আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা-প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার 

প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া অভ্যাস করুন। কারণ আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক গুরুত্বপূ্ন্য।প্রতিদিন কয়টা আনলকি খাওয়া উচিত।আমলকি কেন্দ্রীয় স্নায়ু তন্ত্রের উপর কাজ করে। দীঘমেয়াদী কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার যায।



জন্য আমলকি নির্যাস  উপকারী।আমলকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। কফ বমি অনিদ্রা ব্যথা বেদনা আমলকি অনেক উপকারী। আমলকির রস কষ্ট কনিষ্ঠ ও পাইলসের সমস্যার দূর করতে পারে এছাড়াও গোলযোগ ও বদ হজম রুখতে সাহায্য করে। 

পেজ সূচিপএঃআমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।কারনা আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। খেতে পারেনা আমলকির আচার কিংবা মুরুব্বী। ছোট ফলটি আপনাকে দেবে মানসিক সুস্থতার নিশ্চয়তা।আমলকির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানুষের চাপ কমায়। কফ ভূমি অনিদ্রা ব্যথা বেদনা আমলকি অনেক উপকারী। 

আমলকির রস কষ্ট-কানিষ্ঠ ও পালিশের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে। চোখ ভালো রাখার জন্য আমলকি অনেক উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো ক্যামিকাল যা চোখের সঙ্গে জড়িয়ে ধরতে চোখের ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যা ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।



প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়। এটি চুলের ভিত্তিতেও সাহায্য করে এটি চুলের খুশির সমস্যা দূর করে এবং পাকা চুল প্রতিরোধ করে। আমলকি সর্দি কাশি পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।কোলেস্টেরল  কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ব্রস্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকি জুস উপকারী।

শরীর ঠান্ডা রাখে,শরীলের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে,পেশী মজবুত করে।আমলকি হৃদযন্ত্র ফুসফুস ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্তন করে। আমলকির আচার বা মুরব্বি মস্তিষ্ক ও হৃদয়ন্তের দূবলতা দূর করে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ফ্ল্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।আমলকি টক ও তেতো মুখের রুচি ও স্বাদ বাড়াই। রুচি বৃদ্ধি ও খিদের জন্য আমলকি গুডোরর সঙ্গে সামান্য দুধ ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন ।এটি অনেক রোগের জন্য চিকিৎসা প্রদান করে ।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা

এই কারণে আয়ুবেদিক চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আমলকি প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে এবং ক্যালসিয়াম ফসফরাস লোহা এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো অনেক খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।আমলকি কোন সুপারফুডের থেকে কম নয়। এতে এমন অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। এটি ঠান্ডা সর্দি এবং কাশি সহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাস হাত থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে। সাধারণত চুল ও ত্বক সৌন্দর্য বাড়াতে আমলকি ব্যবহার করা।

স্বাস্থ্যক্ষেএে আমলকির সুবিধা

চোখের জন্য:মধুর সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে পান করলে কিছু শক্তি উন্নত হয়। এটি চোখের ভেতরে চাপকে হ্রাস করে, দূরের জিনিস দেখতে পায় এবং ছানি পড়তে দেয় না। ভিটামিন এবং ক্যারোটিনিক মেলাননিক রাতের অন্ধত্ব কমাতে এবং আপনার দৃষ্টিকে শক্তিশালী করে। 

ডায়াবেটিস জন্য:আমলা বিচ্ছিন্ন গ্রুপের কোষকে উদ্দীপিত করে যা হরমোনটি ইনসুলিনকে বেরতে দেয় না এবং ডায়াবেটিসের রক্তের গ্লুকোজ হ্রাস করে এবং শরীরকে সুষম সুস্থ রাখে।এতে থাকা ক্রোমিয়াম শরীরে এল ডি এল কোলেস্টেরলকে কমায় যা হৃদগত স্বাস্থ্য জন্য ব্যবহৃত হয় যা বিটা -ইনহিবিটারের প্রভাবকে বাড়িয়ে দেয়।

বিপাকের জন্য:আমলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অঙ্গের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফাইবার এছাড়াও আলগা পায়খানা বৃদ্ধি এবং ডাইরিয়া কমাতে সাহায্য করে।

হৃদপিণ্ডের জন্য: এটি হৃদয়ের পেশিকে শক্তিশালী করে।অতিরিক্ত কোলেস্টেরল জমতে দেয় ন দেয় আমলাতে ক্রোমিয়াম থাকে যা এথোরোস্কলোরোসিসের সম্ভাবনা কমাতে পারে এবং রক্তনালী ধমনীতে পদায় চবির উৎপাদন কমাতে সাহায়তা করে।

সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে:আমলকিতে যেহেতু এবং এতে ব্যকটেরিয়া জীবানুমুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে তাই আমলকির সাথে শরীলের সংক্রমনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয় এবং উন্নত করে আমলকি তে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ায়। 

আমলকির অসুবিধা গুলো

যদিও গবেষনায় কোনো বিষাক্ততা বা নেতিবাচক প্রভাবের উল্লেখ নেই তবু আমলকি ব্যবহার সম্পকিত প্রতিকূল প্রতিক্রিয়া রয়েছে

১.হাইপারএসিডিটি টিগার করতে পারবে আপনার যদি হাইপার এসিডিটি ও ভিটামিন সি বা খাবারের সংবেদনশীলতা কোন ইতিহাস থাকে বা আগে অসুবিধা থাকে তাহলে আমলকি আপনার জন্য খাওয়া উচিত নয়।

২. অপনি যদি বেশি পরিমাণ আমলকি খান তাহলে মোটা হতে পারেন।

৩.হাইপার গ্লাইসনিক মানুষের জন্য পরামর্শ হলো যে বীজমুক্ত ফল ব্যবহার এড়াতে কারণ এটাই তাদের স্বাস্থ্য অবস্থা খারাপ হতে পারে। 

৪.আমলকি খাওয়ার ফলে কিছু জনের মধ্যে যে অ্যালাজি দেখা দেয় সেগুলি হল ডায়রিয়া, পেট ব্যথা,বমি বমি ভাব,লবণতা,মুখের চারপাশে ফুসফুসি মুখে লোভ এবং মুখ শ্বাস প্রশ্বাস মাথা ব্যাথা মাথা ঘোরা এবং হালকা অভিজ্ঞতা হতে পারে। 

কাচা আমলকি খাওয়ার উপাকরিতা

আমলকি কোন সুপারফুডের থেকে কম নয়। এতে এমন অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। এটি ঠান্ডা সর্দি এবং কাশি সহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাস হাত থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে। সাধারণত চুল ও ত্বক সৌন্দর্য বাড়াতে আমলকি ব্যবহার করা ।প্রতিদিন কয়টা অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে আমলকি রোতে শুকিয়ে নিলেআমলকি খাওয়া উচিত।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা হলো এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।  আমলকির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।চলুন জেনে নেওয়া যাক শুকানো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা। শুকনো আমলকিতে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়।করোনা মহামারি ভাইরাসের সময়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপর অনেক জোর দোওয়া হয়েছিল।এছাড়াও ঋতু পরিবতনের সময় এটি রোগের হাত থেকে শরীরে রক্ষা করে। 

১.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

শুকনো আমলকিতে  প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা হয়।করোনা মহামারি ভাইরাসের সময়ের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উপর অনেক জোর দোওয়া হয়েছিল।এছাড়াও ঋতু পরিবতনের সময় এটি রোগের হাত থেকে শরীরে রক্ষা করে। সে ক্ষেত্রে এখানে যেহেতু গরম কাল চলছে সেহেতু আমলকি আপনার শরীল ঠান্ডা করা কাজ করে তাই এটি খেতে পারেন। 

২.হজম ঠিক রাখে

প্রায়শই আমরা বিয়ে বাড়ি বা পার্টিতে প্রচুর তৈলাক্ত বা মসলাদার খাবার খেয়ে থাকি।যার কারণে অ্যাসিডিটি,বুকজালা ও কষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের সমস্যা শুরু হয়।এক্ষেত্রে যাদের এই সমস্যা আছে তারা শুকনো আমলকি জলে ফুটিয়ে খেলে পেটের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। অথাৎ পেট ভালো রাখতে আমলকি খাওয়াতে পারে। 

৩.দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে

আমলকি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা আমাদের চোখের জন্য খুবই উপকারী।এটি দৃষ্টি শক্তির তীক্ষ্ণ করে এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়। 

৪.নিঃশ্বাসের দুগন্ধ থেকে মুক্তি দেয়

অনেক সময় দাত ও মুখ সঠিকভাবে পরিষ্কার না হওয়ার কারণে দুর্গন্ধ বেরোতে পারে তাদের সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে শুকনো আমলকি চিবিয়ে খেতে পারেন।কারন এটি ন্যাচারাল মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে। ত্বক ভালো রাখার জন্য খাবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না  ত্বকের ভিতর থেকে সুন্দর রাখার জন্য খেতে হবে প্রয়োজনীয় সব খাবার। পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি তাজা সবজি ও ফল খেতে হবে। 

প্রতিদিন আমলকী খেলে ত্বকের যেসব উপকার হয়

  • ত্বকে স্বাস্থ্য উন্নত করে আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ 
  • কোলোজনের উৎপাদন করে ভিটামিন সি কোলোজনের সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য 
  • পিগামেন্টশন এবং দাগ কমায়
  • সূয় থেকে সুরক্ষা
  • আদ্রতা বজায় রাখে
  • প্রদাহ কমায়
  • অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য 
  • ডিটক্সিফিকেশন

আমলকি কে উপকার বন্ধু বলা যেতে পারে।প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত,আর তা খাওয়ার য়ায় দুই ভাবে কাঁচা চিবিয়ে খান উপকার পাবেন দুই ভাগে।আমলকি সিদ্ধ করে খেলে ভিটামিন টা নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের ভিটামিন সি এর খাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির জুড়ে নেই। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।পেয়ারা কাগজি লেবু কমলার চেয়ে দ্বিগুণ বেশি  ভিটামিন সি পাওয়া যায় আমলকিতে। 

শরীলে যেসব উপকার হয 

  • দীঘ ময়াদি সদি কাশি,গলাব্যাথা,জ্বরের সমস্যা পথ্য হিসাবে ও আমলকির সমান কাযকর।
  • আমলকি টিউবারকিউলোসিস রোগ থেকেও মুক্তি দেয়।
  • ব্রষ্কাইটিস ও অ্যাজমা থেকে মুক্তি পেতেও আমলকী অব্যথ।
  • আমলকিতে পলিফেনল থাকায় তা ক্যান্সারে কোষ বাড় বৃদ্ধিতেও বাধা দেয়।
  • নিয়মিত আমলকি খেলে লিভারে কমক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।এবং পেটের গোলযোগ ও বদহজমে রুখতে সাহায্য করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে অনেকটাই।
  • এর ফাইবার শরীলের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সহায়ক 
  • মুখের আলসার বা দাতের ক্ষত সারাতেও এর জুড়ি নাই।

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

আমলকি শুধু ভিটামিন নয় আমকলির মধ্যে রয়েছে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় একাধিক মিনারেল বা খনিজ উপকরণ। এসব ভিটামিন এবং মিনারেলস মেটাবলিজম রেট বাড়ায় এবং ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।হৃদ যন্ত্র ভালো রাখতে করে আমলকির রস।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আয়ুর্বেদে আমলকির ব্যবহার সর্বত্র। চুলের জেল্লা বৃদ্ধির।

রুক্ষতা কমাতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা, পেটের গোলযোগ দূর, শরীরচাঙ্গা এমন হাজারো সমস্যা সমাধান করে আমলকি। ধীরে ধীরে যেতে শুরু করছে ত্বরণের ভাইরাস এর পরিমাণ বাড়তে থাকে। নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়।তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে আমাদের শরীলের অনেক সংক্রমন বাড়াতে থাকে যেমন,শ্বাসকষ্ট,হাপানির ফুসফুসে নানা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে-জুস বা অন্য কোন ভাবে খাওয়ার চেয়ে আমলকি চিবিয়ে খাওয়াই বেশি ভালো। 

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মধু ও নিমের ব্যবহার

এ সময়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় আমলকি। তাই শীতের সময় যখন বেশি ফলন হচ্ছে তখন গোটা ফুলগুলো খাওয়ার সুযোগ নিতে হবে। প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত,প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটা দুটি আমলকি খাওয়া যায়। এতে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়। তবে দিনের দু- একটি আমলকি খাওয়া ঠিক নয়।কারণে তো প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে এর ফলে কষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে 

কাহারা বেশি পরিমাণ আমলকি খাবেন না

সাজারি হলে এডিয়েচলুন- কিছু ক্ষেত্রে এই ফলটিকে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।যদি কোন ও সাজারি হয়ে থাকে বা কোন ব্লাড থিনিংয়ের ওষুধ খান তাহলে ভবিষ্যতে ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া ভালো কাজ। অন্তঃসত্ত্বা বা যারা বাচ্চা স্তন্যপান করাচ্ছেন তাদের আমলকি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। 

হার্টের জন্য ক্ষতিকর-এটি একটি শক্তিশালী  কার্ডিওভাসকুলার উদ্দীপক।তবে আমলকি আপনার হৃদয়ের কোন কঠোর প্রভাব করবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে কার্ডিয়াক সমস্যা যুক্ত কোনো সমস্যা থাকলে এই ফলটি ব্যবহার করার আগে  ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা  উচিত।  

সকালে খালি পেটে অনেকে লেবুর জল খেয়ে থাকেন। লেবুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করাই মেদ কমাই। কিন্তু এর চেয়েও বেশি উপকার পেতে পারেন আমলকির থেকে। কিন্তু কিভাবে? গোটা আমলকি টুকরো করে অল্প গরম জলে মিশিয়ে নিন তারপর সেই জল সকালে খালি পেটে খেয়ে ফেলুন। এরপর বাকি  টুকরাগুলো খেয়ে ফেলুন।

এতে কি কি উপকার হবে

  • আমলকির ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি একলাফে অনেকটা বাড়িয়ে দিবে। 
  • এর অ্যান্টিডেন্ট শরীর দূষণমুক্ত করবে  অসুখ কমবে মেদও কমবে 
  • আপনার ত্বকে ভাজ পড়ছে কি? কালো  ছোপ বা দাগ পড়ছে? সে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে আমলকি খেলে সমস্যা সমাধান হবে। 
  • উজ্জ্বল ঘন এবং স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চান? দামি শ্যাম্পু থেকে প্রচলিত ভেষজ -অনেক কিছুই প্রয়োগ করেছেন। এই বার এই পদ্ধতি আমলকি খেয়ে দেখুন। উজ্জ্বল ঘন এবং  স্বাস্থকর হবে চুল।

গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট   রয়েছে।আমলকি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভেষজগুন সম্পন্ন এই আমলকি ফল ও পাতা দুটো ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে গর্ববতী নারীদের সুরক্ষার বেশ উপকারী আমলকি। গর্ভাবস্থায় হবু মায়ের শরীর একাধিক পরিবর্তন দেখা যায় যার কারণে খাওয়ার রুচি চলে যায়। 

আমলকি টক জাতীয় ফল হওয়াই এটি গর্ভবতীরা খেতে পছন্দ করে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার একদম নিরাপদ। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে তিনগুণ ও ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে১৫ থেকে ২০ গুন বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ ঘন্ট এবং কলার চেযে ৬০ গুন বেশি ভিটামিন রয়েছে।

এ সময় আমলকি খেলে যা উপকার হবে

  • আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর উপদান গর্ভাবস্থায় হয়ে থাকা সাধারণ জ্বর ও মূএনালীর সমস্যা রোধ করে। 
  • বেশিরভাগ গর্ভবতী মা এ সময় কান্তি অনুভব করেন অলসতা অনুভব করেন কোন কাজ করতে ইচ্ছে করেনা এবং মেজাজ ভালো থাকে না। এ সময় আমকলির রস বেশি ফলদায়ক। 
  • আমলকিতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য  সমস্যা দূর করে এটি আইরন ও অন্যান্য পুষ্টি শোষনের সহায়তা করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। 
  • গভবতী অবস্থায় অনেকের হাত পায়ে পানি আসে। আমলকি গভবতী অবস্থায় হাত পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।এতে  থাকা এন্ট্রি ইনফ্লামেটরি উপাদান। এ অবস্থায় আমলকি প্রচুর পরিমাণে জলে উপাদান থাকায় এটি দেহের হাইডেট রাখতে সাহায্য করে। 
  •  গভবতী অবস্থায় মাড়ি থেকে রক্ত বের হয় অনেকের।আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি  ফলে নিশ্বাস দূর্বন্ধে আসে দুই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে আমলকি। 
  • ডায়াবেটিস না থাকলেও গভাবস্থায় অনেকে ডায়াবেটিস দেখা দেয়।যেটিকে গভকালীন ডায়াবেটিস বলে। গভবস্থায় হরমোন গুলো  ইনসুলের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ডায়াবেটিস হয়। আমলকির মধ্যে থাকা এন্টিবায়োটিক উপাদান মায়েদের মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার মাএা কমায়।
  • আমলকির জুস গর্ভস্থ শিশুটির যদি শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।তাই গভবতী মায়েদের আমলকি খেতে বলা হয়।

গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার সঠিক নিয়ম

আমলকি তাজা রান্না করা বা শুকনো খাওয়া যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়া সঠিক সর্বোত্তম সময় হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাস।যখন শিশুর অঙ্গগুলি বিকাশ ঘটে। আমলকি বিভিন্ন ধরনের খাওয়ার সঙ্গে যুক্ত করা যেতে পারে।বিভিন্ন তরকারি যেমন সুপ এবং স্টিউ তে। এটিতে একটি সুস্বাদু জ্যাম বা চাটনি তৈরি করা যেতে পারে। আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং আপনার ডায়েটে যুক্ত করার জন্য একটি পুষ্টিকর ফল খুঁজেন তাহলে আমলকি বেছে নিন। 

গর্ভাবস্থায় কীভাবে আমলকি খাবেন 

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন এবং আপনার স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য প্রাকৃতিক উপায় খুব চিন্তা কামনা করেন। তাহলে আপনার পক্ষে আমলকি একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। একটি ভারতীয় সুপার ফুড যা শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যগত ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। গর্ভাবস্থায় আপনি বিভিন্ন উপায়ে আমলকি খেতে পারবেন। এটা কাচা শুকানো বা রান্না করে খেতে পারবেন এবং আমলকি ক্যাপসুল গুডো আকারে আমলকি সাপ্লিমেন্টও খেতে পারবেন। 

সাধারণভাবে বলতে গেলে প্রতিদিন এর থেকে দুই গ্রাম আমলকি খাওয়া বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলার জন্য নিরাপদ হিসেবে উপস্থিত হয়।তবে গর্ভাবস্থায় কোন নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।কারনা আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। 

গর্ভবাস্থায় আমলকির পাশ্ব প্রতিক্রিয়া

গর্ভাবস্থায় আমাদের কিছু সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা সম্পর্কে মহিলাদের সচেতন  হওয়া উচিত। আমলকি কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিষ্ঠ ও পারে তাই আমলকি ফল বা সাপ্লিমেন্ট ভবনের সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। আমলকি নির্দিষ্ট ওষুধের সাথেও প্রতিক্রিয়া করতে পারে তাই আপনি যদি কোন ওষুধ খেয়ে থাকেন তবে আমলকি খাওয়ার আগে ডাক।তার সাথে কথা বলুন। 

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ছোট ফলটি আপনাকে দেবে মানসিক সুস্থতার নিশ্চয়তা।আমলকির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানুষের চাপ কমায়।সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের পরিমিতি পরিমাণ আমলকি খাওয়া নিরাপদ হিসাবে বিবেচিত হয়।আপনি যদিআমলকি খাওয়ার ফলে কোন নীতিবাচক পাশ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করলে বন্ধ করুন এবং আপনার একটা সাথে কথা বলুন। 

চুল গজানোর জন্য আমলা জুস বানানোর উপায়

চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাতে বাইরে বাজারে পণ্য নির্ভর না করে নিজে তৈরি করে ফেলুন আমল বা আমলকির তেল। শীতকালে চুলের যন্তনার শেষ থাকেনা। ঠান্ডায় অনেকের শ্যাম্পু করতে বেশ  দেরি করে ফেলন।অন্য সময় যেখানে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবাব আর ঠান্ডায় সময় সম্ভবত একবার করেই শীতকালে করেই পার করে দেন। ফলে চুলের ময়লা জমে বেশি দেখা দেয় খুশকি আর তার সঙ্গে চুলের নানা উপদ্রব।

পুরো বছরের তুলনায় শীত অনেক বেশী চুল পড়ে অনেকের মন খারাপ থাকে। বাজারে অনেক পণ্য ব্যবহার করেও যখন তেমন উপকার পাওয়া যায় না দেখা দেয় হতাশা। এই হতাশা থেকে মুক্তির পথ আপনার নিজের হাতেই রয়েছে। চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজানোর সাহায্য করে আমলকি। চুল পড়া বন্ধ করে নতুন চুল গজাতে বাইরের বাজারে পুন্য উপর নির্ভর না করে নিজে তৈরি করে নিন আমলা বা আমলকির তেল। 

যেভাবে বানাবেন

  • আমলকি আধা কাপ, এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল বা সরিষার তেল,আধা কাপ চা চামচ মেথিদানা নিন।
  • আমলকি একটু থেতু করে নিন।তারপর সব উপকরণ একসঙ্গে একটি গভীর পাএে বাড়িয়ে আচ দিন।মিনিট দশেক পর নারিকেল তেল দিয়ে ধোযা বেরোতে লাগলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। 
  • এবার তেল পুকুরে রেখে দিন অন্ধকার জায়গায়। সপ্তাহে দুইবার মাথায় তালু বা পুরো চুলে ঘষে ঘষে লাগান।
  • সময় থাকলে সারাদিন রেখে দিন। না পারলে ঘন্টা খানেক রেখে দিন এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ফেলুন।

মাএ এক মাস এভাবে ব্যবহার করুন আর পাথক্য নিজে বঝুন।

চুলের যত্নে আমলকি

চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এই শীতকালে আর বেশি স সতর্ক থাকতে হবে। এই সময়ে চুলের স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক আদ্রতা হারাতে থাকে।ফলে স্ক্যাল্প আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। চুল পড়া রোদে।চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে।আপনাকেই আরো বেশি যত্নশীল হতে হবে।আমলকি ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারেন।আমলকি আপনার চুলের জন্য খুবই ভালো তাই ঘরোয়া রুপটানে এর জনপ্রিয়তা আছে।এছাড়াও নানা হেয়ার প্রোডাক্ট ও আমলকি ব্যবহারে কাজে লাগে। 

এ আমলকি হেয়ার প্যাক আপনার চুলের জন্য খুবই ভালো। বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেনএই আমলকির হেয়ার প্যাক।আমলকি কে উপকার বন্ধু বলা যেতে পারে।প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত,আর তা খাওয়ার য়ায় দুই ভাবে কাঁচা চিবিয়ে খান উপকার পাবেন দুই ভাগে।আমলকি সিদ্ধ করে খেলে ভিটামিন টা নষ্ট হয়ে যায়। শরীরের ভিটামিন সি এর খাটতি পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমলকির জুড়ে নেই। 

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমলকির হেয়ার প্যাক বানাবেন।

আমলকি ও ইয়োগার্ট

 একটি পাত্রে দুই টেবিল চামচ আমলকি গুড়ো করে নিন এর সঙ্গে দুই টেবিল চামচ ইয়োগার্ট মিশিয়ে নিন।এই দুই উপাদান মিশিয়ে ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট আপনার স্কেলে এক ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন।মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুলে এতে চুলে ভালো থাকবে। ইয়োগার্টে আছে এমন কিছু উপাদান যা আপনার চুলের প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। স্ক্যাল্কের পি এইচ ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায়্য করে।

আমলকি ও অলিভ ওয়েল

একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ আমলকি গুড়ো করে নিন। এর সঙ্গে অলিভ ওয়েল তেল মিশিয়ে নিন এই দুটি উপাদান মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট আপনার স্ক্যাল্পে এবং চুলে লাগিয়ে নিন।৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন ধুয়ে ফেলুন। মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইবার করতে পারবেন। 

অলিভ অয়েল চুলের প্রাকৃতিক আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আছে ওমেগা ৩ এবং ৯ ফ্যাটি এসিড। যার নতুন চুল বাজাতে সাহায্য করে তাই এই ব্যবহারে নতুন চুল বাধাতে বেশি সময় লাগে না।  

 খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

একটি মাঝারে আকারে কমলার চেয়েও ছোট একটি আমলকির বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এমনি ডালিমেড চেয়ে ১৭ গুন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এমন মত বিজ্ঞানীদের। হাজারো পুষ্টিগুলো ভরপুর এই ফল হজম শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে গ্যাসস্টিক এর সমস্যা ও দূর করে । আয়ুর্বেদের মতে ডায়াবেটিকস ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী আমলকি।এক আমলকিতে আছে হাজার গুণ। বার্ধক্য প্রতিরোধ চুল ঘন এমনকি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি সহায়তা করে।



চুল উজ্জ্বল করে রক্তে বিশুদ্ধ করতে এবং চোখের দৃষ্টি উন্নত করতে সহায়তা করে। আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্য অনুযায়ী খালি পেটে আমলকি বেশ কিছু রোগ থেকে মুক্তি মেলে। কাঁচ আমলকি চাটনি বা মিছরিও খেতে পারেন তবে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে কাঁচা আমলকি খেলে রক্ষা পাবেন সব কঠিন সব রোগ থেকে।জেনে নিন যেসব রোগ থেকে বাঁচবেন নিয়মিত আমলকি খেলে। 

সর্দি কাশি প্রতিরোধ :আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভাইরাল সর্দি কাশি সমস্যা থেকে বাঁচতে দিনে দুই চা চামচ আমলকির সামান্য গুড়োর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে ৩-৪ বার পান করুন। দেখবেন স্বস্তি মিলবে। 

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় :গবেষনায় দেখা আমলকি ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। প্রতিদিন আমলকি খেলে চোখের সামনে সমস্যা বা চোখের ফোলা ভাব দূর করে। পাশপাশি চোখ চুলকানি এবং চোখ দিয়ে পানি পড়া সমস্যা দূর করে।

মেদ কমাই: ওজন নিয়ন্ত্রণে আমলকি খুবই উপকারী।আমলকি নিযমিত সেবনকারীদের  অনেকের মত খাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে আমলকি গুড়ো বা রস মিশিয়ে পান করলে পেট ভরে যায় এবং খাওয়া কম হয় এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। 

পুষ্টির বিদরা বলেছেন আমলকি বিপাকেও বাড়িয়ে তোলে।যার ফলে অতিরিক্ত ওজন কমতে শুরু করে। আমলকি উচ্চ মাত্র ফাইবার টনিকের মতো এসিড আছে যা কষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় সম্ভব করে। রূপ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :আমলকির অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যাস্টিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। ক্যান্সার সহ বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ অক্সিডেটিভ ক্ষতির কারণে হয়।

 যখন থেকে কোষগুলো অক্সিজেন ব্যবহার করে। তখন তারা ফ্রি রাডিক্যালস নামে ক্ষতিকর উপজাত ফেলে দেয়।  আমলকি শক্তিশালী একটি অক্সিডেন্ট এজেন্ট আছে। যা আমাদের শরীলের ক্ষতি পুশিয়ে প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করে।

খালি পেটে আমলা রস খাওয়ার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া

১. অ্যাসিডিটি হতে পারে:আমলকি সাধারণত ক্ষারীয় প্রকৃতির।যাদের পেট সংবেদনশীল তারা আমলা রস খেলে অ্যাসিডিটি বা  অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।যাদের গ্যাসষ্টিক বা অ্যাসিডিটি আছে তাদের জন্য একটি সমস্যার যুক্ত হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে আপনি  একজন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

২.ঝাজালো স্বাদ: আমলকি রসের তীব্র টক স্বাদ খালি পেটে খেলে সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ নাও হতে পারে।আপনার কাছে এর স্বাদ তীব্র মনে হলে বা শনশীল করার পদ্ধতি আছে। তাহলে আমলকির রসেরসঙ্গে পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এর সঙ্গে  মধু মিশিয়ে স্বাদকে  মিষ্টি করতে পারেন। এতে আমলকির আপনির এর  রস সহজেই এর পুষ্টিগত অসুবিধাগুলো থেকে প্রকৃত হতে পারবে। 

৩.রক্তে শর্করার মাত্রা উঠানামা করতে পারে :রক্তে শর্করর মাত্র কমানোর জন্য আমলার সম্ভাব্যতা বিবেচনা করা উচিত,বিশেষত ডায়াবেটিস যুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা হাইপ্রো গ্লাইসেমিক এতে রক্তের শর্করা হ্রাস থাকতে পারে।যার মানে এটি রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা প্রবাহিত করতে পারে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ডায়েটে আমলকি অন্তভক্ত করার সময় রক্তের শর্করা মাএা নিভির ভাবে পয়বেক্ষন করা উচিত বিশেষ করে খালি পেটে। নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে একজন বিশেষ পরামর্শ করে নেওয়া ভালো।

সরাচল জিজ্ঞাাসিত প্রশ্ন ও উওর

১।প্রশ্ন:শুকানো আমলকি খেলে কি উপকার হয়?

উওর:আমলকি কাজ করবে ম্যাজিকের মত সেদ্ধ আমলকি থাকে ভিটামিন সি,যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এর মাধ্যমে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে,ত্বক ভালো হয়,চুল ঘন হয়। 

২।প্রশ্ন: চুল গজানোর জন্য আমলা জুস বানানোর উপায়?

উওর:তাজা আমলা ফল নিন এবং সেগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে জল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। রস পেতে পাল্লা ছেকে নিন।আরও স্বাদের জন্য কিছু আদা,কালো মরিচ,মধু বা সামুদ্রিক লবন যোগ করতে পারেন।যতক্ষণ না পযন্ত আপনি আপনার কাঙ্গিত সামজ্ঞস্য না পান ততক্ষন জলে আমলা গুড়ো মিশিয়ে নিন। 

৩।প্রশ্ন: আমলকির রস মুখে দিলে কি হয়?

উওর:আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি দাগছোপ,ফুসকুড়ি এবং ত্বকের রঙের তারতম্য দূর করতে সাহায্য করে। আমলকি তাদের প্রাকৃতিক জেলা এনে দিতে সাহায্য করে। কোলেজেন গঠন করে:ডিটামিন সি আমাদের দেহে কোলেজেন নামের গঠনে প্রোটিন গঠনে সাহায়্য করে।এই কোলোজেন ত্বকের স্থিতিস্থাপক বাড়াতে এবং ত্বকের টানটান করে তুলতে সাহায়্য করে। 

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা

আজকাল সুপার ফুড বলে একটা কথা চালু হয়েছে।যেসব খাওয়াব পুষ্টিগুণ সাধারণ খাবারের তুলনায় অনেক বেশি সুপার ফুট বলে।সেই তুলনায় আমলকির সুপার ফুড বললেই ত কম বলা হবে। প্রায় স্বচ্ছ সবুজ দেখতে টক ও তেতো স্বাদের এই ফলটি ভিটামিন সি এর দারুন উৎস।আমলকি শুধু খাদ্য উপাদান করে না তার পাশাপাশি চুলের সৌন্দর্য ব্যবহারের জন্য আর সে আদিকাল থেকে স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে চুল পেতে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে না আমলকি।

চুলের যত্নে আমলকি

  • রুক্ষ শুষ্ক চুলকে মসৃণ ও ঝরঝরে করতে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে আমলকীচূন্য ব্যবহার করতে পারেন।
  • আমলকিতে থাকা ফাইটো- নিউট্রিয়েন্ট,ভিটামিন ও খনিজ প্রয়োজনীয় কলোজেন প্রোটিন তৈরি করে। কোলেজেনের চুলের ফলিকের মৃত কোষকে নতুন কোষে প্রতিস্থাপন করে।
  • আমলকি আন্টি ও এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বক ভালো  রাখে এবং খুশকি দূর করে। 
  • আমলকির রস চুলের ফুলগুলো শক্তিশালী করে চুলকে মজবুত করে সাহায্য করে এটি মাথার ত্বক ও চুলের টনিক হিসেবে দারুণ কাজ করে। 
  • নিয়মিত আমলকির রস পান করলে বেঁচে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সের আগে চুল পাকা রোধ করবে। 
  • আমলকি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনা বাড়াতেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এটি ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত হয় এবং চুল দেখতে মসৃণ হয়।  

চুলের যত্নে যেভাবে আমলকি ব্যবহার করবেন

  • আমলকির হেয়ার প্যাক: আমলকী রোদে শুকিয়ে মিহি গুড়া করে নিন অন্যান্য ভেষজ উৎপাদন যেমন গুড়ার সঙ্গে মিশেয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করে চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। 
  • আমলকির তেল: আমলকি কেটে সেদ্ধ করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো টুকরা গুলো বিশ মিনিট ধরে গরম করুন। ঠান্ডা হলে এটি বয়ামে সংরক্ষণ করুন। সপ্তাহে এক- দুইবার এটি ব্যবহার করতে পারেন। 
  • আমলকির রস :এটি বেশ সহজ প্রক্রিয়া। আমলকি কেটে পানি যোগ করে ব্লেন্ড করে নিন।আমলকি ও লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় দিয়ে ৩০ মিনিট পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। নিয়মিত আমল করার চুলের গোড়া শক্ত হয়। 

ত্বকের যত্নে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

ত্বক ভালো রাখার জন্য খাবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না  ত্বকের ভিতর থেকে সুন্দর রাখার জন্য খেতে হবে প্রয়োজনীয় সব খাবার। পর্যাপ্ত পানির পাশাপাশি তাজা সবজি ও ফল খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে অন্যতম  হলো  আমলকি। এতে রয়েছে এক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি যোগ থাকে আমলকিতে। যে কারণে প্রতিদিন এই ফল খেলে তা ত্বককে ইতিবাচক ফেলতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে 

আমলকি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্ড্রক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি রাডিকেলের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেন্ট থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কোলোজেন উৎপাদণ করে

ভিটামিন সি কোলেজেনের সংশ্লিষ্ট  জন্য অপরিহার্য। কেলোজেন এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের স্থিতিস্থাপক এবং দৃঢতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমলকি খেলে তা কালোজেনের উৎপাদণে সাহায়্য করে। যে কারণে স্বাস্থ্যকর ও পাওয়া যায় সহজ হয়।

সূর্য থেকে সুরক্ষা

আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে সুরক্ষিত করে।যদিও এটি সানস্কিনের বিকল্প নয় তবে আমলকি এন্ড্রোক্সিনের সূর্যের আল্টা ভায়োলেট মাধ্যমে ত্বকের ক্ষতিকর  রশ্নির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি  করে।এবং অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা স্তর প্রতিস্থাপন করে।

ত্বকের যত্নে আমলকির ফেসিয়াল

ত্বকের যত্নে আমলকি  ফেসিয়াল করতে যা লাগবে।

  1.  টক দই- ২ চা চামচ
  1. মধু ১- চা চামচ 
  1. আমলকির পেস্ট ১ চা চামচ

উপরের সবগুলো পুরন একসাথে মিশিয়ে নিন স্বর মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিটে খেয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ফেসিয়ালটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের সতেজ ভাব নিয়ে আসে এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য এটি ফেসলটি উপযুক্ত। 

ত্বকের যত্নে স্কিন ব্রাইটেনিং মাষ্ক

  1. এই মাষ্কটি বানাতে যা লাগবে-
  1. পেঁপে পেস্ট- কয়েক টুকরো
  1. আমলকি পেস্ট- ১ চা চামচ 
  1. মধু ১-২ চা চামচ 

উপরের সবগুলো মিশ্রন গুলো একসাথে মিশিয়ে এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। উজ্জল নিয়ে আসবে এই মাষ্কটি বেশ উপকারী। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের পিগরোনেশন এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। 

চুলের যত্নে আমলকি ও মধু প্যাক

  1. আমলকি পাটা 2 চা চামচ
  1.  টক ২ চা চামচ
  1.  মধু এক চা চামচ 

উপরের আমলকি পাউডার হালকা গরম পানিতে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর টক দই ও মধ এই পেস্টে যোগ করুন। এবার এই মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাক  চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের  রুক্ষ ভাব দূর করে সুন্দর করে তোলে।এই প্যাক থেকে ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন। 

আমলকির ক্ষতিকর দিক

যেকোনো কোন  কিছু অত্যাধিক খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে এবং  আমলকির ক্ষেএে ও তাই। সেজন্য এটি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তবে সঠিক পরিমাণে এবং সম্ভব হলে ডাক্তার বা ডায়াবেটিশন এর পরামর্শ  ছাড়া অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলুন। বেশি খেলে শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে  জেনে নিই।আমলকি খাওয়া  খুবই উপকারী মনে করা হয়। তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে আমলকির অনেক উপকারিতা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে  অনেক বড় বড় ক্ষতি হতে পারে। যে কোন কিছুর বেশি খাওয়া ক্ষতি করাতে পারে এবং আমলকির ক্ষেত্রেও তাই। 

লিভারের ক্ষতিকরাতে পারে 

আপনি যদি আমলকি এবং আদা এক সাথে খান তবে এটি আপনার লিভারে খারাপও ফেলতে পারে।বেশি করে আমলকি খাওয়ার আপনার লিভারে SPGT এর পরিমান বাড়ায়।যার কারণে আপনার  হজম প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে

আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা অতিরিক্ত খেলে কোষ্ঠকাঠিষ্ট হতে পারে। এটি বেশি খাওয়ার কারণে আপনার মল শক্ত হয়ে যায়। আপনি যদি প্রতিদিন আমালকি খান তাহলে বেশি করে জল পান করা উচিত। তাতেই কষ্ঠকাঠিন্য মত সমস্যা না থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রস্বাবে জালাপোড়া

আমলকিতে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার  প্রস্বাবে জালা পোড়া হতে পারে। এমনকি অনেক সময়  প্রস্রাব থেকে দুর্গন্ধ হতে পারে। ফলে বেশু পরিমাণ খাওয়ার আগে অব্যশই ডাক্তার এর পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

অতিরিক্ত খেলে যাদের সমস্যা হবে

আমলকি ছোট্ট একটি ফল। একটু কস ও তেতো ভাব থাকলেও আমাকে খাওয়ার পর মিষ্টি লাগে। কমলার চেয় ও নাকি বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে।আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। শারীরিক বিভিন্ন  সমস্যার সমাধান রয়েছে আমলকিতে।শুধু শরীর নয় চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কার্যকরী  এ ফলিটি। আয়ুর্বেদে আমলকি ব্যবহার সর্বত্র। চুল রুক্ষতা কমানো ত্বকের উজ্জ্বলতা পেটের সমস্যা দূর শরীর চাঙ্গা এমন হাজারো উপকার করে আমলকি। 

আমলকিতে থাকে ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট  একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তবে অতিরিক্ত খেলে হীতে বিপরীত হতে পারে। চলুন অতিরিক্ত আমলকি খেলে কি কি হতে পারে জেনে নেওয়া য়াক

>> জুস বা অন্য কোনভাবে খাওয়া থেকে আমলকির চিবিয়ে খাওয়াই ভালো। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক দুইটি আমলকি খাওয়া যায়। তবে দিনের আমলকি ১-২ টি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে  ভিটামিন থাকে এর কারণে কষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে। 

>>সার্জারি হলে আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও ব্লাড থিংকিং এর ওষুধ খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আমলকি খাওয়া উচিত। 

>>অন্তঃসত্ত্ব বা স্তন্যদান কারী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

>>হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বেশি মাত্রায় আমলকি খাওয়ার অভ্যাসে। বিশেষজ্ঞ দের মতে  হৃদরোগের সমস্যা থাকলে এই ফলটি খাওয়ার আগে চিকিৎসা করবে পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

>>আমলকির প্রভাবে এলার্জি হতে পারে । এছাড়াও পাকস্থলী কৃমি বমি বমি ভাব ডায়রিয়া পেটে ব্যাথা হতে পারে। 

>> এই ফলটি শরীরে তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় । তাই বেশি পরিমাণে আমলকি খেলে জ্বর সর্দি বা কাশি হতে পারে। 

সচরাচল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উওর

১।প্রশ্ন:প্রতিদিন আমলকি খেলে কি হবে ?

উওর:আপনাকে তো অনেক পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ক্যালসিয়াম ফসফরাস লোহা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন বি কমপেক্স মতো খনিজ পদাথ রয়েছে।যা খেলে আমাদের শরীলে অনেক উপকার করে।

২।প্রশ্ন:আমলকি খেলে কি রক্ত হয় ?

উওর: আমলকিতে অত্যাধিক পরিমাণে আয়রন থাকে আর এটি রক্ত জমাট বেড়ে যাওয়ার প্রবনতা দূর কর।  এটি খেলে হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক ঝুকি কম হতে পারে। কিন্তু যাদের আগেও কোনো ও রক্ত জনিত সমস্যা থাকে। তাদের জন্য এটা বিপদজনক হতে পারে। 

৩।প্রশ্ন:আমরা জুস খেলে কি কষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়? 

উওর:ভিটামিন সি এর একটি শক্তিশালী শট অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও। সকালে এক গ্লাস উষ্ণ জলে ৩০ মিলি ইন্ডিয়ান গুজবেরির রস প্রথম জিনিস হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য  লক্ষনগুলি দূর করতে সমস্য করে।

৪। প্রশ্ন:কাচা আমলকি কখন খেতে হবে?

উওর:প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকি রস পান করা স্বাস্থ্যকর জীবন ধরার জন্য একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে।এটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও একটি দুর্দান্ত উৎস।আপনার শরীলে ইউমিন্টি সিস্টেম বাড়িয়ে তোলে।,প্রদাহ কম হতে পারে,হজমে উন্নতি করতে পারে এবং চুল ও ত্বকে স্বাস্থ্য ভালো করতে পারে। 

আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

আমরা শুধু খুদা মিটানোর জন্য খাবার খাই না শরীর স্বাস্থ্যের জন্য খাবার গ্রহণ করি। তাই পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃব্ধ ফল খায়। এ কারণ অনেক ফল খেয়ে থাকি। এসব ফলের মধ্যে অন্যতম হলো আমলকি। আমাদের সারা বছর অসুস্থতার জন্য আমলকি খাওয়া জরুরী। আমলকি পাতা ওষুধের ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন যুক্ত আমলকি পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মধ্যে আমলকিতে পেয়ার চেয়ে তিনগুণ ও দশগুণ ভিটামিন সি রয়েছে।

 কমলালেবুর চেয়ে বিষ গুণ আমের চেয়ে ২৪ ঘন্টা এবং কলার যে ষাট গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। 
শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ত্বকে সুস্থ ও সুন্দর রাখার জন্য কেবলমাত্র ক্রিম লোশন ও তেল ব্যবহার করলে হবে না।ভেতর থেকে ঠিক রাখার আপনার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার।শীত কালে  আমলকি খাওয়ার পরামর্শ করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।নিয়মিত আমলকি খাওয়ার ফলে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়।

রুক্ষতা কমে,ত্বকে উজ্জতা বাড়ে পেটের গোলযোগ দূর হয় এবং চাঙ্গা হয়ে শরীর।বিশেষজ্ঞরা এই জন্য রোজ সকালে আমলকি খাওয়ার কথা বলে থাকেন। আমলকি চুলের গোড়া মজবুত করে চুলকে খুশিমুক্ত করে।আমলকিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিপাকের হাড় বৃদ্ধি করে। ব্যাকটেরিয়াল আক্রমণের জন্য সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে আমলকি।

এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকার জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখে।ডয়েরদের পাশাপাশি প্রতিদিন দুটো করে আমলকির রাখতে পারেন এতে অতিরিক্ত ওজন কমবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।অন্যান ফল মূলে থেকে তুলনামূলক অনেক বেশি ভিটামিন সি এই ফলে। শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যথা-বেদনা দূর করতে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ বেটে আমলকি দুই চা চামচ মধু দিয়ে নিয়মিত খেলে সদি কাশি ভালো হয়।

শেষ কথা 

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ও রয়েছে। প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।কারনা আমলকি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। খেতে পারেনা আমলকির আচার কিংবা মুরুব্বী। ছোট ফলটি আপনাকে দেবে মানসিক সুস্থতার নিশ্চয়তা।আমলকির প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানুষের চাপ কমায়। আমলকি সর্দি কাশি পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে

।ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ রাখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।কোলেস্টেরল  কম রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। ব্রস্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকি জুস উপকারী।শরীর ঠান্ডা রাখে,শরীলের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে,পেশী মজবুত করে।আমলকি হৃদযন্ত্র ফুসফুস ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্তন করে। আমলকির আচার বা মুরব্বি মস্তিষ্ক ও হৃদয়ন্তের দূবলতা দূর করে শরীরে অপ্রয়োজনীয় ফ্ল্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

এতে এমন অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি ঠান্ডা সর্দি এবং কাশি সহ বিভিন্ন রোগের ভাইরাস হাত থেকে আমাদের দেহকে রক্ষা করে। সাধারণত চুল ও ত্বক সৌন্দর্য বাড়াতে আমলকি ব্যবহার করা হলো এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে আমলকি রোতে শুকিয়ে নিলে আমলকির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url