অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা?অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা?
অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
অর্জুন গাছ,যাতে পেয়ারা গাছের অনুরুপ পাতা রয়েছে এটি আকারে অনেক রড় হয়।অর্জুন গাছের বৈজ্ঞানিক নাম টার্মিমিনেলিয়া অর্জুন। বিভিন্ন অঞ্চলে,এটি ধাওয়াল,কুকুভ এবং নাদিসারজ গাছ নামে পরিচিত।টার্মিমিনেলিয়া মহা জাতি অন্তগত চিরহরিৎ বৃক্ষ হল এই অর্জুন গাছ।
প্রধান ওষুধি গাছের মধ্যে অন্যতম হলো এই অর্জুন গাছ।এটি প্রাচীন কাল থেকে হৃদরোগের চিকিৎসা জন্য ব্যবহার করে আসছে অর্জুন গাছের গাল,পাউডার,ডিকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে ম্যাগ্নিসিয়াম,ক্যালসিয়াম এছাড়াও এতে আছে গলুকোসাইড এর পাশাপাশি ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সডেন্ট উপাদান।অর্জুন গাছের ছালে অনেক খনিজ উপাদান যা আপনার অনেক রোগ সমূহ থেকে রক্ষা করে।
সূচিপত্র:অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
- অর্জুন গাছের উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- অর্জুন গাছের ওষুধি গুন
- অর্জুন গাছের অপকারিতা
- শেষ কথা
অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা
নানা রোগ সূমহ থেকে অর্জুন গাছ ছাল আমাদের অনেক উপকারে আসে।অর্জুন গাছের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমাই,চুল পড়া কমাই,মেদ কমাই,আমাশায় রোগের হাত থেকে বাচাঁয়,কাশি দূর করে,ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াই,প্রসাবের বাধাঁ দূর করে।
নিচে অর্জুন গাছের ছালের উপকারিতা দেওয়া হলো
হৃদরোগ:অর্জুন গাছের প্রধান ব্যবহার হয় হৃদরোগে।এই গাছের ছালের রস কো- এনজইম কিউ- ১০ সমৃদ্ধ। এনজাইম কিউ- ১০ হৃদরোগ এবং হার্ট এ্যাটাক এর হাত থেকে রক্ষা করে।বাকলের রস ব্লাড পেসার এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমাই। অর্জুন গাছের বাকল এর রস খেলে হৃদপিণ্ড পেশি শক্তিশালী ও হৃদ যন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃমাশরুমের এর উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রতিদিন সকালে অর্জুন গাছের ছাল ঘন দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে বাকলে রস না থাকলে শুকানো বাকলের গুড়া ১-২ গ্রাম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে খেতে হবে।
অ্যাজমা:অর্জুন গাছের পাউডার ১২ গ্রাম দুধের ক্ষীর বা পায়েসের সাথে মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তির স্থায়ী সমাধান হয়।
ক্ষয় রোগ:অর্জুন গাছের ছালের গুড়া,বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে রাখতে।দমকা কাশি হলে একটু ঘি এবং মধু দিয়ে খেতেন এতে কাশির উপকার হতো।
বুক ধড়ফড়:যাদের বুক ধরফর করে অথচ উচ্চ রক্তচাপ নেই তাদের পক্ষে অর্জুন গাছের ছাল কাচাঁ হলে ১০-১২ গ্রাম,শুকনা হলে ৫-৬ গ্রাম একটু ছেঁটে হলে ২৫০ মিলি দুধ ও ৫০০ মিলি পানির সঙ্গে মিশিয়ে জ্বাল দিতে হবে।১২৫ মিলি থাকতে ছেকে বিকাল বেলা খেলে বুক ধড়ফড়ানি অবশ্যই কমবে।
তবে পেটে যেন বাযু না থাকে,সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে।যাদের ব্লাড প্রেসার কম তাহারা নিয়ম মেনে সেবন করলে অবশ্যই উপকৃত হবে।
রক্ত আমাশয়ে:৪-৫ গ্রাম অর্জুন গাছের ছালের সাথে ছাগলের দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে রক্ত আমাশয় ভালো হয়।পেটে অন্য কোনো সমস্যা হলে অর্জুন গাছের ছাল ৪৫-৫০ গ্রাম করে খেলে হজমে শক্তি বৃদ্ধি করে।
যৌনরোগে:যাদের মধ্যে যৌন অনীহ দেখা দেখ তাদের প্রতিদিন ছালচূন সেবন করলে এর থেকে মুক্তি মেলে।এই ছালাচূন দুধের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন নিদিষ্ট সময়ে খেলে এ রোগ দূর হয়।এ ছাড়া যাদের শুক্রমেহ আছে তারা এই গাছের ছালের গুড়া ৪-৫ গ্রাম ৪-৫ ঘন্টা আধা পোয়া গরম জলের সাথে ভিজিয়ে রেখে তারপর ছেকে ওই জলের এক চামচ শ্বেতচন্দন মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
অর্জুনের ছালের ব্যবহার বিধি:অর্জুন গাছের বাকল বা ছাল গুড়া করে ব্যবহার করতে হয়।তবে এটা স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য আয়ুবেদি বা ইউনানী বা বিভিন্ন চিকিৎসক এই গাছে গুড়া দিয়ে ট্যাপলেট,সিরাপ তৈরি করে থাকেন।আপনি যদি আয়ুবেদী চিকিৎসক এর সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি দুধক্ষীর বা ক্ষীরপাকার নাম জানেন।এটা আপনার শরীলের অনেক ধরনের কাজে আসে।এটা তৈরি করা খুব সহজ।
এই ওষুধ বাড়িতে তৈরি জন্য কার্যপ্রণালি
এই গাছ আপনি ছাল গুড়া,বা জলে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।এটা আপনার শরীলে যেমন, রক্ত আমাশয়, চুল পড়া রোধ,ত্বক সুরক্ষা, হৃদপিণ্ড পেশি বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, প্রসাবে বাধাঁ দূর, মতো বড় বড় রোগ থেকে উপশম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- জল,দুধ এবং অর্জুনের বাকল ৩২:৮:১ অনুপাতে মিশিয়ে নিন।
- অল্প তাপে এই মিশ্রণ গরম করুন যতক্ষণ না পযন্ত এটা বাষ্প হয়।
- মিশ্রণ টি ছেকে নিন।অর্জুনের দুধ উপভোগ করুন।
অর্জুন গাছের উপকারিতা
বলা হয়ে থাকে বাড়িতে একটা অর্জুন গাছ থাকা আর চিকিৎসক থাকা সমান কথা।ওষুধে অর্জুন গাছে পাতা, ছাল ও ফল ব্যবহৃত হয়।ইউনানী,আয়ুর্বেদ ও হোমিও শাস্ত্রে অর্জুনের ব্যবহার লক্ষণীয়।
অর্জুন গাছের ছালের রক্তচাপ কমাই:অর্জুন গাছে ছাল বেশ উপকারী বলে প্রমানিত হয়ছে।আসলে তার বাকল,লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে কোলেস্টেরল কম করে।এই ছাল সেবনে রক্ত প্রবাহের বাধাঁ দূর হয়।এর জন্য, অর্জুন গাছের ছালের এক চামচ পাউডার, দুই গ্লাস জলে অর্ধেক রয়ে যাওয়া পযন্ত গরম করে সকালে ও সন্ধ্যায় পান করা উচিত।
উন্নত চুলের জন্য:চুলের বৃদ্ধি জন্য আমরা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারি।মাথার চুলের মধ্যে অর্জুন গাছের ছাল এবং হেনার মিশ্রণ চুলে লাগানোর ফলে চুল সাদা থেকে কালো করে।একই সাথে এটা চুল শক্তিশালী করে।
কাশি উপশমে:শুকানো অর্জুন গাছের ছাল এর পাউডার, তাজা সবুজ ছোট পাতার রসের সাথে মিশিয়ে দিয়ে আবার শুকিয়ে নিন।এভাবেই সাত বার মেশানোর পর যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে চূন প্রস্তুত করা হয়।এই চূন এর সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে কাশি থেকে মুক্তি মেলে।
মেদ কমাতে:অতিরিক্ত মেদ নিয়ে কম বেশি সবার ই সমস্যা। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় অর্জুন গাছের ছাল সেবন করলে অতিরিক্ত মেদ কমানো যাই।এটা এত দ্রুত কাজ করে যে মাএ এক মাস এটা নিয়নিত সেবন করলে আপনি মেদ কামার অনুভব করতে পারবেন।
ত্বকের জন্য:অর্জুন গাছের ছালের প্রভাবে অনেক ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর।অর্জুন গাছের ছাল,বাদাম,হলুদ,এবং কপূর সমান মিশিয়ে পৃষ্ঠ করে ত্বকে লাগালে ত্বক জন্য অনেক উপকার হয়।এটা ত্বকের ওপর প্রযোগ করলে ত্বকের কালো দাগ,ব্রণ,ও মেসতা থেকে মুক্তি মেলে।
হাড় মসকে গেল:অনেক সময় দেখা যায়,খেলাধুলা করতে গিয়ে আমরা পায়ে আঘাত পাই, বা খেলাধুলা করতে গিয়ে আমরা পায়ের হাড় ভেঙ্গে বা মচকে ফেলি।তখন আমরা সেই ভাঙ্গা জায়গাই বিভিন্ন ধরনের মলম ব্যবহার করে থাকি, এবং উপকার এর চেয়ে বেশি অপকার পায়।তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে এই মচকে যাওয়া হাড় থেকে উপকার পাওয়া যায়।
কখনো যদি আপনার পা বা হাত মচকে যাই, তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতি হলো:
- আপনার যখন পা বা হাত মচকে যাবে তখন আপনাকে নড়াচড়া কম করতে হবে।এবং সম্পন্ন বিশ্রামে যেতে হবে।
- যখন দেখবেন আপনার পা বা হাত অনেক ফুলে যাচ্ছে তখন আপনার সেই ব্যথার স্থান অন্য অংশ থেকে উচ্চু তে রাখবেন।
- এরপর অর্জুন গাছে ছাল এবং রসুন ভালো ভাবে মিশ্রন করুন।এরপর সেই মচকে যাওয়া বা ফুলে যাওয়ার স্থানে ভালো ভাবে মালিশ করুন।তারসাথে অর্জুন গাছের ছালের গুড়া রোজ রাতে দুধের সাথে সেবন করুন।এটা নিয়মিত সেবন এবং মালিস করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি উপকৃত হবেন।
প্রসাবে বাধাঁ দূর:অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি পানীয়, প্রসাবে বাধাঁ দূর হয়।এ জন্য,অর্জুনের গাছের ছাল পিষ্ঠ করে দুই কাপ জলে ফোটান।যখন পানি অর্ধেক হয়ে আসবে তখন তা ঠান্ডা করে নিন।এর পর ঠান্ডা হওয়ার পর রোগী কে সেবন করান,এটা দিনে একবার বা দুইবার খাওয়ালে প্রসাবে বাধাঁ দূর হয়।
হৃদয়ের ব্যাধির নিরাময়:অর্জুন গাছে ছাল অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন,প্রদাহ,ইত্যাদি রোগসমূহ থেকে নিরাময় পাওয়া যায়।অর্জুন গাছের ছালের সাথে বন্য পেঁয়াজ একসাথে চূন করে মিশিয়ে নিন।এই চূণ অধেক চা চামচ হার্টের রোগীকে দুধ এর সাথে মিশিয়ে সেবন করান।তার ফলে হৃদ পেশির শক্ত হবে। এটা হার্ট ব্লকেজের প্রতিরোধের জন্যও উপকারী।
খাবার খাওয়ার পর প্রায় দুই চা চামচ বা ২০ মিলি অর্জুন গাছের চূন অর্ধেক কাপ জলে তিন মাস সেবন করলে সব ধরনের শারীলিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
অর্জুন গাছ একটি ওষুধি গাছ।এই গাছ আমাদের অনেক উপকারে আসে।এই গাছে ফল,পাতা,ছাল এসব দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ বা আয়ুবেদী বা ইউনানী জাতীয় ওষুধ প্রস্তুত করা হয়।অর্জুন গাছের ছাল বিভিন্ন রোগের হাত থেকে উপশম মেলে।
- ছাল, পাতা,ফল এর ব্যবহার চিকিৎসা ক্ষেএে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
- অর্জুনের কাঠ শক্ত প্রকৃতির হওয়ার গৃহনিমাণ,কৃষি উপকরণ,জলযান,নৌকা,দাড়,খনি,নলকূপ খননে এই গাছের কাঠ ব্যবহৃত করা হয়।
- ছাল বাকল থেকে যে টনিক পাওয়া যায়,তা চামড়া শিল্পে প্রক্রিয়া জাত করে কাজে ব্যবহার করা হয়।
- অর্জুন গাছের পাতা তসর রেশম পোকার খাদ্য হওয়ায় এটি রেশম শিল্পের সহায়ক।
- অর্জুন গাছের অন্যান্য ব্যবহার
- অর্জুন গাছের ছাল হাপানী রোগেও বেশ উপকারী।
- হাড় ভেঙ্গে গেল অর্জুন গাছের ছালের প্রলেপ দিলে হাড় দ্রুত জোড়া লাগে।তবে ভাঙ্গা হাড় গুলো আগে পুনরায় আগের জায়গায় স্থাপন করতে হবে।
- অর্জুনের ৫ গ্রাম পরিমাণ কাচাঁ ছাল ভালভাবে পিষে ঠান্ডা পানিসহ দিনে দুইবার সেবন করলে রক্ত আমাশয়ে ভালে হয়।
- এই ছাল ভিজানো জল আধা চামচ,আন্দাজ কাচাঁ হলুদের রস মিশিয়ে খেলে শ্বেত বা রক্ত প্রদরে উপশম ভালো হয়।
- অর্জুনের ছাল দিয়ে ফোড়াঁ ঢেকে দিলে ফোড়াঁ ফেটে যাই,এবং অর্জুনের রস দিলে ফোড়াঁ জায়গা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাই।
অর্জুন গাছের ওষুধি গুন
অর্জুন গাছ একটা মহামূল্যবান গাছ।এটা চিকিৎসা জগৎ এর অন্য তম সেরা ওষুধি গাছ।এই গাছ,ছাল,ফল,পাতা আপনি সব ব্যবহার করতে পারেন।এই গাছে রয়েছে ম্যাগ্নিসিয়াম,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সডেন্ট যা আমাদের বিভিন্ন রোগ সমূহ থেকে রক্ষা করতে পারে।
- অর্জুন গাছের অনেক গুন।যা আমরা অনেকেই জানি না।বিভিন্ন রোগ সমূহ থেকে এই গাছের ফল,পাতা,ছাল কাজে আসে।কারন অর্জুন গাছের বিভিন্ন ধরনের ওষুধি গুনাগুন রয়েছে।
- হৃদরোগ উপশমে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়।অর্জুন গাছের ছাল ভালো করে মিশিয়ে দুধের সাথে খেলে হৃদরোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়
- নিম্ন রক্ত চাপ কমাতে অর্জুন গাছের ছাল বেশ কার্যকর।
- রক্ত ক্ষরণে ৫-৬ গ্রাম অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে সকালে ছেকে খেলে অরগ্য হয়।
- শ্বেত বা রক্ত প্রবাহে ছাল ভিজানো পানি আধ চা চামচ কাচাঁ হলুদের সাথে মিশিয়ে খেলে শ্বেত বা রক্ত প্রবাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- ক্ষয়কাশে অর্জুনের গাছের ছালের গুড়াবাসক পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ক্ষয় রোগ থেকে উপশম পাওয়া যায়।
- হার্নিয়াতে রোগ হলে অর্জুন ফল কোমড়ে বেধেঁ রাখলে উপকার পাওয়া যায়।অর্জুন গাছের কাচাঁ পাতার রস সেবনে আমাশয়ে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- হৃদপিণ্ড দূর্বলতা ও সাধারণ দূর্বলতা অর্জুন গাছের ছালের চূণ প্রতাহ্য এক গ্লাস দুধের সাথে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।
- অর্জুন গাছের কাচা ছাল পিছে পানি সেবন করলে রক্ত আমাশয়ে থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- এই ছাল মুখ,জিহ্বা ও মাড়ির প্রদাহের চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়,এটি মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করে।
- গলাব্যথায়--ঠান্ডা - গরম আবহাওয়াতে সর্দি,কাশি,গলাব্যথা খুবই সাধারণ।গলা থেকে মুক্তি দিতে পারে অর্জুন গাছের ছাল।গলায় ইনফেকশন হলে এটা বেশ কার্য়করী।
অর্জুন গাছের অপকারিতা
অর্জুন গাছ, ছাল,ফল,পাতা আমাদের মানব শরীলের জন্য উপকারী।এর ওষুধি গুন অনেক।এই গাছের উপকারের সাথে সাথে কিছু অপকারিতায় ও আছে।
- গর্ভবতী এবং স্তন্যদাএী মহিলাদের জন্য অর্জুন গাছে একটা ক্ষতিকর ওষুধি গাছ।গর্ভবতী অবস্থায় অর্জুন গাছ এর কোনো কিছু ব্যবহার করা ঠিক নয়।
- অর্জুন গাছ রক্ত জমাট বাধাঁ থেকে হ্রাস করে।আপনার যদি রক্তে বিশৃঙ্খলা থাকে বা আপনার কোন শল্য চিকিৎসা হবে,তাহলে অর্জুন গাছ ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
- অর্জুন এর গাছে শক্তিশালী হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব আছে।কাজেই আপনার শরীলে যদি স্বাভাবিক ভাবে রক্তের মাএা কম থাকে বা আপনার মধুমেহ রোগ থাকে বা এসব রোগের জন্য ওষুধ সেবন করছেন তাহলে অর্জুন গাছ বা এর ফল,পাতা থেকে বিরত থাকুন
- অন্য কোনো ওষুধের সাথে অর্জুন গাছের কোনো মিথক্রিয়া নাই।যদি আপনি আয়ুর্বেদ বা ইউনানী জাতীয় ওষুধ গ্রহন করে থাকেন। তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শে অর্জুন গাছ এর ছাল,পাতা, ফল ব্যবহার করতে পারেন।
- সুগার রোগীদের ও অর্জুন গাছের ছাল যথেষ্ট সাবধানে ব্যবহার করা উচিত।
- শুধু মাএ একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক এর পরামর্শ নিদিষ্ট পরিমাণে অর্জুন গাছে ছাল ব্যবহার করুন।
শেষ কথা
অর্জুন গাছ একটা মহামূল্যবান গাছ।এটা চিকিৎসা জগৎ এর অন্য তম সেরা ওষুধি গাছ।এই গাছ,ছাল,ফল,পাতা আপনি সব ব্যবহার করতে পারেন।এই গাছে রয়েছে ম্যাগ্নিসিয়াম,ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সডেন্ট যা আমাদের বিভিন্ন রোগ সমূহ থেকে রক্ষা করতে পারে।
তবে এই গাছে উপকারে পাশাপাশি অপকারিতা ও আছে।গর্ভবতী মহিলা এই গাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো।তবে যেকোনো বড় রোগ থেকে মুক্তি জন্য অবশ্যই ডাক্তার এর পরামর্শ এই গাছ এর ফল,পাতা,ছাল ব্যবহার করা উওম।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url