ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস-তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফ্রেস ওযাশ
ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফেসওয়াস
ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস আমাদের নানা সমস্যায পড়তে হয। ছেলেদের ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে ছেলেদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন ছেলেদের ত্বক অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত হয়। তাদের ব্রণ হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। আর যখন মুখে প্রচুর ব্রণ হয়। এটি একটি ছেলের মুখের সৌন্দর্য রয়েছে।তা একবারে হারিয়ে যায়। আর সে কারণে অনেক ছেলেই জানতে চাই যে,ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফেসওয়াস ব্যবহার করা ভালো হবে।
যদি আমরা বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ফেসওয়াস ব্যবহার করে থাকি।যা একবারে উচিত নয়।বিভিন্ন ধরনের ফেসওয়াস ব্যবহার এর ফলে আমাদের মুখে নানা রকম রোগ হয় যেমন,ব্রণ,চর্মরোগ,ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব ধরনের ফেসওয়াস ব্যবহার করা উচিত নয়। যখন আপনি কোনো মার্কেট বা দোকান থেকে ফেসওয়াস কিনবেন।
তখন আপনাকে এর উপকারিতা, অপকারিতা দেখে কিনতে হবে। অনেক কম দামের ফেসওয়াস ph এর মান বেশি থাকে। তার ফলে আমাদের ত্বকে নানান রকম ক্ষতিকর ভাইরাস দেখা দেয় তাই অব্যশই ফেসওয়াস কেনার সময় এগুলো দেখে কিনবেন।
সূচিপএ:ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
- ছেলেদের ব্রণ এর জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
- ছেলেদের ভালো ফেসওয়াস ২০২৪
- মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালে
- ছেলেদের জন্য যেমন ফেসওয়াশ দরকার
- ছেলেদের অয়েলি স্কিনের সমাধান
- ত্বক ভালো রাখার খাবার
- ত্বক ভালো রাখে কোন ভিটামিন
- শেষ কথা
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো। ত্বক নিয়ে সমস্যাই পড়ে নি এমন ছেলে বর্তমান সময়ে খুজে পাওযা কষ্টকর। আমরা কম বেশি সবাই ত্বক বা ব্রণ নিয়ে সমস্যাই পড়ি। আজকে আমরা সেই সম্পকে জানবো। পুরুষের ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয় ফেসওয়াশ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পুরুষদের ত্বক মহিলাদের ত্বকের তুলনায় ঘন ও তৈলাক্ত হয়। বাজারে অনেক ধরণের ফেসওয়াশ পাওয়া যায় যা ছেলেদের ত্বকের জন্য উপকারী । তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফ্রেস ওযাশ। ছেলেদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়।
আরো পড়ুনঃকলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
কারন বাহিয়ে ধুলাবালি ও ডাক সার্কেল জন্য বেশি তৈলাক্ত হয়। এসবে কারনে মুখে অনেক ব্রণ বের হয়। এসব সমস্যার থেকে মুক্তির জন্য আপনার দের ত্বক অনুযায়ী ভালো ফেসওয়াস ব্যবহার করতে হবে।
Neutrogena Man Skin Clearing Acne Wash
- এই ফেসওয়াস টি মুলত জেল ফর্মুলায় তৈরি করা হয়ছে।
- ফেসওয়াস এর মধ্যে আপনি guarana নামে বিশেষ উপাদান দেখতে পারবেন।যা মুলত আপনার স্কিনের ড্যামেজ থেকে অনেকটাই কমিয়ে আনবে।
- উক্ত ফেসওয়াস এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর।
- যার ফলে আপনার ত্বকে একটা এনার্জিটিক গুনাগুন লক্ষ্য করতে পারবে।
- সেই থাকে আপনার ত্বকে অনেকটাই ব্রাইট নেজ গড়ে তোলে।
- এই ফেসওয়াস আপনার ত্বকের সমন্বয়ে বা আপনার ত্বকের জন্য ph এর মান সঠিক।
- তার ফলে এটা ব্যবহার করলে আপনার কোনো ত্বকের ক্ষতি হয় না।
- এটা ব্যবহারে কয়েক দিন পর থেকে আপনি ফলাফল আশানুরূপ সাফল্য দেখতে পাবেন।
- এই ফেসওয়াস এর ফলে মুখের ছোট ছোট গর্ত ভালো হয়ে যায়।
Garnier Man Power White Double Action Face Wash
- আপনার ত্বকে পুলশন এবং ডাট জমা হয়। যা নিমেষে পরিষ্কার করে।
- উক্ত ফেসওয়াস আপনি ভিটামিন সি পাবেন।যার ফলে আমাদের ত্বকে অনেক মসৃণ থাকবে।এবং আমাদের স্কিন অনেক ব্রাইট রাখে।
- যাদের স্কিন ড্যামেজ হয়ে গেছে।তারা এই ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারবেন।
- এটা ড্যামেজ এবং মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- এই ফেসওয়াস ব্যবহার এর ফলে আপনার ত্বকের ডাকনেস দূর করে আপনাকে উজ্জ্বলতা ফেসনেজ দিবে।
Ponds Man Pollution Out Face wash
যেসব ছেলেদের ২৪ ঘন্টা মুখ তৈলাক্ত থাকে। এবং অধিকাংশ সময রোদের মধ্যে কাজ করে।তাদের ত্বকে অনেক ধুলাবালি জমা হয়।যার ফলে তাদের মুখের মসৃণতা হারিয়ে যায়। তবে আপনি এই ফেসওয়াস ব্যবহার করলে মুখের তৈলাক্তভাব ও ধুলাবালি মুক্ত ত্বক থেকে রক্ষা পাবেন। এটা ব্যবহার এর পরে মুখে ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব করবেন যা ত্বকের জন্য বেশ কার্যকর।
ছেলেদের ব্রণ এর জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
বর্তনাম সময়ে ছেলেদের ব্রণ এর সমস্যা অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর যখন একটা ছেলের মুখে ব্রণ হয়।তখন মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক ছেলে ভালো মানের ফেসওয়াস প্রয়োজন হয়।নিম্ন মানের ফেসওয়াস ব্যবহার এর ফলে মুখের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই ভালো মানের ফেসওয়াস ব্যবহার করতে হবে।
Loreal Man Expert Hydra Energetic Wake-Up Effect Face Wash
- স্কিনে হাইড্রেশন প্রভাইড করে ইনস্ট্যান্টলি এনার্জেটিক দেখাতে এই ফেইস ওয়াশটি বেশ ভালো কাজ করে।সারাদিনের কান্তি দূর করে পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে থাকে।সেই ত্বকের প্রবলেম গুলো ধরে ত্বকের কাজ করে।
- এটি জেল ফমুলার ফেইস ওয়াশ,অনেক জেল বেইজড ক্লেনজার প্রিফার করেন।
- এটি ফেইস ওয়াশ gurana উপাদানটি রয়েছে।এটাই অ্যান্টি- অক্সডেন্ট থাকায় স্কিনের ড্যামেজ কমিয়ে আনে,আর অ্যান্টি এজিং বেনফিট দিয়ে থাকে।
- আর এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের ব্রাইট করতে হেল্প করে।এবং টাযার্ড লুকিং ফেইসকে ইনস্ট্যান্টলি ব্রাইট করে তোলে।
- স্কিন ভেতর থেকে ক্লিন আর স্কিন উজ্জ্বলতা করে নিমিষে।
Simple Daily Skin Detox Purifying Facial Wash
মুখ ধোয়ার পর ঝকঝকে দেখতে কার না ভালো লাগে। মনে হয় এখন থেকে আর ব্রণ বের হবে না।কিন্তু কিছু দিন পর আবার ব্রণ বের হয়। এবং মুখ তৈলাক্ত ভাব ফিরে আসে। মনে হয় কোনো দিন মুখ ধোযা হয়নি। এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন ভালে মানের ফেসওয়াশ।
বন্ধ রোম কূপ আর তৈলাক্ত ত্বকে বিদায় জানান। simple daily skin wash আপনার ত্বকে কোমল ভাবে কাজ করে এবং গভীর থেকে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ও ময়লা তুলে নিয়ে আসে। অ্যালকোহল-বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার করে করে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলছেন। তাহলে নিশ্চিত থাকুন আর ফেসওয়াশ বদলান।
আরো পড়ুনঃজাফরান এর উপকারিতা ও অপকারিতা
আপনার ত্বকের জন্য Simple daily skin wash ব্যবহার করুন। এটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মুখে ক্ষতিকর ময়লা তুলে নিয়ে এসে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
Lakme Blush & Glow kiwi Crush Face Wash
তেলতেলে ব্রণ ভরা ত্বকের জন্য জেল- বেসড ক্লেনজার সবচেয়ে ভালো। এই ফেসওয়াশ কিউয়ি ফলের নির্যাস আর কোমল স্ক্রাবিং বিডস যুক্ত এই ফেসওয়াশ। এটি ব্যবহার ফলে আপনার সমস্ত তেলতেলে ভাব দূর করে। এটি আপনার ত্বক তেলতেলে ভাব থেকে দূর করে ফুলের নির্যাস যুক্ত করে থাকে। যা আপনাকে সারাদিন ফেস থাকতে সাহায্য করে।
ছেলেদের ভালো ফেসওয়াস ২০২৪
দৈনন্দিন পরিচর্যার অংশ হিসাবে ফেসওয়াশের প্রয়োজনীয়তা আমরা সবাই জানি। বাজারে হরেক রকমের ব্যান্ডের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে মেয়েদের ত্বকে যে ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যাবে সেটা ছেলেদের ত্বকের জন্য নাও মানানসই হতে পারে৷ ছেলেদের ত্বক আর মেয়েদের ত্বক আলাদা। তাদের ত্বকে শুষ্কতা,তৈলাক্ততা বা সংবেদনশীল থাকে। তাই ছেলেদের ত্বক ধরণ অনুযারী ফেসওয়াশ বেছে নিতে হবে।
১:সিম্পল ডেইলি স্কিন ফেসওয়াশ
আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি জন্য এই ফেসওয়াশ বেশ কার্যকর। এটি আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকে কোমল করে তোলে। এটি আপনার শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি দেয়। এই ফেসওয়াশ এ উইচ হ্যাজেল,জিঙ্ক আর থাইমের গুনে সমৃদ্ধ। তাই ফেসওয়াশ কেনার সময় এই গুলো উপাদান থেকে কিনতে হবে। ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস।
এর ph এর আমাদের ত্বকের সমন্বয় তৈরি করা হয়েছে। এটাই কেনো ক্ষতিকর পদাথ বা রাসায়নিক উপাদান দেওয়া নাই। এই ফেসওয়াশ ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা পাশাপাশি ত্বক সতেজ রাখে।
২:ডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং ফোমিং ওয়াশ
ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার করতে ডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং ওয়াশ ব্যবহার করা উওম।ফেনাযুক্ত এই ফেসওয়াশটি ত্বকের মৃত কোষ, নোংরা আর তেল সরিয়ে রোমকূপ পরিষ্কার রাখে ও ব্রণ হতে দেয় না। এই ফেসওয়াশ স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকে জীবাণুমুক্ত রাখে। টি ট্রি,ল্যাভেন্ডার আর ক্যামেলিয়া সাইনেন্সিসের মতো আটটি ভেষজে সমৃদ্ধ এই ফেসওয়াশ ত্বক ভালো রাখে।
৩:পন্ডস পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ
আপনার মুখের যতই ব্রণ সমস্যাই থাক পন্ডস ক্লিয়ার ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। এটা ব্যবহার করলে ব্রণ দূর হতে বাধ্য।দারুন কার্যকর এই ফেসওয়াশটি রয়েছে রয়েছে অ্যাকটিভ থাইমো- টি এসেন্স ফরমুলা যা আপনার ত্বক করে তোলে পরিষ্কার আর ব্রণ মুক্ত,আর তিন দিনের মধ্যে। হাজার চেষ্টা করেও যে ব্রণ তিন সপ্তাহে বা চার সপ্তাহে যাই না,তা যদি তাড়াতাড়ি চলে যাই তাহলে কেমন হয়। এই কার্যকর ভুমিকা পেতে পন্ডস পিম্পল ক্লিয়াড ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালে
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো মেয়েদের জন্য সম্পকে দুই একটি কথা না বললেই না।প্রত্যেক মানুষের জন্য স্কিন এর ধরণ নয়। মানুষ ভেদে একেক জনের ত্বক একেক রকম হয়। তাই সবার জন্য একই ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়।ত্বক ভেদে আপনাকে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও মেয়েদের ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেশি দেখা যায়। এছাড়াও অনেকের স্কিন ড্রাই,নরমাল এবং তৈলাক্ত হয়ে থাকে। মেয়েদের এই তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য নিম্নে কয়েকটি ফেসওয়াশের নাম উল্লেখ করা হলো:
- হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ
- পন্ডস ক্লিয়ার ফেসওয়াশ
- গানিয়া ম্যান ফেসওয়াশ
- নিউট্রেজিনা ক্লিয়ার এন্ড সুদ মুজ ক্লিনজার
- নিউট্রোজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ
- ফেয়ার লাভলি ফেসওয়াশ
- নিভিয়া জাফরান ডিলাইটস ফেসওয়াশ
- YC মিল্ক এক্সট্রাক্ট ফেসওয়াশ
- laikou Japan sakura ক্লিনজার ফেসওয়াশ
ছেলেদের জন্য যেমন ফেসওয়াশ দরকার
ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস। ফেসওয়াস আমাদের ত্বকের উপর জমে থাকা ময়লা,ঘাম,তেল ব্যাকটেরিয়া,মড়া চামড়া ইত্যাদি পরিষ্কার করে ত্বকে উজ্জ্বলতা করে তোলে। যদি আপনার ফেসওয়াশ কম দামি হয় তাহলে তা ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করবে না। আর যদি ফেসওয়াশ আপনার খুব বেশি কড়া হয় তাহলে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেওয়া ভালো। ফেসওয়াশ খারাপ কেমিক্যাল আছল কিনা ব্যপারে নিশ্চিত করুন।
আরো পড়ুন ঃঅর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
সবচেযে বড় কথা হলো গায়ে মাখার সাবান কখনে মুখে ব্যবহার করবেন না। এটা আপনার ত্বক শুষ্ক করে তোলে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য:শুষ্ক ত্বকের জন্য পুষ্টি প্রয়োজন। আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে আপনাকে ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত। এ ধরনের ফেসওয়াশের মধ্যে থাকে পেট্রেলিয়াম ও খনিজ তেল। ফেনাযুক্ত ফেসওয়াশ,স্যালিসেলিক ও গ্লাইকোলিক এসিড যুক্ত ফেসওয়াশ থেকে দূরে থাকুন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিরা ফেনাযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। এ ধরনের ফেসওয়াস ত্বকে কিছুটা ময়েশ্চারাইজার রেখে ত্বক পরিষ্কার করে। এমন ফেসওয়াশ কেনার আগে নিম,অ্যালোভেরিয়া,টি ট্রি অয়েল যুক্ত আছে কিনা তা দেখে নিন।
মিশ্র ত্বকের জন্য:মিশ্র ত্বক কখনো শুষ্ক বা কখনো তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। আপনার দরকার একটি মৃদুধাচের ক্লিনজার। সেটি হতে পারে অ্যালকোহল ফ্রি,হাইপোঅ্যালারজেনিক,সোপ- ফ্রি মতো ফেসওয়াশ।
ছেলেদের অয়েলি স্কিনের সমাধান
রুপচার্চায় ছেলেরা সবসময় উদাসীন। মেয়েলি ব্যাপার টা এড়িয়ে যায়। অনেক সময় লোকে কি বললে সেই ভেবে নেন না ত্বকের যত্ন। নিজেকে দেখতে খারাপ লাগুক সেটা অন্তত কেউ চাই না। তাই অয়েলি ত্বক বা ব্রণ এর সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু টিপস জেনে নেওয়া যাক।
অয়েলি স্কিনের যত্ন:ত্বকের ধরনের মধ্যে রয়েছে শুষ্ক ত্বক,তৈলাক্ত ত্বক,মিশ্র ত্বক ও সেনসিটিভ ত্বক। তবে বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেএে অয়েলি স্কিন বা তৈলাক্ত স্কিন সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।ত্বক অয়েলি হয়ে একের পর এক সমস্যা হয়েই থাকে। ঘুম থেকে ওঠে দেখবেন মুখ তেল তেল ভাব হয়ছে। আবার সারাদিন পর রাতে রুমে এসে দেখবেন মুখে ধুলাবালির জন্য ত্বক নষ্ট হয়ে গেছে। ত্বকে তেল জমা হলে ধুলাবালি বেশি জমা বাধে। ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস। আসুন জেনে নিই অয়েলি স্কিনের যত্নের উপায় ।
ফেসওয়াশ ব্যবহার
যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা নিজের মাতো মানানসই ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। ছেলেদের ত্বকের ব্যবহার জন্য উপযোগি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। সকাল বিকাল দিনে দুইবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মুখেড তৈলাক্ত ভাব ও ধুলাবালির হাত থেকে ত্বকে রক্ষা করা যায়।
ফেইস মাক্স ব্যবহার
এটা ওটা মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে মুখে মেখে বসে থাকাকে নিশ্চযই মেয়েদের কাজ বলে মনে করে এসেছেন। ছেলেদের জন্য আসলে এটার দরকার আছে। সত্যি যদি আপনি ভালো ত্বক চান তাহলে ফেইস মাক্স ব্যবহার প্রয়োজন। ক্লে মাস্ক আপনি বাজারে কিনতে পাবেন। কষ্ট করে বানাতে হবে না।বাড়িতে এনে ব্যবহার করলেই সুফল পাবেন। এই ধরনের মাস্ক ত্বকের প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রণ করে এবং সতেজ রাখে।
পযাপ্ত পানি পান করুন
বেশির ভাগ মানুষ ই পানি পানের গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু সুন্দর ত্বকের জন্য পানি পানের বিকল্প নাই। শরীলে পানি ঘাটতি দেখা দিতে তা ফুটে ওঠে ত্বকে। আপনি যখন পযাপ্ত পানি পান করবেন তখন আপনার শরীলের জমে থাকা দূষিত পদাথ বের করে দেয়। এতে ত্বক থাজে সতেজ।
ত্বক ভালো রাখার খাবার
অনেকেই মসৃণ উজ্জ্বল ত্বক চাই। কিন্তু অনেক সময় নিয়মিত যত্ন আর নামি- দামি কসমেটিকস ব্যবহারের পর ত্বকের সৌন্দর্য ঠিক থাকে না।ত্বক ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস,পযাপ্ত ঘুম আর স্বাস্থ্যের ভীষণ ভাবে জড়িত।ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস।
কিছু খাবার আছে যা খেলে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক উজ্জ্বল হতে পারে
পানি:সুন্দর ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পযাপ্ত পানি খেলে ত্বকের কোমলতা পাশাপাশি মুখের তৈলাক্ত দূর করার ফেসওয়াস। পানি ত্বকের পানির পরিমাণ কমে গেলে ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।তাই সুস্থ ত্বকের জন্য প্রতিদিন দেড থেকে ২ লিটার পানি পান করা দরকার।
টমেটো : ত্বকের যত্নের টমেটো ব্যবহার কোনো বিকল্প নাই। টমেটোতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক। টমেটোতো লাইসোপিন নামক একটি অন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। এটা আপনার ত্বকের বিভিন্ন দাগ,বলিরেখা ও শুষ্কভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ করে। এটি সানস্কিন হিসাবেও দারুণ কার্যকর।
বাদাম: বাদামে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন-ই। খাদ্য তালিকায় বাদাম রাখলে এর পুষ্টি উপাদান গুলো ত্বকে আর সজীব ও লাবণ্যময় করে তোলে।
ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ: মাছের চর্বি শরীলের জন্য খারাপ নয়। যেসব মাছে ফ্যাটি এসিড আছে আছে নিয়মিত এ ধরনের মাছ খাদ্য তালিকায় রাখলে ত্বকের উপকার হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে প্রাকৃতিক তেো আছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
গাজর: নিয়মিত গাজর খেলে ত্বক ভালো থাকে। গাজর ত্বকের টিস্যু মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মি থেকে ত্বকে রক্ষা করে। এছাড়াও গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীলে গিয়ে ভিটামিন- এ তে পরিণত হয়। ভিটামিন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
সবুজ শাক সবজি: সুস্বাস্থ্যের জন্য শাক সবজির বিকল্প আর কিছু নাই। এটা আপনার স্বাস্থ্যর পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখে। রান্না করা সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসাবে কাঁচা সবজি ত্বকের জন্য উপকারী।
ত্বক ভালো রাখে যে ভিটামিন
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফ্রেস ওযাশ আমাদের প্রতিনিযত সমস্যায পড়তে হয। ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। পযাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন না পেলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়ে,চামড়া কুচকে যায়,ত্বক বিবণ দেখায়,ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়। পযাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে ত্বকে নানা রকম সমস্যা বা রোগও হতে পারে।
ভিটামিন-এ: সুস্থ ও তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-এ ত্বক রুক্ষ, খসকসে ও শুষ্ক হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।ত্বকে লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন এ। ত্বকে কালচে দাগ ও কালো ছোপ দূরে রাখতে,উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দাগহীন ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ দারুন কার্যকর।ব্রকোলি,পালংশাক,মিষ্টি আলু,ফলমূল,ডিম,দুধ চর্বিযুক্ত মাছ এগুলো ভিটামিন-এ অন্যতম উৎস।
ভিটামিন-বি:সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ভিটামিন-বি। এজন্য সান স্কিনের মধ্যে ও এই ভিটামিন-বি দেওয়া থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যালার্জির হাত থেকেও রক্ষা করে ভিটামিন-বি।ভিটামিন-বি,ত্বকের,উজ্জ্বলতা,বৃদ্ধি,করে। ডিমের,সাদাঅংশ,ঢেকিছাটা চাল,কলিজা ,দুধ,গাজর,টমেটো,গ্রিন টি ভিটামিন-বি রয়েছে।
ভিটামিন-ই : ত্বকে অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ করে ভিটামিন-ই। সূয়ের ক্ষতি কর অতিবেগুনি রশ্নি থেকেও রক্ষা করে ভিটামিন-ই। ভিটামিন-ই অভাবে চুল পড়ে এবং ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেয়া দেয়।আদ্রতা হারিয়ে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্পান। ভিটামিন- ই ত্বকে সজীব করে তোলে।বাদাম,জলপাই,উদ্ভিজ্জ তেল,শাক সবজি,সূয়মুখীর বীজ ইত্যাদি থেকে ভিটামিন-ই পাওয়া যায।
শেষ কথা
ত্বক আমাদের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। আর সেই যদি ছেলেদের মুখের তৈলাক্ততা দূর করার ফেসওয়াস হয । তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো ফ্রেস ওযাশ আর সেই ত্বক যদি আপনার খারাপ হয়ে থাকে তাহলে কেমন লাগবে বলুন।তাই আমাদের সবার উচিত ত্বকের দিকে নজর দেওয়া।আমাদের সবার একটা কমন বিষয় হলো অয়েলি ত্বক বা শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তির উপায়।এই সমস্যা থেকে মুক্তি জন্য আমাদের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিদিন যখন আমরা ঘুম থেকে ওঠে ফেস হওয়ার সময় আমাদের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া উচিত। তাহলে মুখের ব্যকটেরিয়া বা ধুলাবালি ত্বক থেকে ওঠে আসে এবং ত্বকে সুরক্ষা করে। তবে আমাদের যেমন তেমন বা কম দামের ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত নয়। আমাদের ত্বক অনুযারী আমাদের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে, যদি কারো কোনো ধরনের চর্মরোগ থাকে তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শ ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত।নইলে হীতে বিপরীত হতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url