গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে কি বাচ্চা ফর্সা হয়?জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা?

জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

জাফরান হলো একটি মসলা জাতীয় উদ্ভিদ। যদিও এটা মসলা জাতীয় উদ্ভিদ তবুও এর ওষুধি গুন অনেক। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে আসে। জাফরান খাবারে স্বাদ ও খাবারের গুণগত মান সঠিক ধরে রাখে।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা পাটিতে খাবার পরিবেশন করার জন্য জাফরান ব্যবহৃত হয়। জাফরান মসলা অনেক উপকারী কাজ করে।


জাফরান বা ইংরেজি স্যাফরনকে লাল সোনা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি পৃথিবীর সব থেকে দামি মসলা যা খাবারের রং এবং স্বাদ বৃদ্ধি করে। জাফরান বা স্যাফরনের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Crocus sativus যা একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। তবে জাফরান ফুল দিতে পারলেও এর কোনো ফল হয় না। সে কারনে এই উদ্ভিদ উৎপাদন করতে সরাসরি মানুষের হস্তক্ষেপ লাগে। মুলত ফুলের ভেতরে থাকা এই লাল পরাগ দন্ড যখন শুকানো হয় তখন তা জাফরান হিসাবে পরিচিত হয়।

বিশ্বব্যাপি এই মসলার কদর সবচেয়ে বেশি।বিশেষ করে বড় বড় অনুষ্ঠান এবং পার্টিতে খাবার রান্না ও পরিবেশনের জন্য জাফরান ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে জাফরান স্যাফরনকে বা রেড গোল্ড খাবারে সৌন্দর্য ও স্বাদ বৃদ্ধি করে। তবে এটা প্রচলিত উপায়ে তৈরি করা যায় না। প্রকৃতিক উপায়ে এটা উৎপাদন করতে হয়।

অন্যদিকে এটা সব ধরনের মাটিতে উৎপাদন হয় না। অন্যদিকে এক কিলোগ্রাম জাফরান উৎপাদন করতে প্রযোজন হয় প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ফুল দরকার হয় যা তুলতে প্রায় ৪০ ঘন্টা সময় লাগে। এই কারনে প্রতি কিলোগ্রাম জাফরানের দাম তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।

জাফরান গাছ মাটি থেকে ৬ ফুট উচ্চতা হয় আর এই কারনে জাফরান গাছ থেকে সূর্য আলো ফুটতেই তুলতে হয়। মোটকথা এই জাফরান গাছ থেকে সংগ্রহ করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তার জন্য এর এত দাম।বিশ্বে ২০টি দেশে জাফরান উৎপাদন করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো জম্মু কাশ্মীর।

তবে জাফরান উৎপাদনে বিশ্বে প্রথম ইরান সেখান জাফরান ৮০% বাজার জাত করা হয় 

সূচিপএ:জাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা

জাফরান খাওয়ার উপকারিতা 

প্রাচীন কাল থেকেই জাফরান একটি মসলা বা ভেষজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আয়ুর্বেদিক থেকে শুরু করে প্রায় বিভিন্ন চিকিৎসায় জাফরান ব্যবহার করা হয়। এক পরিক্ষায় দেখা গেছে জাফরানে দেহের প্রায় ২০ ধরনের রোগ সারাতে সক্ষম। এবং এতে খনিজ,মিনারেল,ভিটামিন সহ প্রায় ১২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে।

স্বাস্থ্য উন্নত করে

নিয়মিত জাফরান খেলে আপনার দেহের হরমোন উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। আপনার শরীলে যদি রোগ বা সবসময় যদি রোগ লেগেই থাকে তাহলে আপনাকে প্রতিদিন জাফরান সেবনে আপনার স্বাস্থ্য উন্নত হবে।

অবসাদ দূর করে

অবসাদ দূর করার জন্য আপনি প্রতিদিন টোটলা ব্যবহার করে থাকেন। তবে পাশ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া তেমন আশানুরূপ ফল পান না। প্রতিদিন জাফরান সেবন করলে আপনার মস্তিষ্কের নিউরন সচল রাখে যা আপনাকে অবসাদ থেকে দূরে রাখবে।

রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে

জাফরানে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম যা আপনার শরীলের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এতে ব্লাড সার্কুলেশন ঝামেলা ছাড়াই সফল করে। এটা আপনার শরীলের মৃত কোষ জীবৃত হয়। অন্যদিকে আপনার শরীলের রক্ত চলাচল সঠিক রাখে, যার আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে।

হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে

আমরা জানি জাফরান দেহের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে। জাফরানে পটাশিয়াম হার্টের স্বাস্থের উন্নত করে। তাছাড়া হৃদপিণ্ডে পেশি ও কার্য়কম স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। জাফরান রক্ত পরিষ্কার করে এবং জাফরান রক্তে স্যাকুলেশন সঠিক রাখে যার ফলে হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে

অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদনের মতো জাফরান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে। জাফরান দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নষ্ট করে নতুন বা উপকারী কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ত্বকের জন্য জাফরান ব্যবহার

জাফরান একটি মসলা জাতীয় খাবার। এটা মসলা জাতীয় খাবার এর পাশাপাশি অনেক ওষুধি গুন রয়েছে। এটা খাবারে স্বাদ বৃদ্ধি করে,খাবারে মান নিয়ন্ত্রণ রাখে। তবে জাফরানের মসলার জাতীয় উদ্ভিদের মধ্যে লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদন।


আগেকার দিনে অন্যতম রুপচর্চার উপাদান হিসাবে অন্যতম ছিল জাফরান। এটা ত্বক সমস্যা সমাধানের অন্যতম উপাদান ছিল। তাই নিজেরাই ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলতেন রুপচর্চার প্যাক প্রসাধনী।

শুষ্ক ত্বক থেকে নিরাময়

শীত কালে ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। এই শুষ্ক ত্বক থেকে নিরাময় পেতে লাগবে শুধু দুইটি উপাদান।এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ২-৩ টি জাফরান ও এক টেবিল চামচ মধু। উভয় উপাদান মিশিয়ে দুই আঙ্গুল দিয়ে হাতে ঘারে বা মুখে তাগিয়ে নিন। তাহলে শীত কালে শুষ্ক ত্বক নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য

এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা জন্য জাফরান বেশ কার্যকর। এর জন্য প্রযোজন হবে ২-৩টা জাফরান আর ২ চামুচ দুধ,২ চামুচ পানি আর দুই ফোটা তেল ১ চামুচ চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে হাত মুখ বা ঘাড়ে মালিশ করে দিতে হবে। তাহলে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাই।

নিস্তেজ ত্বক সতেজ করে

নিস্তেজ ত্বক সতেজ করার জন্য ফেস প্যাক তৈরি করতে একটি চিমটু জাফরান এবং ৪ চামুচ দুধ লাগবে। এরপর এগুলো তিন থেকে চার ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর এগুলো হাতে বা পায়ে লাগানোর পর শুকিয়ে ভালো পরিষ্কার জল দিয়ে মুছে নিতে হবে। এই ফেস টি আপনার ত্বকের ব্রণ এর ব্রেকআউটের সমস্যা সমাধান করে ত্বকে সতেজ রাখে।

 ব্রণ দূর করতে জাফরান

  •  প্রথমে জাফরান আর কাঁচা দুধ মিশিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন
  • এবার মিশ্রণটি ফেইসে লাগিয়ে একটু ম্যাসাজ করে ২০ মিনির পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ মুছে নিন।

এই ভাবে কয়েক সপ্তাহে এটা ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা সমাধান পাওয়া যাবে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খেলে বাচ্ছা ফর্সা হয়

 খাদ্য নিবাচনের ওপর সন্তানের শরীলের বর্ন কেমন হবে তা নিধারিত হয় না। সন্তানের বর্ন কেমন হবে তা নির্ভর করে বাবা-মার কোষ জৌন বা কোষ জিনের ওপর। তবে গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খেলে বাচ্চার বর্ন ফর্সা হতে পারে,এমন কিছু খাবারের তালিকা পরিবারের বয়োবৃদ্ধরা করে থাকেন।

গর্ভাবস্থায় যা খেলে বাচ্ছা ফর্সা হয়

জাফরান দুধ-- অনেক মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় জাফরান দেয়া দুধ পান করেন।মনে করা হয় জাফরান দুধ সেবনের ফলে বাচ্চার গায়ের বং ফর্সা হয়।

নারিকেল -- অনেক মতে,নারিকেলের সাদা শাস গর্ভেড বাচ্চার বং ফর্সা হয়।তবে বেশি পরিমান নারিকেল খাওয়া স্বাস্থ্য জন্য ক্ষতিকর।তবে খেতে পারেন পরিমান মত, বেশি নয়।

দুধ-- গর্ভাবতী মহিলাদের অবশ্যই দুধ খাওয়া দরকার।দুধ শিশুর গঠন বৃদ্ধি করে এবং বাচ্চার সুকাঠাম বা পরিপুষ্ট ভাে জন্মগ্রহণ করে। 

কমলা-- কমলা ভিটামিন সি থাকে, যা শিশুর দেহ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কমলা সেবনের ফলে বাচ্চার দেহ সুন্দর থাকে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান গ্রহন করা কি নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় জাফরান ব্যবহার করা উচিত,কারন এতে রয়েছে অনেক ধরনের ওষুধি গুন। এটি ব্যাথা,স্টেস,মেজাজ এবং গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন অসুবিধা থেকে রক্ষা করে। তবে এটি বেশি পরিমান এটি ব্যবহার করলে শরীলে বিরুপ প্রভাব দেখা যায়

জাফরান সেবনেড ফলে আপনার সব ধরনের রোগ সমুহ থেকে প্রতি কার পাওয়া যায়।কারন জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমান কোলেস্টেরল যা আমাদের দেহের বৃদ্ধি সহ দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।গর্ভাবস্থায় এটা ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম পালন করতে হবে

  • গর্ভধারনে এর পঞ্চম মাস থেকে জাফরান ব্যবহার করা শুরু করুন।কারন এই সময় গর্ভাবস্থায় স্থিতিশীল থাকে এবং অকাল প্রসাব এর ফলে সন্তান এর ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
  • যেকোনো রান্না বা খাবারে ২-৩ টি জাফরান ব্যবহার করুন,কারন অতিরিক্ত জাফরান আপনার শরীলের ওপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে।
  • কৃত্রিম রং বা ভেজাল পূর্ন্য আপনার স্বাস্থ্য জন্য ঝুকিপূর্ণ তাই গর্ভবতী মহিলার জন্য উচ্চ মানে ক্রেতার কাছ থেকে জাফরান ক্রয় করুন। 

জাফরানের স্বাস্থ্য উপকারিতা

জাফরান বিশেষ করে এই মসলা দেহের জন্য ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল দূর করে এবং উপকারী কোলেস্টেরল মাএা বৃদ্ধি করে। সর্দি এবং কাশির যে ধরনের সমস্যা হয় যেমন অ্যাজমা ও পারটুসিস দূর করতে জাফরান খাওয়া যেতে পারে।

জাফরানের স্বাস্থ উপকারিতা হলো

  • ১চিমটি জাফরান ১৫টি শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা আপনার হৃদপিণ্ড ও উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি মিলবে।
  • হৃদপিণ্ড বা হজম সমস্যা সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা থেকে জাফরান অনেক উপকারী।
  • জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের দেহের নতুন কোষ গঠন করে এবং ক্ষতি গ্রস্ত কোষ গুলোকে সারিয়ে তুলতে সাহর করে।
  • জাফরান রয়েছে লৌহ ও আয়রন যা আপনার মস্তিষ্ক শিথিল করে এতে মানসিক চাপ বা উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • মেয়েদের মাসিকের শুরু সময় অস্বস্তিকর ব্যাথা বা মাসিকের শুরু আগে অস্বস্তি দূর করতে জাফরান এর জুড়ি নাই।
  • অনিন্দ্রা থেকে মুক্তির জন্য জাফরান বেশ কার্যকর।ঘুমানোর যাওয়ার আগে গরম দুধে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে খেলে অনিন্দ্রা হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • সামন্য একটু জাফরান নিয়ে দাত বা মাড়িতে ম্যাসাজ করলে দাত মাড়ি সমস্যা দূর পাওয়া যায়।
  • চোখের ছানি বা দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে জাফরান বেশ কার্যকর।
  • অ্যাসিডিটি সমস্যা পেতে একটু জাফরান ই যথেষ্ট। 
  • জাফরান দেহের কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে কার্যকর।

গর্ভবতী মহিলার জন্য জাফরানের উপকারিতা 

আপনার গর্ভবস্থায় ওষুধি প্রকৃতির জন্য জাফরান আপনার প্রধান অন্যতম ওষুধ। এটা আপনার পাচনতন্ত্র পতিরক্ষামুলক আবরণ তেরি করে হজমে সহায়তা করে।যখন পরিমান মত জাফরান খাওয়া হয়, তখন জাফরানের সুবিধা গুলো হলো

রক্তচাপ পরিচালনা করে

গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীর হার্টবিট ২৫% বেড়ে যাই,ফলে রক্তচাপ ওঠা নামা করে।জাফরান রয়েছে পটাশিয়ার এবং ক্রোসটিন রয়েছে যা আপনার রক্তচাপ হ্রাস করতে সহায়তা করে।জাফরান সেবনের ফলে আপনার গর্ভাবস্থায় অনেক উপকারী হবে।

সকালের অসুস্থতাকে শান্ত করে

মনিং সিকনেস আপনার নিতেজ বা অলসতার সৃষ্টি করে। বেশ কিছু প্রমান থেকে বোজা যায় প্রতিদিন জাফরান বা বমি বমি ভাব হলে জাফরান বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে।

হজমে সহায়তা

গর্ভবস্থায় বেশ কিছু মহিলা পেট ব্যাথায় ভুগেন। গর্ভবস্থায় হজমশক্তি বা পাচনতন্ত্র সাহায্য জন্য জাফরান বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এটি সেবনের ফলে পাচনতন্ত্র রক্ত বাড়িয়ে দেই তার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।জাফরান সেবনের ফলে পেশি শিথিল হয় এবং পেট ব্যাথা বা অন্য ব্যাথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আয়রনের স্তর বৃদ্ধি করে

গর্ভবস্থায় আপানে লৌহ বা আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শে দেওয়া হয় কারন দেহের সুস্থতার জন্য লৌহ জাতীয় প্রয়োজন হয়। জাফরান এ রয়েছে লৌহ জাতীয় এবং আয়রন এর মতো জনিজ পদার্থ যা আপনাড দেহের রক্তে হিমোগ্লোবিন মাএা বা লাল রক্তের মাএা বৃদ্ধি করে।

জাফরান এর পাশ্বপ্রতিক্রিয়া

জাফরান সাধারণত ব্যবহার জন্য নিরাপদ,তবে সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।জাফরান ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করলে নিরাপদ হতে পারে তবে কিছু পাশ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন, শুষ্ক মুখ,অ্যালার্জি,মাথা ব্যাথা,বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে  

জাফরান গ্রহনের সময় সর্তকতা

গর্ভাবস্থায়-- কিছু মাস গর্ভাবস্থায় জাফরান ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারন বেশি পরিমান জাফরান গ্রহন করলে গর্ভপাত হতে পারে।

বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়-- আপনি যদি স্তন্যপান করায়ে মা হয় তাহলে জাফরান ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারন এটি মা শিশুর দুইজনের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

শেষ কথা

জাফরান সেবনেড ফলে আপনার সব ধরনের রোগ সমুহ থেকে প্রতি কার পাওয়া যায়। কারন জাফরানে রয়েছে পটাশিয়াম এবং প্রচুর পরিমান কোলেস্টেরল যা আমাদের দেহের বৃদ্ধি সহ দেহের বিভিন্ন রোগ থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।

প্রতিদিন ২ থেকে ৩ টি জাফরান সেবন করলে সব ধরনের রোগ সমুহ থেকে মুক্ত থাকা যাবে। তবে বেশি পরিমান জাফরান শরীলের জন্য ক্ষতিকর। বড় কোনো ধরনের রোগ হলে অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ জাফরান খাওয়া উচিত। নইলে হিতে বিপরীত হতে পারে।তাই অভিজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ জাফরান খাওয়ার জন্য পরামর্শ করবো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url