কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা

কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের শরীলের জন্য খুবই গরুত্বপন্য । সবচেয়ে পরিচিত শাখের মধ্যে অন্যতম একটি হলো কলমি শাক। এটি নানা গুণে ভরপুর তবে অন্যান্য শাকের ভিড়ে এই শাকের কদর তেমন পায় না। অবহেলিত এই শাকের আপনার শরীলের নানা উপকারে আসে।

কলমি শাক পানিতে ,কি়ংবা ভেজা মাটিতে হয়ে থাকে। এর ডাটা গুলো ২-৩ মিটার বা আরো বেশি দীঘ হয়। ফুলের দিকে সাদা এবং গোড়ার দিকে বেগুনি। কলমি ফাইবার,ভিটামিন এ,বি,লৌই উপাদানে ভরপুর।কলমি শাক আমাদের৷ চোখের দৃষ্টি,ডায়াবেটিস,উচ্চ-রক্তচাপ,ক্যান্সার মতো মরণ ঘাতি রোগ থেকে মুক্তি মেলে।  

সূচিপএ :কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাকের স্বাস্থ্য গুন

সবচেয়ে পরিচিত শাকের একটি হলো কলমি শাক।তবে আমরা কলমি শাকের তেমন কদর করি না কলমি শাকের রয়েছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,আয়রন সহ নানা খনিজ পদার্থে ভরপুর।বলা হয়ে থাকে কয়লার মাঝে হীরা পাওয়া যায়। তেমনি কলমি শাকেও তেমনি পচা পুকুরে বা নদমার মাঝে জন্ম নেওয়া এই শাকের উপকারিতা অনেক বলে শেষ করা যাবে না।চোখের জ্যাতি বাড়াতে কলমি শাক এক অন্যান্য উপাদান।

১০০ গ্রাম কলমি শাকে পুষ্টি মানের পরিমাণ হলো ৮১৭ গ্রাম।আনিষ থাকে ৩৯ গ্রাম লৌহ ৬ গ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে ১৪ গ্রাম আর ক্যালোরি থাকে ৩০ গ্রাম।তাহলে বুঝতে পারছেন এই কলমি কি পরিমাণ আমাদের স্বাস্থ্য গুন রয়েছে।কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা যা আমাদের শরীলের জন্য খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুন ঃ দৈনন্দিন জীবনে কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা

ছোট বেলা থেকে যদি আপনার শিশুকে  বেশি বেশি কলমি শাক খাওয়ানো তাহলে আপনার শিশুর হাড় মুজবুত করতে সাহায্য করে।আপনার শিশুকে যদি ছোট বেলা থেকে কলমি শাক খাওয়ান তাহলে আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।পাশাপাশি আপনার সন্তান এর ফোড়া হয়ে থাকে তাহলে সেখানে কলমি শাক বেটে লাগিয়ে  দিলে সেই জায়গায় ফোড়ার রক্ত পুচ বের করতে সাহায্য করে।

কলমি শাকের স্বাস্থ্য গত দিক 

কলমি শাকে পুষ্টি গুনে ভরপুর।এটাই ক্যালসিয়াম,ভিটামিন-এ,ভিটামিন সি,আয়বর সহ নানান পুষ্টিগুন থাকে।কলমি শাক আমাদের ছোট বড় সকলেই পছন্দে রাখা উচিত।ভিটামিন এর ফলে ছোট বড় সকলের পুষ্ট গুনে সাহায়্য করে।

লিভার ভালো রাখেঃ লিভার ভালো রাখতে কলমি শাক বেশ কার্য়কর।এটা জন্ডিস ক্ষেএেও সমানভাবে কাজ করে।এক গবেষণায়  দেখা গেছে,কলমি শাক থাকা কিছু উপাদান লিভার থেকে ক্ষতি কর পদাথ বের করে দিতে সাহায্য করে।

শাক সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীলের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কলমি শাক তার মধ্যে অন্যতম। এই খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তচাপ,ক্যান্সার,অ্যালাজি মতো রোগ থেকে মুক্তি মেলে।কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এটা আমাদের শরীলে কাজ করার শক্তি যোগায। সেই সঙ্গে ড্যামেজ লিভার সুস্থ করার ক্ষেত্র এটি বেশ কার্য়কর।লিভার এর সমস্যা থাকে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই কলমি শাক রাখা উচিত।

হার্ট ভালো রাখেঃ কলমি শাকে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন।সেই সঙ্গে এই কলমি শাকে আর থাকে ভিটামিন সি।যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।কলমি শাক খেলে হৃদরোগের মতো ওসুখ থেকে দূরে থাকে।নিয়মিত কলমি শাক খেলে হার্টের রক্তনালির ভেতর প্লাক বা ময়লা জমে না।ফলে হার্ট ভালো থাকে।

ক্যান্সার থেকে দূরে রাখেঃ ক্যান্সার এর মতো মরণঘাতি রোগ থেকে দূরে রাখে কলমি শাক।এই শাকে ১৩ ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।এসব অ্যান্টি- এক্সিডেন্ট শরীলের ফ্রি  রাডিকেলস বের করে দেয়।ফলে শরীলের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি আশষ্কা কমে যায়।তাই ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে কলমি শাকের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। 

রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত অসুখ দূরে থাকে।এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে কলমি শাক এই শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন সহ নানা উপাদান। যা আমাদের শরীলের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ বতমান সময়ে ছোট বেলায় থেকে আমাদের দৃষ্টিশক্তি সমস্যা পড়তে হচ্ছে।এই দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি জন্য আমাদের ছোট বেলা থেকেই  কলমি শাক খাওয়া উচিত।কারন কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং আয়রন যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

কলমি শাকের উপকারিতা 

কলমি শাক বেশ উপকারী একটা শাক।তবে এর কদর কেউ তেমন করে না। নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর এই শাকটি।এই শাকে রয়েছে ভিটামিন-এ,ভিটামিন-সি আয়রন সমৃদ্ধ মহামূল্য উপাদান।কলমি শাক আমাদের বাড়ির আশেপাশে হযে থাকে । কিন্ত আমরা কলমি শাকের পুষ্টি গুন বুজতে পারি না।কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পকে জেনে নিন। 

পুষ্টিকরঃ কলমি শাকে প্রোটিন,কার্বোহাইড্রেট,ভিটামিন,মিনারেল সহ নানান খনিজ পদার্থ রয়েছে।এটি শরীলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সাহায্যেকারীঃ আমাদের কম বেশি সবার ই এই সমস্যা রয়েছে।অনেক চিকিৎসা নিয়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।এই সমস্যা থেকে মুক্তি জন্য আমাদের হাতের কাছে সেই ওষুধ রয়েছে।কলমি শাক প্রচুর ফাইবার ও নিম্ন কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রোগীদের ক্যালোরি সমস্যা সমাধানের সহায়তা করে।

পাচনশক্তি উন্নতিঃ কলমি শাকে প্রচুর পরিমানে আয়রন ও আন্টিসেপ্টিক পাওয়া যায় যা আমাদের পাচন শক্তি উন্নতির করে পেট সমস্যার সমাধানের সহায়তা করে।

হৃদয়ে স্বাস্থ্যকরঃ কলমি শাকে রয়েছে ন্যাট্রিয়াম,পটাসিয়াম ও অন্যান মিনারেল পাওয়া যায়।যা আমাদের হৃদয় স্বাস্থাকর উপকারিতা দেয়।

প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিঃ কলমি শাক বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ধারণ করে।এটি আমাদের শরীলের প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রম থেকে আমাদের রক্ষা করে।

কলমি শাকের কিছু গুরুত্বপূন্য উপাদান তুলে ধরা হলো

  • কলমি শাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকায় এই শাক খাওয়ার ফলে হাড মুজবুত করে।
  • ভিটামিন সি থাকার কলমি শাক  অ্যান্টি-অক্সডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • এটি বসন্ত রোগে প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
  • কারো যদি কষ্টকাঠিন্য থেকে আর সে যদি নিয়মিত কলমি শাক খায় তার ক্ষেএে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাই।
  • কোনো মহিলা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর যদি মায়ের দুধ না পায় তাহলে মহিলাকে কলমি শাক খেতে পারেন। 
  • কলমি শাকে রক্ত শূন্যতা রোগীদের জন্য অনেক উপকারে আসে।এর কারন হলো কলমি শাকে থাকে লৌহ উপাদান।এই লৌহ ফলে রক্ত শূন্যতা কমে যায়।
  • নিয়মিত কলমি শাক খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • যাদের অকারনে মাথা ব্যাথা হয়। তারা যদি নিয়মিত কলমি শাক খায় তাহলে মাথা ব্যাথা থেকে  থাকবে। 
  • কারো যদি ফোড়া বা বাগি হয়ে থাকে তাহলে কলমি শাক বেটে ফেড়ায় লেগে দিলে ফোড়ার রক্ত পুচ বের হয়ে এসে তাড়াতাড়ি ফোড়ার স্থান শুকিয়ে আসে।

গর্ভবস্থায় কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওযার অনেক অপকারিতা রযেছে।কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক পুষ্টিকর খাবার এর দরকার হয়।এটি আমরা বিভিন্ন দামি দামি ওষুধ থেকে পূরণ করি।এতে আমাদের কাছেই রয়েছে সেই দামী ওষুধ যা আমরা অনেকেই চিনি না।কলমি শাক আপনার সেই দামী ওষুধের কাজ করে।এটা খাওয়ার ফলে আপনাকে ইনসুলিন বা কোনো ধরনের দামী ওষুধ খাওয়া লাগে না।

গর্ভবাস্থায় কলমি শাক আপনার প্রোটিন এর পাশাপাশি আয়রন সমৃদ্ধ করে আপনার সন্তানকে পুষ্টিগুনে ভরপুর করে তোলে। কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল,আয়রন। যা গর্ভবাস্থায় অতি প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,কলমি শাকে থাকে ডিটামিন এ, ভিটামিন সি,আয়রন ও অন্যান্য জরুরি কিছু উপাদান। যে কারনে এউ শাক খেলে শরীলের অনেক রোগ প্রতিরোধ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।

শাক খাওয়ার উপকারিতা

কলমি শাকে পুষ্টি গুনে ভরপুর।এটাই ক্যালসিয়াম,ভিটামিন-এ,ভিটামিন সি,আয়বর সহ নানান পুষ্টিগুন থাকে।কলমি শাক আমাদের ছোট বড় সকলেই পছন্দে রাখা উচিত।ভিটামিন এর ফলে ছোট বড় সকলের পুষ্ট গুনে সাহায়্য করে।

ভ্রণের বিকাশ সহায়কঃ কলমি শাক সবজি বিভিন্ন  প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরহ করে থাকে।কলমি শাকে রয়েছে প্রোটিন,আয়রন,ফোটেল যা গর্ভবস্থায় প্রাথমিক ভ্রণের বিকাশ সহায়ক।

একটি স্বাস্থ্য কর সন্তান জন্ম প্রচারঃ এই সবজি পুষ্টি গুনে ভরপুর। যা গর্ভবস্থায় আপনার সন্তান এর সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।

জন্মগত ক্রটির ঝুকি কমায়ঃ কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এবং ফাইবার।যা গর্ভবস্থায় অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি।কলমি সেবনের ফলে আপনার সন্তান প্রসাব করতে কোনো সমস্যা হয় না।তাই কলমি শাক জন্মগত ক্রটি ঝুকি কমায়।

হজমে উন্নতি করেঃ কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর ফাইবার উপাদান যা আমাদের নিয়মিত মূলত্যাগে সাহায্য করে।মূলত্যাগের পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য এর মতো কঠিন সমস্যা থেকে গর্ভকালীন সময় সাহায্য করে।

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিঃ গর্ভকালীন অবস্থায় আমাদের শরীলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।তার মধ্যে অন্যতম হলো হাড়র ব্যাথা বা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি। কলমি শাকে রয়েছে ফাইবার,মিনারেল যা আপনার হাড শক্ত করে।এবং শিশুর হাড ও হাতের জন্য এটা বেশ কার্যকর।

স্বাস্থ্যকর ত্বকঃ শাক সবজি তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ফাইবার থাকে যা আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপযগী। যা গর্ভবস্থায় ত্বক বা চর্মরোগ থেকে রক্ষা করে।

রক্ত কণিকা নিয়ন্ত্রণ করেঃ শাক সবজি আমাদের দেহের জন্য মহামূল্য উপাদান। শাক সবজি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন,মিনারেল,ফাইবার,খনিজ পদার্থ যা আমাদের শরীলের জন্য বেশ উপকারী।কলমি শাক রক্ত কণিকা সচল রাখে।এবং রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাএা সঠিক রাখে।তার ফলপ আমাদের শরীল ভারসাম্য বজায় রাখে।

গর্ভকালীন সময় ডায়াবেটিস ঝুকি কমায়ঃ কলমি শাকে গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার মাএা নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।যা গর্ভকালীন সময় ডায়াবেটিস ঝুকি কমায়।

অকাল প্রসাবে ঝুকি হ্রাস করেঃ কলমি শাকসবজির সমৃদ্ধ পুষ্টির প্রোফাইল অকাল প্রসাবে ঝুকি কমায়। এবং কলমি শাক খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থায় সময়কাল নিশ্চিত করে।

 কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে

ক ল মি শাক খেলে আমাদের প্রেসার কমে,কারণ ক ল মি শাকে রযেছে প্রচুর পরিমানে খনিজ উপাদান  । যা আমাদের শরীল বৃদ্ধি জন্য সবুজ শাক সবজি বিকল্প অন্য কোনো কিছু ই নাই। শাক সবজি আমাদের শরীলিক গঠন থেকে রোগ প্রতিরোধ সমূহ করতে অন্যান্য ভুমিকা পালন করে। শাক সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীলের রক্তচাপের মাএা নিয়ন্ত্রণ  করতে সাহায্য করে। এবং শাক সবজি খাওয়ার ফলে রক্ত চাপের প্রভাব ফেলতে পারে না।

যদিও শাক সবজি বেশ কিছু স্বাস্থ্য প্রকৃত দেয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ কার্য়কর।উচ্চ রক্তচাপ প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে কারো না কারো আছে বলেই চলে। কলমি শাক হার্ট এটাক এবং স্টোক সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুনঃউচ্চ রক্ত চাপ কমানোর ১০টি ঘরোয়া উপায়

একটি বিখ্যাত মেডিকেল কলেজ কলমি শাক এর উপকারিতা নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত তৈরি হয়। পরে দুই দল গবেষণা করে ফলাফল দেই যে কলমি শাক খাওয়ার ফলে রক্ত চাপ বা প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসার পক্ষে মতামত দেয়। এবং তারা আরো বলেন যাদের পেসার বেশি বা কম এটাও কলমি শাক নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে আর দেরি না করে কলমি শাক খাওয়া শুরু করে দেন।

কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক

প্রতিটা সবজিতে কোন না কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকে। তেমনি কলমি শাকেও ক্ষতিকর দিক রযেছে। কলমি শাক সবজি এতে এত পরিমাণ পুষ্টি কর উপাদান রয়েছে।যা আমাদের শরীলের জন্য খুবই প্রয়োজন।এতে আমরা শারীলিক শক্তির পাশাপাশি,মানসিক বিকাশ ঘটাতে সাহায়্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা দুইটাই রযেছে। তবে এটা একটা কথা বলেই হয়,সেটা হলো যেকোনো জিনিস বা বিষয় এর ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে। সবকিছুই দুই টা দিক থাকে। আমাদের ভালো দিক কাজে লাগতে এবং মন্দ দিক থেকে বিরত থাকতে হবে।

শাকের ক্ষতিকর দিক

শাক সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীলের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কলমি শাক তার মধ্যে অন্যতম। এই খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তচাপ,ক্যান্সার,অ্যালাজি মতো রোগ থেকে মুক্তি মেলে।তবে মনে রাখতে হবে,যেকোনো জিনিস বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়। কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পকে নিচে দেওযা হলোঃ

অক্সালেট বেশিঃ কলমি শাক বা পালং শাক  এর বীট শাক অক্সালেট সমৃদ্ধ, যা সংবেদনশীল ব্যাক্তিদের কিডনিতে পাথর জমাতে সাহায্য করে।

নাইট্রেট সামগ্রীঃ কলমি শাকে নাইট্রেট উচ্চ মাএায় থাকে, যা আপনার শরীলের ক্ষতিকর নাইট্রেট রুপান্তরিত হতে পারে।

কীটনাশকের ব্যবহার যোগ্যঃ কলমি শাক বর্তমানে চাষ করা হচ্চে। চাষ করা কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়।তাই প্রচুর পরিমাণে কলমি শাক খায়লে আপনার স্বাস্থের ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে।

অ্যালাজির প্রতিক্রিয়াঃ কিছু ব্যাক্তি কলমি শাকে অ্যালাজও থাকতে পারে।বিশেষ করে যা বোটানিক্যাল পরিবার বা অন্যানয় গাছের প্রতি অ্যালাজি থাকে তাদের কলমি শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

গয়ট্রোজেনঃ ব্রোকলি এবং বাধাকপি বা কলমি শাকে গয়াট্রোজেন থাকে, যা আপনার প্রচুর পরিমাণ খাওয়া হলে থাইরয়েড় গন্থির হরমোন তৈরি ক্ষমতাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

উচ্চ ফাইবার সামগ্রীঃ বেশিভাগের জন্য উপকারী হলেও কলমি শাকে রয়েছে উচ্চ ফাইবার উপাদান কিছু ব্যক্তির মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টোইনাল অস্বস্তি যা আপনার শরীলের ফোলা ভাব তৈরি করতে পারে।বিশেষ করে যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা সংবেদনশীল ব্যক্তি ক্ষেএে।

অ্তিরিক্তি ভিটামিনঃ কলমি শাকে রয়েছে অধিক পরিমাণে ভিটামিন।যা নিদিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহার কারী দের জন্য মারাত্মক সমস্যা করে।এবং ঔষুধ ব্যবহার কারীর রক্ত জমাট বাধতে হস্তক্ষেপ করে।

কলমি শাকের পুষ্টিগুন

কলমি শাকের পুষ্টিগুন বলে শেষ করা যাবে না। কলমি শাক এমন একটা শাক। যেটা আমরা হাতে কাছে রেখেই ব্যবহার করি না।আমরা অনেকেই জানি না এর পুষ্টিগুন কতো। এটা আমাদের শরীলের জন্য কতটা দরকার।কলমি শাক আমাদের শরীলের বৃদ্ধি,ভিটামিনের অভাব,আয়রন প্রদান,ক্যালশিয়াম,লৌই উপাদান পুষ্টি সমৃদ্ধ থাকে।তাই আমাদের কলমি শাক খাওয়া দরকার। এটা শরীলিক দূর্বলা, মানসিক চাপ থেকে মুক্তি,নিত্য দিনের জন্য আমাদের শরীলের পুষ্টি যোগিয়ে থাকে।

এর পুষ্টিগুন

  • কোলেস্টেরল 
  • সোডিয়াম
  • পটাসিয়াম 
  • প্রোটিন
  • ভিটামিন-এ 
  • ভিটামিন সি 
  • আয়রন
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • লৌহ 
  • আমিষ
  • ফাইবার 
  • ক্যালসিয়াম

কলমি শাকের মধ্যে এই সকল উপাদান রয়েছে।তাই আমাদের নিয়মিত খাবার তালিকায় এই কলমি শাক রাখা উচিত।

শেষ কথা

আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি বা শারীলিক পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ রাখতে শাক সবজি বিকল্প নাই। আমাদের নিত্য দিনের খাবার তালিকায় কোনো না কোন শাক রাখা উচিত। তাহলে আমাদের শরীলে কোনো পুষ্টি গুন এর অভাব হবে না। সবজি আমাদের দেহের সকল পুষ্টি গুন সরবরহ  করে থাকে। কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুরুত্ব অপরিসীম।

শাক সবজি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীলের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।কলমি শাক তার মধ্যে অন্যতম। এই খাওয়ার ফলে আমাদের রক্তচাপ,ক্যান্সার,অ্যালাজি মতো রোগ থেকে মুক্তি মেলে।তবে মনে রাখতে হবে,যেকোনো জিনিস বেশি পরিমাণ খাওয়া উচিত নয়।যাদের কোনো ধরনের বড় সমস্যা বা ঔষুধি গ্রহন করে থাকেন।তাহলে অব্যশই অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ শাক সবজি গ্রহন করে থাকবেন।

                                               যোগাযোগ করতে এখানে চাপ দিন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url