক চকলেটের বিশেষ গুন রয়েছে।যারা বয়স বাড়ার প্রভাব কমাতে চান,তারা অবশ্যই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন।
  • যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন রোগীরাও তারা চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকলেটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। 
  • ডাক চকলেট খেলে মিষ্টি নন্দা ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া প্রবণতা কমে।  রাতে ঘুমানোর আগে এক টুকরো ডার্ক আপনার খেতে পারেন।

ডার্ক চকলেটের স্বাস্থ্য অপকারিতা 

চকলেট খেয়ে না ভালবাসে?এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর তিনি চকলেট পছন্দ করেন না। উৎসব উদযপন প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে উপহার হিসেবে বা পুরস্কার হিসেবে সবচেয়ে বেশি সাধারণ প্রধান হয়ে থাকে বিভিন্ন রকমের চকলেট। 

 অবশ্য চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি মন্দ, এটা নিয়ে এখানো মীমাংসা হয়নি।

চকলেটের অপকারিতা

  •  চকলেট থেকে প্রাপ্ত ক্যালারি গুলো আপনার ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে এবং এটি আপনার শর্কারর মাত্রা তুলবে।  
  • কিছু চকলেটে প্রচুর চিনি থাকে যা আপনার শরীর স্বাস্থ্যের উপর নানার প্রভাব ফেলে।
  • চকলেট ক্যালোরি ঘন উৎস।যদি আপনি ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকেন,তবে অব্যশই পুরো বার একসাথে খেতে পারবেন না।
  • তবে প্রতিদিন৷ খাবারে দুই এক টুকরো খেতে পারেন।
  • যদিও স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি অল্প চকলেট খাওয়ার মত অস্বাস্থ্যবান নয়।
  •  তবে অতিরিক্ত চকলেট খাওয়া আপনাকে অন্য কোন খাবার খাবারের ক্যালোরের মত মোটা করে তুলবে। 
  • এ জন্য চকলেট খাওয়ার নিয়ন্ত্রণ সঠিক চকলেট  হলে বেছে নিতে হবে। 
  • কমপক্ষে ৭০ শতাংশ কোকো সহ ডাক চকলেট আপনার বিপাক বাড়াতে ইনসুলিন স্পাইক প্রতিরোধ করতে এবং আপনাকে তৃপ্তি বোধ করতে সাহায্য করে।
  • অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত থাকে বলে চকলেট পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। সব সময় চকলেটের ছোট অংশ খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

শেষ কথা

ডাক চকলেট ফ্ল্যাভনয়েড কারণে শরীরে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং রক্ত চাপ কমায়।ফলে কাডিপওভাসকুলার স্বাস্থের জন্য এটি বেশ কাযকর। ডাক চকলেট শরীলে ভালো কোলেস্টেরল রাড়াতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভুমিকা রাখে।

তবে সব জিনিসের ভালো মন্দ দুইটা দিক থাকে।যাদের বড় ধরনের কোনো রোগ থাকে তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে এটা খাওয়ার অতি উওম মাধ্যম। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url